জাবি’তে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম!



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাবি’তে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম!, ছবি: বার্তা২৪

জাবি’তে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম!, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘প্রতিদিন চারশ থেকে পাঁচশ পিঠা নিয়ে আসি। সব পিঠা বিক্রি হয়ে যায়। আমি নিজেই পিঠা বানাই, তবে ছেলে ও দুই নাতিও আমাকে সহযোগিতা করে। হাড় কাঁপানো শীতে পিঠার বিক্রিও বেশ ভালো। প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করতে পারছি। গরীবের সংসার, পিঠা বিক্রির টাকা দিয়েই চলতাছে। তবে সব সময় পিঠা বিক্রি হয় না, অনেকে ঠিকমতো দামও দেয় না।’- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতা ষাটোর্ধ্ব রহিমা বিবি এভাবেই বর্তা২৪.কম’কে কথাগুলো বলছিলেন। তিনি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাশে পিঠা নিয়ে বসেন।

তীব্র শীত, কনকনে ঠান্ডা, সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। এ যেন এক শীতের নগর। সোনালী সূর্য অস্ত যেতেই ক্যাম্পাস এক অন্যরকম পরিবেশ ধারণ করে। আর এ ঠাণ্ডা উপভোগ করতে ক্যাম্পাসে চলছে নানা আয়োজন। কেউবা প্রিয়ার কাধেঁ মাথা রেখে করছে আলাপণ আবার দলপাগল অনেকে একজোঁট হয়ে বসিয়েছেন গানের আসর, চলছে কোরাসের পর কোরাস। এর মাঝে পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন যায়গা জুড়ে বসেছে গরম সব পিঠার আয়োজন। সেসব বাহারি পিঠার যে কত নাম। ভাঁপা, চিতই, পাটিসাপটা, নঁকশি, পাকন, তেলের পিঠা প্রভৃতি। পিঠার স্বাদ বাড়াতে রয়েছে নানা ধরণের ভর্তা। রয়েছে মাশরুম, সবজি, মাংসের পিঠাও। ফলে পিঠার মৌ মৌ গন্ধে অনেকেই ছুটে আসছেন ক্যাম্পাসে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/06/1546764042478.jpg

বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে, ছবি চত্বর, লাইব্রেরির সামনে, বটতলা, আলবেরুণী হল, বঙ্গবন্ধু হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, প্রীতিলতা হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল ও শেখ হাসিনা হলসংলগ্ন স্থানে বসেছে এসব পিঠার দোকান। পুরোদমে শীত থাকায় জমেও উঠেছে এসব পিঠার দোকানগুলো। আর এসব পিঠা খাওয়ার মাঝে চলছে আড্ডা।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৬টি ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাবি ক্যাম্পাসে প্রতিদিন প্রায় একলাখ টাকার পিঠা বিক্রি হয়। আর এসব দোকানগুলোর ওপর জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় ১৫-১৮ পরিবারের শতাধিক মানুষ।

গ্রামে শীতের সকালে উঠানের মিষ্টি রোদে বসে খেঁজুরের গুড় দিয়ে পিঠা খাওয়ার দৃশ্য পরিচিত। তবে এখানে উঠানে বসার সুযোগ না মিললেও আছে বিভিন্ন টং। তবে অনেক জায়গায় পিঠার দোকানের আশপাশে চৌকিও বসানো হয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভীড়। এসব দোকানে ক্রেতাদের মধ্যে যেমন শিক্ষার্থীরা আছেন, তেমনি আছেন স্মৃতির টানে ছুটে আসা সাবেক শিক্ষার্থী ও তার পরিবার সদস্যরা। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এখানকার পিঠার স্বাদ নিতে আসেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/06/1546764165792.jpg

দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা পিস হিসাবে পিঠা বিক্রি করেন। যেমন: তেলে ভাজা পিঠা পাঁচ টাকা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, মাংস পিঠা প্রতিপিস ১০ টাকা আর পাটিসাপটা, নঁকশি পিঠা ১৫ টাকা করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চৈতি শাহরিন আড্ডাচ্ছলে বলছিলেন, ‘কুয়াশা ঘেরা হিম হিম সকাল কিংবা বিকেলবেলায় খেজুরগুড়ের ভাপা পিঠা কিংবা ঝাল সর্ষেভর্তা দিয়ে চিতই কিংবা নারকেল ভরা পাটিসাপটা-পুলি পিঠা খাওয়া দৃশ্য এখন নেই বললেই চলে। আর জাবি’র শিক্ষার্থীদের জীবনে এই দৃশ্য এখন অনেকটাই অনুপস্থিত। তবে ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে পাওয়া যায় মাটির চুলোয় বানানো ভাপা, চিতই, ডিম চিতই, পুলি, পাটিসাপটা, পাকন পিঠা। এসব পিঠার সাথে চলে আড্ডা-গান আর জীবনের গল্পও।’

তিনি আরো বলেন, ‘জীবনের গল্প লেখার টানে ঘরের আদুরে ছেলে-মেয়েরা, যারা প্রতি শীতে পরিবারের সবার সঙ্গে রোদে বসে পিঠে খাওয়ার দিনগুলো ছেড়ে এই জগৎকে আপন করে নেয় তাদের মনের ভেতরের সেই হাহাকারটাকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। এই পিঠেগুলো হয়তো সেই প্রিয় মানুষগুলোর হাতের জাদুভরা হয় না, তবে তীব্র মনখারাপটাকে কমিয়ে দিতে আর স্মৃতিগুলোকে উজ্জ্বল করে নিতে এর তুলনা হয় না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/06/1546764185542.jpg

তবে এসব ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান নিয়েও আছে কিছু বিড়ম্বনা। যত্রতত্র ময়লা ফেলা, আগুন জ্বালিয়ে পরিবেশ নষ্ট করাসহ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগও করেন। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর ফলে ক্যাম্পাসের নির্মল পরিবেশ দূর্লভ হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ আবার এসব পিঠার এবং অন্যান্যে দোকান উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে। আবার নিয়ন্ত্রিতভাবে অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো রাখার পক্ষে অনেকে।

   

কাবাবের দামে ভর্তুকি!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাবাব বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে তরুণদের কাছে এর চাহিদা ব্যাপক। বার্গারের সাথে কাবাবের যে জম্পেস মেলবন্ধন, এর জন্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাবাব ও বার্গার রেস্টুরেন্ট চালু রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টে প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন ডলার কাবাব বিক্রি হয়। ঠিক একইভাবে জার্মানিতেও কাবাবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির কারণে জার্মানিতে কাবাবের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গত দুই বছরের মধ্যেই সেখানে কাবাবের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই কাবাবের দামে স্থিরতা আনতে ভর্তুকির দাবি জানিয়েছে দেশটির একটি রাজনৈতিক দল। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ। 

জার্মানির রাজনৈতিক দল লেফট পার্টি সরকারের কাছে এ ভর্তুকির দাবি জানায়। এটি বর্তমানে জার্মান রাজনীতিতে একটি চলমান রসিকতা হয়ে উঠেছে, চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন,‘আমি যেখানে যাই, তরুণেরা আমাকে কাবাবের দাম কমবে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।’

তবে দেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় লেফট পার্টির এমন উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে দেশটিতে দ্রব্যমূল্যের ওপর যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তার প্রেক্ষিতে একটি রাজনৈতিক দলের এমন প্রস্তাব খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।

এ বিষয়ে লেফট পার্টির ইয়ুথ পলিসি বিষয়ক মুখপাত্র কাথি জেবেল বলেন, দেশজুড়ে কাবাবের দাম কম করে হলেও ৭ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এটি জন সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে দাবি জানান তিনি।

এর প্রেক্ষিতে দলটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কাবাবের দাম ৫ ডলার ৩০ সেন্ট বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। দেশের তরুণদের কথা মাথায় রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় লেফট পার্টি।

এর জন্য, সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে এ নিয়ে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মজুরি ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ডোনার কাবাবের দাম বেড়েছে। কাবাব বিক্রির দোকানগুলোর বেশি ভাড়া, জ্বালানি খরচ ও কাবাবের উপাদানের জন্য খরচ বেশি হচ্ছে। এগুলোর খরচ কমানো গেলে কাবাবের দামও কমে যাবে বলে মনে করেন জেবেল।

জেবেল আরও বলেন, ‘সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে কাবাবের দাম বেশি থেকে যাবে। আর তাহলে এটি আমাদের জন্য একটি বিলাসবহুল খাবারে পরিণত হবে।’

 

 

;

পিৎজা খেতে ইতালি ভ্রমণ!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে এক মুখরোচক খাবার হলো পিৎজা। প্রায় সব দেশেই এ খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। দিনে কিংবা রাতের পার্টির হোক সব সময়ই অনেকের কাছে পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে থাকে বিভিন্ন ফ্লেভারের ও ব্র্যান্ডের পিৎজা। অনেক পিৎজা প্রেমী আছেন যারা পিৎজা খাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। সম্প্রতি এরকমই দুই পিৎজা প্রেমী কেবল পিৎজা খাওয়ার জন্য বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তাও মাত্র একদিনের জন্য। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। প্রতিবেদন- এনডিটিভি। 

যুক্তরাজ্যের লিভারপুল থেকে মোরহান বোল্ড (২৭) ও জেস উডার (২৬) নামে দুই বান্ধবি তাদের কর্মস্থল থেকে এক দিনের ছুটি নিয়ে উড়ে যান পিৎজার দেশ ইতালিতে। গত ২৪ এপ্রিল এমন ঘটনাই ঘটেছে। একদিনের এই ভ্রমণে তারা দিনভর সেখানে কেনাকাটা করেছেন, ঘুরে বেড়িয়েছেন, পিৎজা খেয়েছেন।

তারা ২৪ এপ্রিল সকাল ৬টার ফ্লাইট নেন, আবার সন্ধ্যা ৬টায় ফিরে আসেন। তাদের এই ভ্রমণে মোট খরচ হয়েছে ১৭০ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যা ২৩ হাজার ৩১৮ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে উড়োজাহাজের ভাড়া, এয়ারপোর্ট পার্কিং, খাবার ও বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড।

নিজেদের এই অদ্ভুত ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে মোরহান বোল্ড বলেন, লিভারপুল থেকে লন্ডনে যাওয়ার চেয়ে আমাদের জন্য ইতালি যাওয়া সাশ্রয়ী ছিল। কেননা, লন্ডন ইউস্টনে যাওয়া ও সেখান থেকে আসা বাবদ খরচ হবে প্রায় ১০০ পাউন্ড। এটি কিন্তু খাবার ও পানীয় ছাড়াই। আর এক দিনের এই সফর খুবই সহজ। এর জন্য ব্যাগ গোছাতে হয় না। সোজা সিকিউরিটি হয়ে উড়োজাহাজে। আমি যদিও এক দিন ছুটি নিয়েছি, পরের দিন আবার যথাসময়ে কাজে যোগ দিয়েছি।’

দুই বান্ধবি পিসার হেলানো টাওয়ারের সামনে অনেকগুলো ছবি তুলেছেন। আর ভাল পিৎজা রেস্তোরাঁ খুঁজে পাওয়ার জন্য গুগোল ম্যাপের সাহায্য নিয়েছেন।
তারা পিসার হেলানো টাওয়ারের সামনে বসে পিৎজা খেতে খেতে ছবি তুলেছেন আর নিজেদের আত্মতৃপ্তির কথা শেয়ার করেছেন।

;

পুলিশ-সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সহায়তায় বাড়ি ফিরলো শিশু ইয়ামিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পুলিশ ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দেড় মাস পর খুলনা থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুরে নিজের বাড়ি ফিরতে পেরেছে সাত বছরের শিশু ইয়ামিন।

চলতি বছরের ১৯ মার্চ নিরুদ্দেশ মাকে খুঁজতে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে খুলনা চলে যায় ইয়ামিন। এরপর সে নিজেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তাকে আর খুঁজে পায়নি পরিবার। অবশেষে অনেক নাটকীয় ঘটনার পর পুলিশ ও সমাজসেবার কর্মকর্তাদের সহায়তায় বুধবার (৮ মে) ঢাকার ফতুল্লার লালপুরে নিজের বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছে ইয়ামিন।

পুলিশ ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ মার্চ রাত ৯টায় হঠাৎ ফোনকল আসে খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানায়। ফোনকলে জানানো হয়, একটি শিশু খুলনার গল্লামারী এলাকায় কান্নাকাটি করছে। পুলিশ নিয়ে সেখানে হাজির হন হরিণটানা থানার এসআই (উপপরিদর্শক) মো. মাসুম বিল্লাহ।

ওই শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করে তারা জানতে পারেন, তার নাম ইয়ামিন। বয়স ৭। বাড়ি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের আশপাশে। সে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে এসেছে।

পরে তাকে থানায় এনে কমলাপুর রেলস্টেশনের আশপাশের থানায় খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে শিশু ইয়ামিনকে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের জিম্মায় দেওয়া হয়। এরপরের দিন ২০ মার্চ থেকে শিশু ইয়ামিনকে বটিয়াঘাটার শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের বালক হোস্টেলে হেফাজতে রাখা হয়।

এদিকে, শিশুটির অভিভাবকের সন্ধানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার এবং কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশসহ ডিএমপির বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়।

পরবর্তীতে শিশু ইয়ামিন জানায়, তাকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে গেলে তার বাড়ি চিনিয়ে দিতে পারবে। সেই মোতাবেক বটিয়াঘাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল বুধবার (৮ মে) সকালে ইয়ামিনকে নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে রওয়ানা করে। কিন্তু সেখানে ইয়ামিনের পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দুপুর ১টার দিকে ইয়ামিন নারায়ণগঞ্জ রুটের একটি ট্রেন দেখিয়ে জানায় যে, এই ট্রেন যেখান থেকে এসেছে, সেখানে তাকে নিয়ে গেলে সে তার বাড়ি চিনিয়ে দিতে পারবে। তখন তারা শিশুটিকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা করেন।

সমাজসেবা কর্মকর্তা ও পুলিশের সহায়তায় দেড় মাস পর খুলনা থেকে ফতুল্লার লালপুরে নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরেছে ৭ বছরের শিশু ইয়ামিন

তারা ইয়ামিনের কথা মোতাবেক ফতুল্লা রেলস্টেশনে নেমে লালপুর গ্রামে যান। লালপুর গ্রামের বাড়িতে হাজির হলে মাতৃহীন শিশু ইয়ামিন তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলে একটি আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শিশু ইয়ামিনের বাবা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইয়ামিন এবং তার ছোট একটি বোন রয়েছে। তাদের মা নিরুদ্দেশ। ছেলে-মেয়ের কথা চিন্তা করে তিনি আর বিয়ে করেননি। ইয়ামিন তার মাকে খুঁজতে প্রায়ই বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতো।

এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান বার্তা২৪.কম বলেন, ইয়ামিনকে আমরা রমজান মাসের শুরুতে খুঁজে পাই। তারপর থেকে তার পরিবারের খোঁজ করতে থাকি। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের দুই সদস্য অনেক সহযোগিতা করেছেন। অবশেষে শিশু ইয়ামিনকে ওর বাবার হাতে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

 

;

চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন

চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব চীনের একটি চিড়িয়াখানা কুকুরকে ‘পান্ডা’ বানিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে। কুকুরের শরীরে সাদা এবং কালো রং মাখিয়ে আসল পান্ডাদের মতো বানিয়ে প্রদর্শন করা হয়। চীনের জিয়াংসু প্রদেশের তাইঝু চিড়িয়াখানায় গত ০১ মে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন অবাক কাণ্ডের তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়- পহেলা মে’র ছুটিকে কেন্দ্র করে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী বাড়াতে কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানায় ‘পান্ডা কুকুর’ দেখা যাবে বলে বিজ্ঞাপন দেয়। তাদের বিজ্ঞাপন দেখে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় ছুটে আসে। এসে তাদের এমন কাণ্ড দেখে অনেক দর্শনার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

নিউইয়র্ক পোস্টে বলা হয়, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা দুটি চৌ চৌ কুকুরের মুখ কালো রং করেছেন, যাতে কুকুরগুলোকে ক্ষুদ্রাকৃতির পান্ডাদের মতো দেখা যায়। এই কুকুরগুলোকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে প্রদর্শনের জন্য রেখে দেওয়া হয়, যেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় করে তাদের দেখার জন্য জড়ো হয়।

যখন দর্শনার্থীরা বুঝতে পারেন কুকুরগুলো আসল পান্ডা নয়, তখন অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা অভিযোগ করেন, প্রাণীর সঙ্গে এমন আচরণ নিষ্ঠুরতা।

তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে রং তারা ব্যবহার করেছেন তা ক্ষতিকারক নয় এবং এ রঙে কোনো রাসায়নিকও নয়।

চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র জানান, তাদের চিড়িয়াখানায় কোনো পান্ডা ভাল্লুক ছিল না। তাই তারা এমনটি করেছেন। মানুষও চুলে রং করে। কুকুরের লম্বা পশম থাকলে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা যায়।

অন্য একজন জানান, তাদের চিড়িয়াখানায় আসল পান্ডা রাখার জায়গা নেই। এভাবে করলে দর্শনার্থীদের আরও বেশি আনন্দ দেওয়া যাবে বলে তারা এমনটি করেছেন।

উল্লেখ্য, চৌ চৌ একটি স্পিটজ-টাইপ কুকুর, যা মূলত উত্তর চীনে পাওয়া যায়।

;