অনাগ্রহের ভোট, খুলনায় তবুও উত্তাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে বইছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। খুলনায়ও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে খুলনার ৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। সে অনুযায়ী নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি।

যদিও প্রার্থীরা নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট চাচ্ছেন। তবে এবারের নির্বাচনী হাওয়া কিছুটা বিপরীতে ধাবমান। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দল দুর্বল হওয়ায় ভোটে অনাগ্রহ ভোটারদের। ভোটযুদ্ধে শামিল হতে একই উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হয়েছেন। ফলে ভোটের উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় না থাকায় দলীয় কোন্দল বাড়ছে। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে নির্বাচনী এলাকায় উত্তাপ তত বাড়ছে। এতে ভোটারদের মনে ভোট নিয়ে ভয়ও বাড়ছে, আবার খুলনায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও শঙ্কায় আছেন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অস্থিতিশীল পরিবেশ, সহিংসতা ও ভোটার উপস্থিতি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কর্মকর্তারা। বিশেষ করে সোমবার (১৮ মার্চ) উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ কয়েকজ নিহতের ঘটনায় শঙ্কিত তারা।

বিগত সময়ে দায়িত্ব পালন করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পাল করতে গেলে প্রভাবশালীদের হাতে নিগৃহীত হতে হয়। বেশিরভাগ সময় নীরব ভূমিকায় থাকতে হয়। প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার স্বাক্ষী হলেও কিছুই বলার থাকে না। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে না চাইলেও চাকরিবিধিতে ঝামেলায় পড়ার ভয় থাকে। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় সংকটে পড়তে হয়। প্রভাবশালীদের কথামতো নির্বিকার না থাকলে তোপের মুখে পড়তে হয়, আবার প্রতিপক্ষ প্রার্থীও ক্ষমতাসীন দলের হলে আরও সমস্যা। উভয় গ্রুপের চাপে এখনই চরম ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।'

তেরখাদা উপজেলায় ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেছি নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে দূরে থাকতে, কিন্তু পারলাম না। চাকরি রক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছি দায়িত্ব পালনে। এখনি প্রভাবশালী দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। না জানি নির্বাচনের দিন কি হয়!’

ডুমুরিয়া উপজেলার এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দু’জনই ক্ষমতাসীন দলের। এজন্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতেই পারে। সেক্ষেত্রে নিরাপদে থেকে দায়িত্ব পালন করা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হবে মনে হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হয় না। গতকালও (মঙ্গলবার) ডুমুরিয়ার চুকনগরে দু’প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষে ১০ জনের মতো আহত হয়েছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে।’

কয়রা উপজেলার সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক বরেন, ‘২০১৬ সালে ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনেও কয়রা সদরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আরও ভয়াবহ। এরই মধ্যে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ক্ষমতাসীন দু’পক্ষের প্রার্থীরা নির্বাচনী সহিংসতায় মামলাও করেছেন।’

জানা গেছে, খুলনার তেরখাদা, দিঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা। এছাড়াও রূপসা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায়ও ক্ষমতাসীন দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভাবশালী হওয়ায় আতঙ্কিত কর্মকর্তারা। বাকি দু’টি উপজেলা বটিয়াঘাটা ও ফুলতলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পক্ষ-বিপক্ষ উভয়েই প্রভাবশালী হওয়ায় বিরোধের শঙ্কা থেকেই যায়।

তথ্য মতে, গত বছরের ১৫ মে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত ৫৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের এক বছরের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ, পদোন্নতি স্থগিত ও পরবর্তীতে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেয়। সে আলোকে জেলা নির্বাচন কার্যালয় গত কেসিসি নির্বাচনে বিতর্কিতদের বাদ দেয়।

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ্ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অধিক সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হবে। কেউ যেনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে এজন্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্সে থাকবে খুলনা জেলা পুলিশ।'

এ সময় ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘খুলনার ৯টি উপজেলার সকল প্রার্থী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণায় ব্যস্ত। গত ১৫ মার্চ থেকে জেলার পোলিং, প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এ প্রশিক্ষণ চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি পালনে প্রতিটি উপজেলায় দু’জন করে ম্যা‌জি‌স্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যা‌জি‌স্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'

তিনি আরেও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের অনিহা সম্পর্কে কোনো লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি।'

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, খুলনার ৯টি উপজেলায় ৫ শতাংশ অতিরিক্তসহ সম্ভাব্য প্রিসাইডিং ও সহ-প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন ৪ হাজার ২৮৯ জন, পোলিং অফিসার থাকবেন ৭ হাজার ৪৮০ জন।

উল্লেখ্য, খুলনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;