দেড় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে হবিগঞ্জে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জি কে গউছসহ প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায়ই হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার তৈয়ব আলী বাদী হয়ে ১০৪ জনের বিরুদ্ধে এবং শহরের শায়েস্তানগর এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী মো. আশরাফ আহমেদ হারুন বাদী হয়ে জে কে অ্যান্ড এইচ কে হাই স্কুল কেন্দ্রে সহিংসতা এবং ব্যাটল বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরও ২২ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত রাখা হয় আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা দুইটার দিকে শহরের জে কে এন্ড এইচ কে স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছ আওয়ামী লীগ কর্মীদের মারপিট করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের জন্য তার কর্মীদের নির্দেশ দেন। এ সময় বিএনপি কর্মীরা কেন্দ্র হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিকেল ৩টার দিকে আবার গোপায়া ইউনিয়নের তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালায় এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে।

দুটি মামলায়ই হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- হবিগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জি কে গউছের ছোট ভাই জি কে গফফার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগন, জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক মো. সিতু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব, জেলা বিএনপি নেতা এনামূল হক এনাম, মো. সামিউল বাছিত, রুবেল মিয়া, শামীম মিয়া, শাহজাহান মিয়া, শাহনূর মিয়া, মাহবুবুল হক হেলাল, মো. ইূরুল ইসলাম, রোখন আহমেদ, সৈয়দ আশরাফসহ আরও অনেকে।

   

ভোটকেন্দ্রের সামনে আগুনে পুড়ল ১৩ দোকান, ৪৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের পাছার উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৩টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ভোটাররা আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটাছুটি শুরু করলে ৪৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ৮টা থেকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৯৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বেলা ১১টায় উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের পাছার উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে পাছার বাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান ছড়িয়ে পড়লে ১৩টি দোকান পুড়ে যায়। এসময় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটাছুটি শুরু করে। এতে ৪৫ মিনিট পাছার উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার একেএম শফিকুল ইসলাম বলেন, বেলা ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের সামনে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস টিমকে অবহিত করি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের ঘটনায় ৪৫ মিনিট ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পাছার উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার-২৮৯৬। ভোট কেন্দ্রের বুথ ৮টি।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ভোটগ্রহণ স্বাভাবিকভাবে চলছে।

পাছার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাপ মিয়া বলেন, পাছার বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল ও আল-আমিনের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।

;

রামগঞ্জে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা, আটক ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পশ্চিম কাজিরকজীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্র এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করে।

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পথে তারা একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এসময় অটোরিকশা চালক বৃদ্ধ মনু মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, রামগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম ও পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। পথে পথে ভোটারদেরকে বাধা দেওয়া হয়। এতে অনেক ভোটার ভোট না দিতে পেরে ফিরে গেছেন। ঘটনার সময় তারা দখলের জন্য কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। এতে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে হামলাকারীরা চাটখিল-রামগঞ্জ সড়কে একটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এসময় অটোরিকশা চালক মনু মিয়াকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত মনু মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় প্রশাসন। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে কারো নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

তবে হামলা বা কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনায় প্রশাসনের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

আহত রিকশা চালক মনু মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি করপাড়া বদরপুর গ্রামে। আমি ভাড়া নিয়ে এসেছি। ৫ জন যাত্রী ছিল। হঠাৎ করে একদল লোক আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। আমার ডান হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আমার হাত ভেঙে গেছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রামগঞ্জে ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। টাটা হলেন ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস), দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল), ফয়েজ বক্স বাবুল (দোয়াত কলম) ও মো. মোশাররফ মুশু (ঘোড়া)। এ উপজেলায় ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর (মোটরসাইকেল) কেন্দ্র। গত পৌরসভা নির্বাচনেও দেওয়ান বাচ্চুর ভাই দেওয়ান ফয়সাল একজন কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করে। ওইসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।

;

দেবহাটায় পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আল ফেরদাউস আলফার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটগ্রহণের দিন উপজেলার দেবীশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে ঘেরাও করে রাখেন। এসময় হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী আলফার এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। আর এর নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান।

এব্যাপারে দেবীশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে কী ঘটেছে, সেটা সমন্ধে অবগত নন তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমার কাছে হেলিকপ্টার প্রার্থীর কোনো এজেন্ট ফর্ম জমা দেননি। এজন্য বুথগুলোতে ওই প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট নেই। তবে বিষয়টি সমন্ধে প্রার্থী অভিযোগ দেওয়ার পর এজেন্টদের আসতে বলা হয়েছে’।

এ ব্যাপারে হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী আল ফেরদাউশ আলফা বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রভাব সৃষ্টি করতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। শুধু দেবীশহর নয়, আরো অনেক জায়গাতে ভোটকেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর কর্মীসমর্থকেরা।

;

শ্রীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শিক্ষককে জেল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের শ্রীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক স্কুল শিক্ষককে তিন দিনের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক কামরুল হাসান খান (৪৪) উপজেলার রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০ টার দিকে শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের গোসিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের বাহিরে দাঁড়িয়ে ভোটারদের জোর করে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা এবং প্রকাশ্যে প্রচারণার অভিযোগে ওই শিক্ষককে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তাকে তিন দিনের জেল দেয়া হয়।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শোভন রাংসা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;