ভোটে উৎসব আনন্দ, আছে অভিযোগও!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘড়িতে সকাল ৮টা প্রতিদিনই বাজে। তবে প্রতিদিনের সঙ্গে এদিনের প্রায় সবকিছুর সঙ্গে পার্থক্য বেশি স্পষ্ট। কারণ এদিন ভোটের দিন। পাঁচ বছরে একবার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান ভোটাররা। সাদা মোড়কের ব্যালট পেপারে নিজের ইচ্ছায় সিল মোহর আঁকার দিন। বুড়ো আঙ্গুলের নখের ওপর অমোচনীয় কালির দাগ দেখিয়ে বলতে পারার সুখ-‘আমি ভোটার, আমিও ভোট দিয়েছি’!

৩০ ডিসেম্বর (রোববার) সকালের প্রথম সূর্য কিরণই জানিয়ে দিলো আজ নিজের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। আজ সব প্রজার খানিকক্ষণের জন্য হলেও রাজা হওয়ার দিন। সেই আনন্দেই সকাল ৮টা থেকেই ভোট কেন্দ্রে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে লাগল। সকালের শুরু থেকে বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১৬ ও ১৫ আসনের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এ প্রতিবেদক।

উৎসবের সকাল

মিরপুর-১৬ আসনের বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সকাল ১০টা নাগাদ প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোই ছিল। অনেকে নতুন পোশাক পরে ভোট কেন্দ্রে আসেন। তবে এই আসনের সাংবাদিক আবাসিক এলাকা উচ্চ বিদ্যালয়, পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, রিয়াজুল জান্নাত মাদরাসা, রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয়, এমডিসি মডেল ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লিগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লার সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব ভোট কেন্দ্রের খানিক দূরে ভোটারদের সহায়তার জন্য বুথ ক্যাম্পের সবগুলোই ছিল নৌকা প্রতীকের। কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে হাতপাখার পোস্টার ঝুলতে দেখা গেলেও অন্য কোনো প্রতীকের বুথ দেখা যায়নি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় রিকশায় চড়ে অনেককে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546176151914.jpg

অনেক নারী ভোটার জানিয়েছেন, সকাল সকাল রান্না করে ভোট দিতে এসেছেন। বেশ কয়েকজন পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। শীতের সকালে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি পুরো পরিবেশকে উৎসবমুখর করে তোলে। সেলফি আনন্দে মেতে ওঠার দৃশ্যও দেখা যায় অনেক কেন্দ্রে।

বাইরে দীর্ঘ লাইন, ভেতরে ধীর গতি

সকাল ১০টার পর এসব কেন্দ্রের প্রায় সব ভোটার অভিযোগ করেন, ‘অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ভেতরে যেতে পারছি না। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে গেছে, কিন্তু লাইন যে ছোটই হচ্ছে না! বাইরে এত ভিড়, অথচ মাত্র দু’জন তিনজন ভোটার ভেতরে নেয়া হচ্ছে। বুড়ো মানুষদের অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।’

মিরপুর-১২ সেকশনের রশিদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিরপুর সাড়ে ১০ নম্বরে শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধভাবে ভোটারদের লম্বা লাইনে দেখা গেলো। সবারই অভিযোগ, বুথের ভেতরে ভোটার প্রবেশ করানো হচ্ছে ধীরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য অনেকগুলো কক্ষ রয়েছে। তবে ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসা এক ভোটার জানান, ভেতরে তেমন ভিড় নেই, বাইরেই বেশি ভিড়।

সাংবাদিক পরিচয় জেনে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়ানো খায়রুল ইসলাম নামের এক ভোটার অনুরোধের সুরে বললেন, ‘পাশে জান্নাত একাডেমির কেন্দ্রে যান, ওখানে বাইরে প্রচুর ভোটার। কিন্তু বুথে মানুষ কম।’

ভোটার স্লিপ সংকট

ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পথেই আনসার বা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেক ভোটারকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার ভোটার স্লিপ কি এনেছেন? যারা এটা দেখাতে পেরেছেন, তারা ভোট কেন্দ্রে সহজেই প্রবেশ করতে পেরেছেন। যারা ভোটার স্লিপ দেখাতে পারেননি তাদের ভোট কেন্দ্রের দরজা থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ আসনের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এজেন্টদের বুথে। মূলত নৌকা প্রতীক ছাড়া আর কোনো এজেন্টদের বুথ ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্রে থাকা নৌকা প্রতীকের একটি মাত্র বুথে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভোটাররা। সবার কথা, ‘ভাই, আমার ভোটার স্লিপ নাম্বারটা কতো?’

যারা দ্রুত ভোটার স্লিপের খোঁজ পাচ্ছেন তাদের মুখে স্বস্তির হাসি। যারা স্লিপ নম্বর পাননি, তারা মন খারাপ করে হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছেন।

ভোটাররা অভিযোগ করে জানান, অন্যবার ভোটের আগে বাসায় বাসায় ভোটার স্লিপ দিয়ে যেতো। এবার তো কেউ কোনো স্লিপ পায়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546176170244.jpg

মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে মধ্যবয়স্ক আতিক নামের এক ভোটার বলেন, ‘আমি বাসা বদল করেছি। যে বাসার ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল সেখানেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানেও আমার ভোটার স্লিপ পাইনি। মনে হয় এবার ভোট দিতে পারবো না।’

কেন্দ্রের বাইরের বুথের টেবিলে গোল হয়ে মোটা ম্যানুয়েল ভোটার তালিকার পাতা উল্টাতে দেখা গেল অনেক ভোটারকে। সকাল থেকে এসব কাজে সহায়তার জন্য যারা ছিলেন তারা ভিড় দেখে তালিকা টেবিলে ফেলে চলে এসেছেন। সেই ভিড়ের মধ্যে যে যেভাবে পারছেন নিজের ভোটার স্লিপ নম্বর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্তত যাতে ভোট দেয়া যায়!

অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও এসেছিলেন। তারা কেন্দ্রের বাইরের বুথে ল্যাপটপ নিয়ে বসা সহায়তাকারীর চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে। ল্যাপটপ হাতে থাকা বেচারা খানিকক্ষণ পরপরই অসহায় সুরে জানান, সার্ভার স্লো, কাজ হচ্ছে না!

কেন্দ্রের বাইরে ভোটার স্লিপ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হওয়া ভোটারদের সহায়তা করার জন্য তেমন কাউকে ব্যস্ত হতেও দেখা গেল না! লাঞ্চ আওয়ারের কথা বলে ল্যাপটপ গুটিয়ে ফেলার দৃশ্যও চোখে পড়ল! অথচ কে না জানে, একটা ভোট কতো মূল্যবান?

হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ

দুপুরের দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ত্বরের পূর্বপাশে আদর্শ স্কুলের সামনে কয়েক সারি পুলিশ ও ডিবির গাড়ি। স্কুলের উত্তর পাশের গেট বন্ধ করা। সেখানেও পুলিশের বাড়তি প্রহরা। এলাকাটা পুরো ফাঁকা। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, খানিক আগে এখানে কে বা কারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওয়াকি টকিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনাও পেলেন তিনি। বিস্ফোরণের শব্দে খানিকটা হুড়োহুড়ি হলেও ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভিড় ককটেল বিস্ফোরণের পর অনেক কমে যায়।

একই দৃশ্য দেখা গেল দুপুর দেড়টার দিকে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে। এখানে দু’দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার তাগিদে অনেকে ভোটের লাইন থেকে সরে যান। এ কেন্দ্রে দুপুরের দিকে নিরাপত্তা বাড়াতে র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ছুটোছুটি করতে দেখা গেল। দুপুরের খাবার ফেলে রাইফেল হাতে টহলে নামতে হলো তাদের।

রহস্যজনক এই ককটেল বিস্ফোরণ কারা ঘটালো- সেই প্রশ্নের সমাধান কৌতুলের উত্তর বিকেলে ভোট শেষের আলোচনায়ও মিলল না!

তিন কন্যার প্রথম ভোট

মিরপুর গার্লস আইডিয়ালস ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে রাস্তায় রিকশা খুঁজছিলেন তিন তরুণী। এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন তারা। কথা বলার অনুমতি চাইতে, সানন্দে সাড়া। ইতি, তন্বী ও নাজমুন জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারার আনন্দে উচ্ছ্বসিত। তারা বলেন, ভালো লাগছে, আমার নাগরিক অধিকার আমি প্রয়োগ করতে পেরেছি। আমি যে চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী সেই পরিমন্ডলে খানিকটা হলেও এই ভোটের মাধ্যমে অবদান রাখতে পেরেছি, এই স্বীকৃতিই অনেক আনন্দের। মনে হচ্ছে নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন আমি আজ ঘটাতে পেরেছি।

   

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই উপজেলার সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা এবারও একই পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম আক্তার মুক্ত মারা যান।

নির্বাচন স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাছাড়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীগণকে প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে। উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।

গোপালপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন।

;

রাজশাহীর পবার নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।

;

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;