আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একাদশ নির্বাচন: মূল আলোকপাত নিরাপত্তা ও নজরদারিতে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা ও উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়ে গেছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর সঙ্গে ভোটদান সম্পন্ন করেছেন। ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই ভোট কেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ লাইন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এখনও পর্যন্ত বেশ উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোটগ্রহণ চলছে।

৩০ তারিখ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে চলবে এই ভোটগ্রহণ। বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা শুধু দেশের ভেতরেই নয়, ছড়িয়েছে বিশ্ব জুড়েও। যার প্রমাণ পাওয়া গেলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ঘুরে।

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি নিউজ একাদশ নির্বাচনকে নিয়ে ‘বাংলাদেশের নির্বাচন: পোলকে ঘিরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা’ শীর্ষক একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পুরো দেশ জুড়ে প্রায় ৬০০,০০০ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546143192543.JPG

প্রতিবেদনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাগে উঠে আসে একাদশ সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব। যেখানে বিবিসি বলছে, ‘১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি এবং এখানকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে দারিদ্র্য ও দুর্নীতির মতো সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয় প্রতিনিয়ত’।

নির্বাচনকে ঘিরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘আমরা চাই দুর্নীতি দূর হোক এবং ড্রাইভাররা সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পাক যেন কাউকে অকালে মরতে না হয়’।

এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা ‘ভোট শুরু বাংলাদেশে, বুথে-রাস্তায় ৭ লক্ষ সেনা এবং নিরাপত্তারক্ষী’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে নির্বাচন ও ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে জোরদার নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে এসেছে পরিষ্কারভাবে। খবরে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ে- মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ জন করে সদস্য। সশস্ত্র পুলিশ তিন জন, আনসার ১২ জন ও একজন করে গ্রাম পুলিশ। অন্য দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বাড়তি দুই পুলিশ-সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট সদস্য থাকবেন মোট ১৮ জন। সব মিলিয়ে সারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকছে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ৭ লাখ সদস্য। সারা দেশে যানবাহন চলাচলের উপর আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। রবিবারে বাংলাদেশে সরকারি ছুটিও ঘোষণা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল চলছে’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546143026212.JPG

শুধু আনন্দবাজার পত্রিকাই নয়, কলকাতা২৪ তেও উঠে এসেছে বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে জোরদার নিরাপত্তা ও নজরদারির বিষয়টি। তবে কলকাতা২৪ শুধু দেশের ভেতরের নিরাপত্তা নয়, সীমান্তে নিরাপত্তা ও টহলের বিষয়টিও তুলে ধরেছে। ‘পদ্মাপারের ভোট: নির্বাচন চলাকালীন সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা বিএসএফের’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘ইতিমধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিএসএফের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সীমান্তে। সিল করে দেওয়া হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সংলগ্ন সমস্ত বর্ডার। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, অসম, পশ্চিমবঙ্গ স্থল সীমান্ত সিল করে দেওয়া হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড অতি সতর্ক। নৌবাহিনীকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নদী পথগুলিতে চলছে বিশেষ নজরদারীর জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546143045263.JPG

বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সীমান্ত এলাকায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আসা যে কোনও গাড়ি কিংবা মানুষের উপর তল্লাশি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএসএফের তরফ থেকে’।

তবে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা একাদশ নির্বাচনকে নিয়ে প্রকাশ করেছে ভিন্নমাত্রার প্রতিবেদন। ‘বাংলাদেশ নির্বাচন: সহিংসতার সম্ভবনার মাঝেও কোটি মানুষের ভোট’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে দেশের নির্বাচনকে ঘিরে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি। যেখানে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয়টিও প্রাধ্যান্য পেয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546143070336.JPG

প্রতিবেদনের একটি অধ্যায়ে নির্বাচনের প্রতিপক্ষ দল ও তাদের অবস্থা ও অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন রাজনীতি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক আফসান চৌধুরি। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এর আগে কখনোই এতো দ্বন্দপূর্ণ নির্বাচন দেখিনি। এবারের নির্বাচনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি এতোটা তীব্র অবস্থার নির্বাচন এর আগে দেখিনি। রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যকে প্রতিপক্ষ হিসেবে না দেখে শত্রু হিসেবে প্রতিপন্ন করছে’।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর সংবাদে ভোট গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনে জয়ের আশাবাদের বিষয়টি তুলে ধরেছে। ‘ভোট গ্রহণ শুরু, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয়বারের মতো জয় লাভের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতা কারাবন্দী থাকার দরুন তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনের জয়ের আশা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546143088992.JPG

সংবাদে বলা হয়, ‘প্রায় এক দশক পর দেশের পরিপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের অংশ হয়েছে কোটি কোটি তরুণ ভোটার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাহার করেছিল নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগ তুলে’।

   

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন সানাউল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন সানাউল

প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন সানাউল

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সানাউল হক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. শাকিল আহমেদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সানাউল হক বলেন, ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অন্য তিন প্রার্থী হলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা ও আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য এইচএম খায়রুল বাসার।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সোহেল রানা, গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান শাহীন, ডৌহাখলা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ পবিত্র ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহিরুল হুদা লিটন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সালমা আক্তার রুবি, দিলুয়ারা আক্তার, পরশ মনি, নিলুফার ইয়াসমিন, তাসলিমা আক্তার কলি, মোছা. ফেরদৌসী নাসরিন।

আগামী ২১ মে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৯ জন। মহিলা ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৪০ জন ও পুরুষ এক লাখ ৪১ হাজার ৪৮ জন।

;

উপজেলা নির্বাচন: ১৬০ উপজেলার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৬০ উপজেলার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার

১৬০ উপজেলার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)। অফিস চলাকালীন সময়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধাপে ১৬০ উপজেলা ভোটে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন। বাছাই-আপিল শেষ হওয়ায় বৈধ প্রার্থীদের কেউ নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাইলে মঙ্গলবারই তার শেষ সময়।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি, যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত রয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী, চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

নির্বাচন কমিশন এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন করছে। প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮মে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করলে, গুজব ছড়ালে রেহাই নেই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করলে বা কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে রেহাই নেই বলে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি)ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে চট্টগ্রামের সন্ধীপ, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপহার দেওয়া হবে। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। কেউ জাল ভোট দিতে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা আমরা দেব। গত সংসদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে জেলে পাঠানো হয়েছিল। জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল বা অন্যান্য অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে কেউ কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে ছাড় নেই। আমাদের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। প্রার্থীরা যদি মনে করেন আছে, তাহলে তালিকা দিলে যাচাই-বাছাই করে দেখব, আশঙ্কার জায়গা থাকবে না।’

নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় পাশে থাকবে বলে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইনের স্বপক্ষে থেকে যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে সন্দ্বীপে নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানান আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তবে অন্যান্য উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে ভোটের দিন সকালে ভোট গ্রহণের আগে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধান বা পরিপত্র মেনে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে বা বাইরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করা দরকার তাই করব। কোনো অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না।’

জেলা প্রশাসনের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে।’

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ জয়ী হবে, কেউ পরাজিত হবে-এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সবাই আপনাদের পাশে আছে। নির্বাচনী এলাকায় অনুমতি ব্যতীত কোনো যানবাহন চলবে না। ভোটারদের কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার জন্য যানবাহন ভাড়া করাও অবৈধ। আগামী ৮ মে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ৬ মে রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো পথসভা যাতে জনসভায় রূপ না নেয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘জাল ভোট, কেন্দ্র দখল বা অন্যান্য অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘একজন প্রার্থীর পোস্টারের ওপর অন্য প্রার্থীর পোস্টার লাগানো যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও প্রার্থীরা বক্তব্য দেন।

;

আচরণবিধি ভঙ্গ হলেই প্রার্থিতা বাতিল: ইসি হাবিব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিন খান (অব.) বলেছেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যদি আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়, বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এটা একদম পরিষ্কার কথা।’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থীর যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে লিখিত আকারে রিটার্নিং তথ্য-প্রমাণ সহকারে অফিসারকে দেন। কেউ গন্ডগোল করছে ভিডিও করে ফেলেন, কেউ বাধা দিচ্ছে ভিডিও করে ফেলেন। যদি আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়, বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে প্রয়োজনে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এটা একদম পরিষ্কার কথা।

আহসান হাবিব খান বলেন, প্রত্যেক প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। সেই প্রার্থী যদি একটা উঁচু দরের ব্যক্তির ভাই হয়, বোন হয় অথবা সেই প্রার্থী যদি একজন জেনারেল সাহেব হন, অথবা ওই প্রার্থী যদি একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল হন, আমির-ফকির যেই হোক, আমাদের দৃষ্টিতে সকল প্রার্থীই সমান। আমরা ভালোকে ভালো বলব, খারাপকে খারাপ বলন। কোনো পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ আমাদের কারোর মাঝে পাবেন না।

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি চেয়েছেন। আমরা বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগে, সব দিয়ে দেব। আমরা যে পর্যায়ে নির্বাচনটাকে নিয়ে গিয়েছি, সেখান থেকে কিন্তু আর নিচে নামব না, নামতে পারব না। দিন দিন কিন্তু আরও উপরের দিকে যেতে হবে। এটা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি, আপনার অঞ্চলের ভাবমূর্তি, জনগণের ভাবমূর্তি, বিদেশের কাছে দেশের ভাবমূর্তি।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন- ইসি আহসান হাবিব।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে সাংবাদিকদের কোনো অনুমতি লাগবে না। সাংবাদিকরা ভোটকক্ষে যেতে পারবেন, ভিডিও করতে পারবেন। তবে লাইভ করতে হলে কক্ষের বাইরে বারান্দায় এসে করেন, কোনো অসুবিধা নেই। কারণ এই সাংবাদিকরাই কিন্তু আমাদের তৃতীয় চোখ-কান হিসেবে কাজ করছে।

ব্যালট পেপারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সিদ্ধান্তই নিয়েছি এখন থেকে যত নির্বাচন হবে, সব নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট যাবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব)।

;