নড়াইল-১ আসন: হ্যাটট্রিক করতে চায় মুক্তি, থামাতে চায় জাহাঙ্গীর
নড়াইল-১ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করতে চান আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তি আর এ আসনটি দখল নিয়ে হ্যাটট্রিক থামাতে চায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। যদিও এখানে আরও তিন জন প্রার্থী রয়েছেন তারা হলেন, (লাঙ্গল) প্রতীকে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মিল্টন মোল্যা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন (হাতপাখা) প্রতীকে এবং এনপিপির (ছালু) মুনসুরুল হক (আম) প্রতীকে লড়ছেন। তবে মুল প্রতিদ্বন্দ্বী হবে মুক্তি আর জাহাঙ্গীরের মধ্যে।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষের সুখে দুখে পাশে থেকে নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে। গত দশ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন করায় ভোটাররা নৌকা প্রতীককেই বেছে নেবে।
ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামের আবজাল শেখ বলেন, কবিরুল হক মুক্তি গত দশ বছর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। নির্বাচনী এলাকায় তার রয়েছে জনপ্রিয়তাও তাই তিনিই জয়ী হবে।
শেখহাটি গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, মুক্তির পিতা শহীদ এখলাস উদ্দিন কালিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন তার ছেলে মুক্তি বিশ্বাসও পৌরসভার মেয়র ছিলেন দুইবার, দুই বারের সংসদ সদস্য এবারও তিনি জয়ী হবেন।
ছোট কালিয়া গ্রামের তানিয়া ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের মানুষে ভাগ্যের উন্নয়নে জন্য এবং সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য মুক্তি বিশ্বাসের নৌকা প্রতীককেই বেছে নেব।
নড়াইল-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে আর নিরপেক্ষ ভোট হলে ধানের শীষই বেছে নেবেন বলে তিনি দাবি করেন।
নড়াইল-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি বলেন, বিগতদিনে জনগণের ভালোবাসায় এ আসনে দুইবার এমপি ও দুইবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলাম। আমি আমার এলাকার মানুষের জন্য ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি তাই এলাকার মানুষ নৌকাকেই বেছে নেবে বলে তিনি জানান। দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সমর্থনে এবারের নির্বাচনেও জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করব ইনশাআল্লাহ।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনটি কালিয়া উপজেলা, একটি পৌরসভা ও সদর উপজেলার কলোড়া, বিছালী, সিঙ্গাশোলপুর, সেখহাটী ও ভদ্রবিলা এ পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৪ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার একলাখ ১৮ হাজার ৯৮১জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে একলাখ ১৯ হাজার ১৯৩ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০২ টি, ভোটের কক্ষ রয়েছে ৪৮৭ টি।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, জেলার নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি জেলায় ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে ২ প্লাটুন করে এবং উপজেলা পর্যায়ে ১ প্লাটুন করে মোতায়েন রয়েছে।