পাবনায় ৫ আসনে অন্যরা পিছিয়ে থাকলেও এগিয়ে আ.লীগ



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা
পাবনা ৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা: বাম দিক থেকে গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স,মকবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, শামসুর রহমান শরীফ, আহমেদ ফিরোজ কবির।

পাবনা ৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা: বাম দিক থেকে গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স,মকবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, শামসুর রহমান শরীফ, আহমেদ ফিরোজ কবির।

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পাবনার ৫ টি আসনে প্রচারপ্রচারণা, গণসংযোগ, উঠোন বৈঠক, সভা-সমাবেশ, যান্ত্রিক প্রচারণা, পোস্টার টাঙানোতে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার, আতঙ্ক, ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ নানা কারণেই প্রচারপ্রচারণা এবং সভা-সমাবেশে পিছিয়ে রয়েছেন বিএনপি, ঐক্যফ্রন্টসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সদ্য গণফোরামে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। স্থানীয়ভাবে এই দুজনেরই নিজস্ব সমর্থকগোষ্ঠী থাকলেও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ।

এ আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অভিযোগ, প্রচারের শুরু থেকেই তিনি বাধার মুখে পড়ছেন। তাঁর গাড়িতে হামলা হয়েছে। কোথাও কর্মসূচি দিলেই পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে প্রতিপক্ষের প্রার্থী। একের পর এক মামলা দিয়ে তাঁর সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ কারণে তিনি ঠিকঠাক প্রচার চালাতে পারছেন না।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, জামায়াতকে টপকিয়ে গণফোরামে যোগদিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ায় খোদ জামায়াত-বিএনপি তার দিকে বাঁকা চোখে দেখছে। তারা ক্ষুব্ধও হয়েছে। আর ক্ষুব্ধরাই তার উপর বারবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই আসনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল মতিন, জাতীয় পার্টির সরদার শাহজাহান, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জুলহাস নাইন ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নাজিবুর রহমান ওরফে নাজিব মোমেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নতুন প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবির। তিনি এ আসনের সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় প্রবীণ নেতা প্রয়াত আহমেদ তফিজ উদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছেন। ফলে প্রচারের শুরু থেকেই মাঠ গরম করে রেখেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নতুন মুখ আহমেদ ফিরোজ কবিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও এই আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব। প্রচার-প্রচারণায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে পিছিয়ে। ধানের শীষের প্রার্থী একেএম সেলিম রেজার অভিযোগ, শুরু থেকেই প্রচারণায় বাধা আসছে। পোস্টার ঝুলালেই ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মারপিট করা হচ্ছে। মামলা দিয়ে ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। ফলে প্রচার চালানো দূরের কথা, তিনি বেরই হতে পারছেন না এমন দাবী তার। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, সেলিম রেজা দীর্ঘদিন মাঠে ছিলেন না। ফলে দলীয় বিশৃঙ্খলাতেই তিনি পিছিয়ে পড়েছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইউনুস আলী ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের শামসুর রহমান নিরুত্তাপ প্রচারপ্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মকবুল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির সাবেক সাংসদ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। এই দুজনের প্রচার প্রচারণাও চলছে সমানতালে। তবে গত বুধবার রাতে ও শুক্রবার রাতে দু’দফায় চাটমোহরের পৃথক স্থানে যুবলীগের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, তিনটি বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর এবং নৌকার সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে ধানের শীষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁরা নৌকার পক্ষে মিছিল করছিলেন। মিছিলটি বিএনপির প্রার্থীর বাড়ি পার হওয়ার সময় তাঁদের লক্ষ্য করে পরপর চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে পাল্টা অভিযোগ তুলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বলেন, তাঁরা (যুবলীগ) নিজেরা ককটেল ফাটিয়ে বিএনপির ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন। ককটেল বিস্ফোরণের অজুহাতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাতেও উপজেলার দুটি স্থানে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ আসনে বিএনপির মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসানুল ইসলাম রাজা। তিনি দলের কিছু নেতা-কর্মীকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আবদুল মোত্তালিব ও গণতন্ত্রী পার্টির খায়রুল আলম।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। শুরু থেকেই প্রচার প্রচারণা জমিয়ে রেখেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিপরীতে ঝিমিয়ে প্রচারণা চলছে বিএনপির। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, প্রচারে বাধা আসছে। রাতে পোস্টার ঝুলানো হলে দিনে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।

তারা বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। ফলে তাঁরা ঝিমিয়ে পড়েছেন। এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুর রশিদ শেখ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল জলিল।

পাবনা-৫ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্স। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হোসাইন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু থেকেই এ আসনে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রিন্স। দৃশ্যমানে পুরো মাঠ আওয়ামী লীগের দখলে। সবদিক থেকেই এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। প্রচারের পাশাপাশি প্রতিদিন উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশে ব্যস্ত সময় কাটছে গোলাম ফারুক খোন্দকার প্রিন্সের।

অন্যদিকে দলীয় প্রার্থী না পেয়ে ঝিমিয়ে আছে বিএনপি। ফলে মাঠ জমাতে পারেননি জামায়াতে ইসলামীর নেতা ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী ইকবাল হোসাইন। দু’এক স্থানে যান্ত্রিক প্রচার আর সীমিত পোস্টার চোখে পড়ছে। জামায়াতে এই নেতা ধানের শীষের প্রতীকে ভোট চাওয়ায় দলীয় ভোটারদের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন আর সংশয়।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস হবেন ধানের শীষের দলীয় প্রার্থী। সেই আশায় দেখা দিয়েছে রক্তক্ষরণ। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে বুঁকে কষ্ট চাপা রেখেই ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি’র সিংহভাগ নেতাকর্মী বা সমর্থক জামায়াতে ইসলামীর নেতা ইকবাল হোসাইনের সাথে নেই বা নির্বাচন নিয়ে কাজ থেকে বিরত রয়েছে।

 

   

ফটিকছড়ির মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে শোকজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়ির মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে শোকজ

ফটিকছড়ির মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে শোকজ

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. ইসমাইল হোসেন ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়বকে শোকজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের দু’জনকে আগামী ১৪ মে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করেন, গত ৯ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে মানহানিকর বক্তব্য দেন। তিনি ওই প্রতীকের পক্ষে ভোট না দিলে ভোটারদের ‘মীর জাফর’ হবে বলে উল্লেখ করেন। তার ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধি ১৮ (ক) এর লঙ্ঘন।

এবিষয়ে এইচ এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘এলাকার সভা-সমাবেশে জনগণের হয়ে আমাদের অনেক কথাই বলতে হয়। আমরা ছোটকাল থেকে রাজনীতি করি। আমরা গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করি।’

অপরদিকে, গত ১১ মে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. ইসমাইল হোসেন তার ফেসবুক পোস্টে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এবং একই সাথে পূর্ববর্তী নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তোলায় আচরণ বিধিমালা এর ৫ (ক) এর উপবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

মেয়র মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি জনগণের মুখপত্র হিসেবে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। এতে বিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা ভেবে দেখিনি। তবে আমরা জনগণের কথা বলি।’

;

প্রকাশ্যে ভোট প্রদান: এমপি মল্লিককে ইসিতে তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৮ মে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ মল্লিককে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে তার অপরাধের ব্যাখ্যা চাইবে ইসি।

সোমবার (১৩ মে) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে চিঠি পাঠান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে অনুষ্ঠেয় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন আপনি ৪৭নং মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করেছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৭৮ এর বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনি অপরাধ। উক্ত অপরাধ সংঘটনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পীকারের কাছে কেন পত্র প্রেরণ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

এই অবস্থায়, মাননীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো৷

;

প্রবাসীদের এনআইডি আবেদন ৭ দিনে নিষ্পত্তির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি ) ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রবাসীদের আবেদন সাতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইতিমধ্যে এনআইডি অনুবিভাগের সহকারি পরিচালক মো. সরওয়ার হোসেন নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে সকল কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং দুই কার্য দিবসের মধ্যে ডাটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের
সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ সংক্রান্ত সকল বিধি বিধান যথাযথভাবে
প্রতিপালন করতে হবে।

;

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছালামত উল্লাহ শাহীনের ভাই ফরহাদ উল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) রাতে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন অভিযানকালে তাকে জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব ছালামত উল্লাহ শাহীনের পক্ষে উনার ভাই ফরহাদ উল্লাহকে রাত ৮টার পরে মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২১ (২) ভঙ্গের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করলে একই বিধিমালার বিধি ৩২ অনুসারে ১০ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, একইদিন উপজেলার আজাদী বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার ও ছবিযুক্ত টিশার্ট ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতিয়ার সাইদ ইরানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

;