শেষ মুহূর্তে ডিজিটাল প্রচারণায় তৎপর ঐক্যফ্রন্ট
ভোট গ্রহণের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে এসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ডিজিটাল প্রচারণায় তৎপর হয়ে উঠেছে সরকার বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ইতোমধ্যে 'ধানের শীষে ভোট দিন' ও 'জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট' শিরোনামে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় জোর তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি ও জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো।
এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। বহু আগে থেকেই সরকার বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে 'বাঁশেরকেল্লা' নামে ফেসবুক পেজে তারা সরকার বিরোধী নানা অপ্রচার চালাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। সম্প্রতি তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিও বার্তায় দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তরুণ ভোটারদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
দেশের আড়াই কোটি তরুণ ও নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘আপনার বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা তাকেই ভোট দিন, আমি সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ভোট আপনারা অবশ্যই দেবেন। সকাল-সকাল দেবেন। দেখিয়ে দিন যে আপনারাই বাংলাদেশ।
এছাড়া ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে ‘তুমিই বাংলাদেশ’ শিরোনামে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। এক মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় ড. কামাল হোসেন বলেন, জেগে ওঠো বাঙালী, তোমার কান্ডারী প্রস্তুত।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুরনো ভিডিও, নির্বাসিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ধানের শীষের প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় নানা প্রতিশ্রুতিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরছেন ভিডিও বার্তায়।
ধানের শীষের প্রার্থী বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে দেখা গেছে, ফেসবুকে লাইভ এসে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান মিডিয়া সমন্বয়ক ড. মেহেদী মাসুদ বার্তা২৪কে জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কেন্দ্রীয়ভাবে কোন ডিজিটাল প্রচারণা চালাচ্ছে না। ডিজিটাল প্রচারণায় আওয়ামী লীগের তুলনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পিছিয়ে রয়েছে। তবে কে বা কারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে পেজ চালাচ্ছে তা আমাদের জানা নেই।
তিনি ডিজিটাল প্রচারণায় পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করতে ভয় পাচ্ছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেজন্য প্রচার প্রচারণা সম্ভব হচ্ছে না।
বিএনপির প্রচার প্রচারণা নিয়ে জানতে চাইলে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বার্তা২৪কে বলেন, মাঠে প্রচার প্রচারণায় হামলা মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা কিছুটা বেড়েছে। তবে আওয়ামী লীগ যেভাবে করছে আমরা সেই সুযোগ পাচ্ছি না। আমাদের অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে ৩০ ডিসেম্বর জনগণ সঠিক রায় দিবে। ধানের শীষ বিজয়ী হবে।