আমার কর্মীরা বের হতে পারছে না, অবরুদ্ধ : মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন,আমার কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে অবরুদ্ধ। তারা বাড়িতে থাকতে পারছে না, যেতেও পারে না। গেলেই ডিবি এবং পুলিশ তাদের উঠিয়ে নিয়ে যায়।

শনিবার বিকেলে (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর দক্ষিণ শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাসের নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, 'আমার জন্য যারা পোস্টার লাগাতে যায় তাদের সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। আমার পক্ষে যারা টাকার বিনিময়ে পোস্টার লাগাবে, পোস্টারসহ তাদের তুলে নিয়ে যায়, তারা দলের নেতাকর্মীও না। কিভাবে পোস্টার লাগাবো। এখন তারা পোস্টার লাগাতে চায় না। লিফলেট ছাপাতে পারছি না। প্রেসে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এতো নির্যাতন, বর্বরতা নির্বাচনকালীন সময়ে দেখি নাই। এই অবস্থায় নির্বাচনী কাজ চালানো কঠিন হয়ে গেছে। প্রচারণায় অনেক লোক দেখলে যদি উনাদের (সরকারের) খারাপ লাগে তাহলে আমি একাই যাবো।

তিনি বলেন, যাদের নির্বাচনে এতো ভয়, তারা এই নির্বাচন দিলেন কেনো? তারা তো বলতে পারতেন আমরা ক্ষমতায় থাকবো আমরণ। কেনো এতো নেতাকর্মী গ্রেফতার, গুম, খুনের দরকার তো নাই। বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ কর্মীদের উঠিয়ে নিয়ে যায়।

আমার পুরো বাড়িটাই এখন জিম্মির মতো। বলতে গেলে আমার কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে অবরুদ্ধ। আমার কর্মীরা বাড়িতে যেতেও পারে না, থাকতেও পারে না। কি একটা অমানবিক অবস্থায় দেশের মানুষকে ফেলে দিয়েছে। আমরা বিএনপি করি, আপনারা আওয়ামী লীগ করেন, হতেই পারে, মতের পার্থক্য থাকবেই। কিন্তু আমার অধিকার তো হরণ করতে পারেন না।

এ সময় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, 'পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করবো, দয়া করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সার্ভিস দিন। জনগণের সেবক হন, শুধু আওয়ামী লীগের সেবক হলে কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত হবেন। এটা আপনাদের মনে রাখা দরকার। এই আপনারা (পুলিশ) জীবনে অনেক দেখবেন, এদের (আওয়ামী লীগের) হাতেই কিন্তু আপনার সন্তানদের নিপীড়ন দেখবেন। কারণ একসময় (আওয়ামী লীগের) এদের থাবা, চাহিদা এতো বড় হবে, তখন কিন্তু আপনাদেরও (পুলিশদের) রেহাই দিবে না। কথাটা মনে রাখবেন।

একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এবং মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলেই, বাসার সামনে থেকে, মিছিলের সামনে ও পিছন থেকে নেতাকর্মীদের উঠিয়ে নেওয়া হয়।

   

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছালামত উল্লাহ শাহীনের ভাই ফরহাদ উল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) রাতে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন অভিযানকালে তাকে জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব ছালামত উল্লাহ শাহীনের পক্ষে উনার ভাই ফরহাদ উল্লাহকে রাত ৮টার পরে মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২১ (২) ভঙ্গের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করলে একই বিধিমালার বিধি ৩২ অনুসারে ১০ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, একইদিন উপজেলার আজাদী বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার ও ছবিযুক্ত টিশার্ট ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতিয়ার সাইদ ইরানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

;

চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
৪ উপজেলায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

৪ উপজেলায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে চট্টগ্রামের চার উপজেলার ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১২ মে) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন নেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন পটিয়া উপজেলায় তিনজন, বোয়ালখালীতে একজন, আনোয়ারায় দুইজন, চন্দনাইশে দুইজন। শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারা থেকে একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

বোয়ালখালী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আয়েশা ফারজানা, পটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি ও পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবছার, আনোয়ার উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম চৌধুরী, ছাবের আহমদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবুর রহমান চৌধুরী এবং চন্দনাইশ উপজেলার চেয়ারম্যান পদের আবু আহমদ চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম।

মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- পটিয়াতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি ও পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবছার। আনোয়ার উপজেলাতে আবুল কালাম চৌধুরী ও ছাবের আহমদ চৌধুরী। চন্দনাইশ উপজেলায় আবু আহমদ চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম। বোয়ালখালী উপজেলায় কাজী আয়েশা ফারজানা। অন্যদিকে আনোয়ারা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবুর রহমান চৌধুরী প্রত্যাহার করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম প্রামাণিক বলেন, আজ (রোববার) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। মোট ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এর মধ্যে ৮ জন চেয়ারম্যান ও ১ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ১২ মে (আজ)। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে।

;

নাগরিকত্ব ছাড়লে প্রবাসীদের এনআইডি বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি কোনো প্রবাসী দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিলে তার ভোটাধিকার ও জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক মু. সরওয়ার হোসেন ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ‘দ্য বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ রুলস-১৯৭৮’ এর ৪ নম্বর রুল অনুযায়ী, বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে।

;

টাঙ্গাইলে ৩ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলে ঋণ খেলাপি দায়ে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন মির্জাপুর, বাসাইল এবং সখীপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।

মনোনয়নপত্র বাতিলকারীরা হলেন- বাসাইল উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন লাভলু, মির্জাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম, বাসাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাম্মী আক্তার মুক্তি এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম খান।

রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।

;