‘এ্যালা হামার কাছে কায়ো ভোট চায় না’



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীক বরাদ্দের ১২ দিন অতিবাহিত হলে এখনো কোন প্রার্থী বা সমর্থক ভোট চাইতে যাননি ভোটারদের বাড়িতে। আগের মতো প্রার্থীদের নেই দৌড়ঝাঁপও। যেন ঢিলেঢালা প্রচারণাতেই চলছে ভোট উৎসব।

এ অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পলিপাড়া গ্রামের মোর্শেদা বেগম। তার বয়স প্রায় পয়তাল্লিশ। করেন কৃষি কাজ।

আলুর বস্তা বাঁধতে বাঁধতে মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘আগের মত এ্যালা (এখন) আর ভোটত মজা নাই বাহে। মার্কা ব্যারাইলে বাড়ি বাড়ি মানুষ আসি ভোট চাছিল। দোয়া করার জনতে মাথাত হাত বোলে নিছিল। আর এ্যালা হামার (আমার) কাছে কায়ো (কেউ) ভোট চায় না। ডিজিট্যাল হইচে তো মাইকোত ভোট চাইলেই হয়।’

পালিপাড়া গ্রামের আরেক ভোটার ইমাম আলী। তিনি বলেন, ‘ভোট নাগলে দিন রাইত নেতারা বাড়িত আসছিল। হ্যান্ডসেপ করি বুকোত টানি নিয়্যা ভোটের কথা কছিল। এ্যালা নেতাক ঘরে খুব দেখা যাওছে না। হাট বাজার আর বন্দোরোত মিটিং মিছিল করি ওমরা ভোট খ্যালেচোল। আর যামাকগুল্যাক মার্কা দিয়্যা মাটোত ছাড়ি দেছে, তামারগুল্যারো দেখা নাই।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/22/1545455363836.jpg

বদরগঞ্জ নাগেরহাট বাজারে কথা হয় আব্দুল সালাম বিশ্বাসের সঙ্গে। পেশায় তিনি সাংবাদিক। বার্তা২৪কে তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। কোথাও পথসভা বা গণসংযোগ হলে মানুষ আর ছুটে যায় না। পনের বিশ বছর আগের ভোটের মত এখন সেই উৎসব নেই। তবে হাট বাজারে মানুষ সময় পেলেই ভোটের কথাজুড়ে দেয়।’

পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামের সাজেদা বেগম। ভোট নিয়ে তেমন কোন ভাবনা নেই তার। পরিবারের কর্তার ইচ্ছাতেই বিগত সময়ের মতো এবারও ভোট দেবেন তিনি। সাজেদা বলেন, ‘হামাগেরে এখনো ডিসিশন হয়নি। যাই এলাকার উন্নতি করবি, হামরা তাকি ভোট দিমু।’

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের পানবাজার গ্রামে কৃষ্ণ রায় ও হিমাদ্রির সঙ্গে কথা হয়। তারা দু’জনই বাঁশ-বেঁত শিল্পের কারিগর। হিমাদ্রি বলেন, ‘ভোট নিয়্যা কি ভাবমো। মদ্দে (স্বামী) যাক ভোট দেব্যার কইবে, তাকে ভোট দেমো।’

রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্ত্বর এলাকার এম এ মজিদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসা থেকে তার বাসার দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। এতো কাছাকাছি থেকে ভোটের উত্তাপ বা উৎসব কোনটাই অনুভব করতে পারছে না তিনি। প্রায় পঞ্চান্ন বছর বয়সের এ ভোটার বলেন, ‘এরশাদ সাহেবকে ছাড়া মানুষ কাকে ভোট দেবে। এখানো তো আর কোন ভালো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। কিন্তু এরশাদ সাহেবসহ অন্যদের প্রচার প্রচারণা দেখে তো মনে হচ্ছে ভোটের প্রয়োজন নেই।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/22/1545455386201.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মাইকিং আর পোস্টারিং করে ভোট উৎসব হয় না। বাড়ি বাড়ি আগে যেমন নারী-পুরুষরা দল বেধে ভোট চাইতে আসত, এবার সেই দৃশ্য এখনো চোখে পড়েনি। এও অবাক হওয়ার মত ঘটনা। ২০১৪ সালের নির্বাচন আর এ নির্বাচন তো এক নয়।’

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মানুষের আস্থা কমে আসছে। এ কারণে ভোট উৎসবে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়া সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ খুবই কম। এখন হাতের মুঠোয় মানুষ ভোটের সব খবর পাচ্ছে। প্রার্থীরাও ফেসবুক, ইউটিউব, লোকাল ডিস চ্যানেলে ভোট চাইছে। ডিজিটাল যুগে এমন প্রচারণার কারণে হয়তো আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার পুরনো সেই স্মৃতিগুলো চোখের সামনে কম আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভোটের উত্তাপ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উৎসবের রেশটা কোথাও বেশি কোথাও কম, মানুষ তা অনুভব করছে।’

এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৩ জন প্রার্থী। এ জেলাতে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৩ জন। এরমধ্যে নারী ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৩ এবং ৯ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ জন পুরুষ ভোটার।

রংপুর জেলায় ৮৪৪টি ভোট কেন্দ্র। এরমধ্যে রংপুরের একটি আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোট প্রদান করবে ভোটাররা।

   

ফটিকছড়িতে প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতাকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতাকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতাকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. গোলাফ মাওলা এবং নাজিরহাট পৌর যুবলীগ নেতা এম ডি মঈনুকে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন তাদের দুইজনকে জরিমানা করেন।

সূত্রমতে, ফটিকছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র গোলাফ মাওলা নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর ও উসকানিমূলক বিবৃতি দেন। যা নির্বাচনী বিধিমালার পরিপন্থি। এতে তিনি দোষ স্বীকার করায় তাকে ২০ হাজার টাকা দণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

অপরদিকে, নাজিরহাট পৌরসভা যুবলীগ নেতা এম ডি মঈনু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর ও উসকানিমূলক বিবৃতি দেন। যা নির্বাচন বিধিমালায় অপরাধ। তিনি দোষ স্বীকার করায় বিধি মোতাবেক তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলে জানান।’

;

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট এনআইডি বিতরণ ২৩ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৩ মে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে তা বিতরণ করবে সংস্থাটি।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসির এনআইডি কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ এর ধারা ২(১১) এ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধা শব্দের পূর্বে সর্বত্র 'বীর' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদের 'মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি'র ১২তম সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে 'বীর' শব্দটি সংযোজন করার সুপারিশ করা হয় এবং মুক্তিযোদ্ধার আগে 'বীর' শব্দটি ব্যবহারের জন্য সকল সংস্থায় চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া গত ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের ৮৭তম সভায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের ৯২তম সভায় 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' সংযোজনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' সংযোজন করা হলে পাসপোর্ট প্রস্তুতসহ বিদেশ গমন বা বিভিন্ন সম্মানী প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে তারা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন, এই বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনাক্রমে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের মতামত নেয়া সাপেক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রণীত জাতীয় পরিচয়পত্রে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' শব্দটি নামের পূর্বে না বসিয়ে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপ্স এর নিচে খালি জায়গায় সংযোজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপ্স এর নিচে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ইতোমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে আগামী ২৩ মে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার জন্য মাননীয় কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেই আলোকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সফলভাবে আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রস্তুতিমূলক সভায় আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সময় প্রত্যেককে একটি ক্রেস্ট দিতে পারলে সেটি তাদের সম্মানকে আরো বাড়িয়ে দেবে বলে জানান তিনি।

;

‌'নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে ছাড় নেই'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদেরকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল বা অন্য কোনো অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে কোনো ধরনের গুজব ছড়ালে ছাড় নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে। নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লুৎফুন নাহার বলেন, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া এবং ২৯ মে তৃতীয় ধাপে বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা ও চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আদলে গত ৮ মে প্রথম ধাপে সীতাকুন্ড, মিরসরাই ও সন্ধীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী ২১ ও ২৯ মে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠাতব্য চট্টগ্রামের উল্লিখিত ৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জরাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

সভায় পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কবির আহমদ বলেন, প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে জেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা দেখলে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আদলে গত ৮ মে প্রথম ধাপে এখানকার ৩টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল, আগামীতে অনুষ্ঠাতব্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান বলেন, আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। পিভিসি ব্যানার ও পোস্টার করা যাবে না। কেউ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে আমরা এক চুল পরিমাণও পিছ পা হবো না। আশঙ্কার জায়গা থাকবে না। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না। ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠু করার জন্য যা যা দরকার সবই করা হবে। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় আমাদের একটাই চাওয়া-নির্বাচনকে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করা।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী বলেন, নির্বাচনে কেউ জয়ী হবে, কেউ পরাজিত হবে, এটা বাস্তবতা ও মেনে নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সবাই আপনাদের পাশে আছে। নির্বাচনী এলাকায় অনুমতি ব্যতীত কোনো যানবাহন চলবে না। ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আনা-নেয়ার জন্য যানবাহন ভাড়া করাও অবৈধ। আগামী ২১ মে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ১৭ মে রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যাবে। ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা করা যাবে।

সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান বা পরিপত্র মেনে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে বা বাইরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করা দরকার তা-ই করবো। কোনো অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করবো না।

সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। একজন প্রার্থীর পোস্টারের উপর অন্য প্রার্থীর পোস্টার লাগানো যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। প্রার্থীরা যদি মনে করেন আছে, তাহলে তালিকা দিলে যাচাই-বাছাই করে দেখবো, আশঙ্কার জায়গা থাকবে না। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আইনের স্বপক্ষে থেকে যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্বাচনের দিন সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে ও বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক, আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট সাইফুল্লাহ হাবীব, র‌্যাবের এএসপি মোজাফফর হোসেন, এনএসআই’র সহকারী পরিচালক জহিরুল হক, বিজিবি’র সহকারী পরিচালক উপেন্দ্র নাথ হালদার প্রমুখ।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

;

ফেনী সদর উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ ধাপে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলায় ও পৌর এলাকায় নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ায় ফেনীতে বইছে উৎসবের আমেজ। ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর ও সদর এলাকা। মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।

প্রচারণার প্রথমদিনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। নির্বাচনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে বর্ধিত সভা করেছে ফেনী পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৩ মে) সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা থেকে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে বিকালে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগটি ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে শুরু হয়ে, মিজান রোড, ট্রাংক রোড, শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়ক হয়ে ফেনী বড় বাজারের বিভিন্ন পট্টি ঘুরে বড় মসজিদ রোড হয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসময় দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি দোকানপাট, পথচারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে ভোট কামনা করেন তারা।

গণসংযোগে ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন দলীয় নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সকল গণসংযোগ, বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তারা।

এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ১৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। যার মধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগের বর্ধিত সভা, সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা ও গণসংযোগ রয়েছে।

এসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি করিম উল্ল্যাহ বিকম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আইনুল কবির শামীম সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজীব, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপু, সাধারণ সম্পাদক নূর করিম জাবেদসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;