যশোরে বোমা বিস্ফোরণ, আটক ৭
নাশকতার উদ্দেশ্যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ৫টি অবিস্ফোরিত বোমা এবং বিস্ফোরিত বোমার অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৬৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ভেকুটিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে কাজী আজম, সদর উপজেলার আগ্রাইল গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মোল্যার ছেলে আনোয়ার হোসেমন, মালঞ্চি গ্রামের মৃত রাশেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী আল মাসুদ লাল্টু, মৃত আকবর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, জিরাট গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম, তালবাড়িয়া গ্রামের খালপাড়ের মৃত নওয়াব আলী মোল্যার ছেলে শামসুর রহমান, বিজয়নগর গ্রামের মোল্যাপাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সেলিম রেজা, হাসিমপুর গ্রামের বাজারপাড়ার মৃত হাজী আব্দুল্লাহ বিশ্বাসের ছেলে ফকরুদ্দিন বিশ্বাস।
এ মামলায় পলাতক আসামিরা হলেন, ফতেপুর ইউয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাউলিয়া গ্রামের কাওছার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, বারিনগর গ্রামের রওশন মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম, ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে আব্দুস সাত্তার, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মৌলভীবাড়ির আব্দুল মতলেব মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম মিলন, মৃত লতিফ মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম, শহরের পশ্চিমবারান্দীপাড়া কদমতলা মাদ্রাসা এলাকার কালু শেখের ছেলে লাল্টু, লেবুতলা গ্রামের আমজেদ মোল্যার ছেলে হাসান হাবিব, তেজরোল গ্রামের মোসলেম বিশ্বাসের ছেলে হাসান, কোদালিয়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম টুকু, মৃত আতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে সোহাগ হোসেন, এনায়েতপুর-আন্দোলপোতা গ্রামের জাহের আলীর ছেলে আব্দুর রব মোল্যা, আবু বক্কারের ছেলে দাউদ হোসেন, বালিয়া- ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত মোবারক বিশ্বাসের দুই ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম, মৃত কাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে কাজী কাশেম, খোলাডাঙ্গা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে শোয়েব আলী, সুজলপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শামসুর রহমান, মৃত করিম গোলদারের ছেলে নেছার উদ্দিন, রাজাপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে হাসান, ইছালী গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে কামরুজ্জামান, হাশিমপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বিএম মাসুদ আলতাফ বাদল, জোত রহিমপুর গ্রামের ইংরেজ আলীর ছেলে জাকির হোসেন, মাহিদিয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেন, ভাতুড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে একরামুল, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের গণি মুন্সির ছেলে ইশারত আলী, ঝুমঝুমপুরের ইমান আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, রাজাপুরের রমজান আলীর ছেলে সবদুল, ইশারতের ছেলে হাফিজুর রহমান হাফেজ, হামিদপুরের লতিফ বিশ্বাসের ছেলে পারভেজ, ফতেপুরের একুব্বারের ছেলে নয়ন, সুলতানপুরের মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ফতেপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আঞ্জারুল হক খোকন, হামিদপুরের রবিউল আওয়ালের ছেলে তরিকুল ইসলাম, ইসমাইল খাঁ’র ছেলে খলিল, ধানঘাটার আফাজ উদ্দিনের ছেলে শামসুল হক, জিরাটের বাবর আলীর ছেলে মাসুদ পারভেজ রাসেল, মৃত অমেদ আলীর ছেলে গোলাম সরোয়ার, হাটবিলার আবুল কাসেমের ছেলে সেকেন্দার মির্জা লাল্টু, রূপদিয়া খানপাড়ার মৃত জাফর খাঁর ছেলে পলাশ হোসেন, শাখারিগাতির মোদাচ্ছের আলীর ছেলে আকবর হোসেন, চিনেডাঙ্গার মৃত আসার আলীর ছেলে শমিম হোসেন, ঘুরুলিয়ার মৃত মুজিবর মোল্যার ছেলে আনোয়ার হোসেন লাল্টু, মৃত মোদাচ্ছের আলীর ছেলে সোহাগ হোসেন, মৃত বুদাই মোল্যার ছেলে গোলাম মোস্তফা, শেখহাটির হাবিবের ছেলে শিমুল, তরফ নোয়াপাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে শাহিন, বিরামপুর ভাটপাড়ার খোরশেদ মুহুরীর ছেলে আজাদ, বাহাদুরপুরের মৃত হাজী বানু বিশ্বাসের ছেলে রুহুল আমিন, পাঁচবাড়িয়ার সফিয়ার সরদারের ছেলে ইকরামুল হোসেন, সাহাপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত সাকাওয়াত হোসেনের ছেলে কাওছার আলী, নওদাগ্রামের মৃত মালেক মোল্যার ছেলে মফিজ মোল্যা, নিশ্চিন্তপুরের মৃত অমেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, তীরেরহাটের সাইফুল হকের ছেলে খলিল, ছাতিয়ানতলার মৃত মতলেব আরী ছেলে আবু তালেব, মৃত আক্কাছ সরদারের ছেলে তপন এবং বেলেডাঙ্গার মন্ডার ছেলে হাফিজুর রহমান।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতার উদ্দেশ্যে আটক ও পলাতকসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১৫০ জন আসামি শহরের খড়কি শাহ আব্দুল করীম রোডের জনৈকা মাহফুজার চায়ের দোকানের সামনে থেকে মুজিব সড়কে আসার চেষ্টা করে। এমন সময় তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে পুলিশ ওই ৭ জনকে আটক করে।