ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী অধিকার ও ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মাওলানা সৈয়দ মুফতি মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

তিনি বলেন, আমরা এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছি। এ দেশ আমাদের। নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে বলবো, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করতে হবে, এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এটা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করে না। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটা দুঃখ এবং নির্লজ্জ ব্যাপার।

রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন, সার্বিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় ধর্ম ও রাজনীতির সমন্বয়, শুধু আইনের শাসন নয়; ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচন, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, আইন ও বিচার, শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প বাণিজ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, শিশু-কিশোর কল্যাণ, অমুসলিম নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা, নারী অধিকার ও ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাসহ ৩০ টি বিষয় নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করে  ধর্মভিত্তিক এই রাজনৈতিক দলটি।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত, উন্নত ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করে জনগণকে নানা সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচনী ইশতেহারে। নাগরিক সুবিধার্থে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যেসব কাজকে প্রাধান্য দেয়া হবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-স্বাচ্ছন্দ্যে ক্রয়ের জন্য খাদ্যমূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ কমানো হবে।

জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা এবং শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জ্বালানি তেল গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম ৩০ শতাংশ কমানো হবে। মানবিক কারণে রিকশা ভ্যান ও ঠেলা গাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। বাস ট্রাক মাইক্রোবাসসহ সকল গণপরিবহনের লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে।

জমির খাজনা, সকল ধরনের টোল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স ৩০ শতাংশ কমানো হবে। কৃষকের উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নেয়ার স্বার্থে সার, সেচ ও বীজ অর্ধেক মূল্যে দেয়া হবে।‌ শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তাদের বেতন দ্বিগুণ করা হবে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসা ব্যয় ৫০ শতাংশ কমানো হবে। চলাচলের সহজলভ্যতার জন্য সকল সেক্টরের পরিবহণ ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানো হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হবে।

শিক্ষার্থীরা পড়াকালীন সময়ে যাতে পুঁজি সঞ্চয় করে স্বাবলম্বী হতে পারে; এ লক্ষ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট সেভিং ব্যাংক (এসএসবি) গঠন করা হবে। সকল মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিন ও খাদেমকে সম্মানজনক ভাতা দেয়া হবে। সকল মন্দির ও গির্জাসহ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সেবককে সম্মানজনক ভাতা দেয়া হবে।

আয়কর ও ভ্যাট কমানো হবে।

আমদানি ও রফতানি শুল্ক ৩০ শতাংশ কমানো হবে। সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ২৫ শতাংশ বাড়ানো হবে।  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ ইউনুস আলী, সদস্য সচিব আশরাফ আলী আখনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

   

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।

;

লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু,কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকালে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

নারী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্টাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। 

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। 

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের কোন স্থান দেয়া হবে না। তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জাল ভোট ও বহিরাগত কাউকে ভোটকেন্দ্র এলাকায় দেখলে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি। 

;

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;