রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রার্থীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হামলা, মামলা, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও ভাঙচুরসহ নানান অভিযোগের ঝুড়ি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন কক্সবাজারের চারটি আসনের প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

সভার শুরুর কিছুক্ষণ পরই পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ জানান চারটি আসনের বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধিরা।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজল অভিযোগ করে বলেন, রামুতে আমাকে কোন অফিস করতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনী প্রচারগাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আমাদের ওপর হামলা করে উল্টো আমাদেরকে মামলা দেওয়া হয়েছে। এরকম মামলার সংখ্যা ১১ টি। এসব মামলায় বিএনপির সাড়ে ৩ শ লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এসব ঘটনার পর সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করাও মুশকিল।

একই আসনের মহাজোটের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, বিপরীত প্রার্থীর লোকজন আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নাজেহাল ও মারধর করছেন। বিএনপির প্রার্থীর লোকজন খুবই উত্তেজিত অবস্থায় আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির প্রার্থী সবাইকে লাঠি হাতে নিতে বললেন। তাদের এত উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই তার সমর্থকরা উত্তেজিত অবস্থায় রয়েছে। যদি তিনি এমন বক্তব্য না লিখতেন তাহলে বিষয়টি মুখোমুখি হত না। আমার এক নেতার মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দুইটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমার বিপক্ষে এত অভিযোগ দেয়াও ঠিক না। আমি ঘটনাস্থলে নেই তবুও অভিযোগ করা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। নির্বাচনে আমার দিক থেকে কোন বাধা নেই।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী হাসিনা আহমেদের প্রতিনিধি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না বলেন, গণসংযোগকালে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আহত বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হাসপাতালে দেখার পর হাসিনা আহমেদ থানায় গেলে সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ওই সময় থানাতেই দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। ডুলাহাজারায় গণসংযোগকালে হাসিনা আহমেদের উপর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন হামলা চালায়। এসময় ৩৫ জনের মত আমাদের নেতাকর্মী সমর্থক আহত হয়। এছাড়াও অনেক জায়গায় ফাঁকা গুলিবর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে।

একই আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাফর আলমের প্রতিনিধি মো. নুরুল আবছার বলেন, তিনি (হাসিনা আহমেদ) থানার ভেতর থেকে নিজেই বের হননি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তৈরির জন্যই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যাননি।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) মহাজোটের প্রার্থী শাহিন আক্তারের পক্ষে তার স্বামী ও সাবেক আলোচিত সাংসদ আব্দুর রহমান বদি বলেন, বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী গতকালকেও একটি গাড়ী ভাঙচুর করেছে। এরআগেও গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বারবার অনুরোধ করেছি যাতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিএনপির প্রার্থীর কারণে যেকোনো মুহূর্তে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই আমি অনুরোধ করছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতেও তিনি এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে এসব পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

একই আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ওনার (বদি) দেওয়া বক্তব্যটাকে তদন্ত করে আপনি এ্যাকশনে যান জেলা প্রশাসক মহোদয়। আমরা মিথ্যের আশ্রয় নেই না। আপনার সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ একজন প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার জন্য তারা বেশ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের ভোট না দেওয়ার জন্য তারা ভোটারদেরকে আহবান করছে। আমি এধরণের নজির কখনো দেখিনি। বিভিন্ন জায়গায় মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এছাড়াও আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা সভায় হামলা, ভাঙচুর, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ নানান অভিযোগ করেন।

সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার চেয়ে কক্সবাজারের নির্বাচনী পরিস্থিতি অনেক ভাল। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ইতিমধ্যে মাঠে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আপনাদের অভিযোগগুলো বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

   

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই উপজেলার সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা এবারও একই পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম আক্তার মুক্ত মারা যান।

নির্বাচন স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাছাড়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীগণকে প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে। উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।

গোপালপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন।

;

রাজশাহীর পবার নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।

;

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;