মাশরাফির বাবার বিশ্বাস-ছেলে রাজনীতিতেও জয়ী হবে



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল থেকে: নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজার চেয়ে তার বাবা গোলাম মর্তুজাই একটু বেশি ব্যস্ত। নড়াইল-২ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ছেলের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের দেখভাল তিনিই করছেন। বিশ্রাম নেয়ার সুযোগই পাচ্ছেন না। ব্যস্ততা, পরিশ্রম সব কষ্ট ভুলে যাচ্ছেন গোলাম মর্তুজা যখন দেখেন তার ক্রিকেটার ছেলেকে মানুষ এত ভালবাসে। নড়াইলের মহিষখোলায় নিজের বাসভবনে বার্তা২৪ এর সঙ্গে মাশরাফির নির্বাচন নিয়ে বললেন অনেক কথা।

গ্রাম পর্যায়ে নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা গোলাম মর্তুজার আছে। এবার ক্ষেত্রটা অনেক বড়; জাতীয় নির্বাচন। প্রার্থী আবার ছেলে! নতুন সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মাশরাফির বাবা বলছিলেন-‘ জাতীয় নির্বাচনের পরিসর-ব্যাপ্তি অনেক বড়। অনেক নিবিঢ়ভাবে কাজ করতে হচ্ছে। প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে। শারীরিক ধকল যাচ্ছে। তবে সেই পরিশ্রমের কথা আর মনে থাকে না, যখন দেখি মাঠে-ঘাটে, গ্রামে মাশরাফির জন্য এত ভালবাসা ছড়িয়ে আছে। এত মানুষ আমার ছেলেকে ভালবাসে! যার কাছেই যাচ্ছি সবাই মাশরাফিকে স্বতফুর্তভাবে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছে। মানুষের এই ভালবাসায় মাশরাফির বাবা হিসেবে আমি আনন্দিত, আপ্লুত।’

 

ক্রিকেট তো অনেকেই খেলে। কিন্তু সবাই মাশরাফির মতো এমন উদাত্ত, একহারা ভালবাসা পায় কই? মাশরাফির মধ্যে ভালবাসার কি অমন অমোঘ আকর্ষণ? আরো অনেকের মতো এই প্রশ্নটা মাঝে মাঝে গোলাম মর্তুজার মনেও উঁকি দেয়-‘সত্যি বলতে কি আমি নিজেকে মাঝে মাঝে এটা ভাবি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যখন গিয়ে যখন দেখি এখানে মাশরাফির জন্য ভালবাসার ছড়াছড়ি। এমনও মানুষ আছে যারা তাকে কখনো দেখেনি, শুধু হয়তো খেলার কারণে নামটা শুনেছে, সেই মানুষেরাও মাশরাফির প্রতি ভালবাসার ডালা সাজিয়ে বসে আছে। ক্রিকেট দিয়েই তার পরিচিতি। তারপর নিজের ও দেশের খেলা দিয়ে সে মানুষের কাছে ভালবাসার মানুষ হিসেবে কাছে এসেছে। তার প্রতি মানুষের এই যে শর্তহীন ভালবাসা, এটা দেখে আমিও মাঝে মাঝে বিস্মিত হয়ে ভাবি মানুষের চেয়ে বড় সত্য আসলে আর কিছু নাই!

নির্বাচন মানেই কিন্তু ক্রিকেটের মতো শুধু হাততালি নয়। নির্বাচন মানেই সমস্যার অন্য নাম। আর পলিটিক্স, শব্দটা শুনলেই যে অনেকে আবার চোখ বড় করে তাকান। তবে নড়াইলের নির্বাচনে এখানেও মাশরাফি ব্যতিক্রম। দিনভর নড়াইল-২ আসনের কয়েকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ঘুরে কোথাও কোন সমস্যা বা অ-সম্প্রীতির খোঁজ মেলেনি। সব বয়সের, সব পেশার মানুষ ‘মাশরাফি ভাইয়ের’ ভোটের জন্য কিছু একটা করতে আগ্রহী!

এই প্রসঙ্গে গোলাম মর্তুজা বললেন-‘নির্বাচনে তো দল-প্রতিপক্ষ থাকবেই। বিভিন্ন দলের প্রার্থী তো থাকেই। তারপর মাশরাফির আসনে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর কিছু আমার চোখে ধরা পড়েনি। আমরা সবাই খুব শান্তিপূর্ণ এবং সম্প্রীতির মধ্যে দিয়েই নির্বাচকালীন সময়টা পার করছি। চারধারে বেশ উৎসব উৎসব একটা আমেজ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তো বিশাল একটা দল। আর নড়াইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা শক্ত অবস্থান আছে অনেক আগে থেকেই। জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহিলা জেলা আওয়ামী লীগ ও থানা শাখা সবাই বেশ স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনে কাজ করে যাচ্ছেন।’ 

মাশরাফির রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গোলাম মর্তুজা জানালেন-‘সত্যি বলতে কি আমরা সবসময়ে চেয়েছি নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে। আর আমার ছেলেও নির্বাচন থেকে দূরে থাকতেই চেয়েছিলো। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই যখন মাশরাফির ব্যাপারে আগ্রহ পোষণ করছেন, তখন আমরা মাশরাফির নির্বাচনে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার ছেলেকে বলেছি, তুমি যেহেতু বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছিলে, সফল হয়েছো, আমার বিশ্বাস তুমি এখানে রাজনীতিতেও সফল হবে।’

-রাজনীতি কেমন কঠিন হবে মাশরাফির জন্য?

গোলাম মর্তুজা জানালেন-‘এটা তো নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। খেলাধূলা এক মেরু। আর রাজনীতি সম্পূর্ণ আরেকটি ভিন্ন মেরু। খেলাধুলায় নিজস্ব পারফরমেন্সেই তেরি করতে হয়। কিন্তু রাজনীতি শুধু নিজস্ব পারফরমেন্সে হয় না। এখানে সামগ্রিক একটা বিষয় কাজ করে। সবাইকে নিয়েই সফল হতে হবে এখানে। সেই দৃস্টিকোন থেকে অবশ্যই রাজনীতি মাশরাফির জন্য চ্যালেঞ্জিং একটা ধাপ হবে।

তবে বাবা হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, খেলার মাঠে মাশরাফির যেমন ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব গুন দেখা গেছে, এখানে এই রাজনীতির মাঠেও সেটা সে করে দেখাতে পারবে। যেহেতু তার কোন লোভ-লালসা নেই। সে কখনো নিয়মের বাইরে যাবে না। অন্যায় কোন কিছুর সঙ্গে সে যাবে না। সততা নিয়ে, মানুষের ভালবাসা নিয়ে, একজন গ্রহণযোগ্য মানুষ হিসেবেই রাজনীতিতে মাশরাফির আত্মপ্রকাশ ঘটবে।’ 

২৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে নড়াইলে মাশরাফির প্রচারণা শুরু হবে। ২২ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রতিটিতে যাবেন বলে আশা করছেন মাশরাফি। প্রচারণার জন্য সবমিলিয়ে তিনি মাত্র পাঁচদিন সময় পাবেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই এতো বিশাল জায়গা জুড়ে তাকে গনসংযোগ চালাতে হবে। তবে কোন জনসভার আয়োজন রাখা হয়নি।

   

রামগঞ্জে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা, আটক ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পশ্চিম কাজিরকজীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্র এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করে।

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পথে তারা একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এসময় অটোরিকশা চালক বৃদ্ধ মনু মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, রামগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম ও পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। পথে পথে ভোটারদেরকে বাধা দেওয়া হয়। এতে অনেক ভোটার ভোট না দিতে পেরে ফিরে গেছেন। ঘটনার সময় তারা দখলের জন্য কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। এতে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে হামলাকারীরা চাটখিল-রামগঞ্জ সড়কে একটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এসময় অটোরিকশা চালক মনু মিয়াকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত মনু মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় প্রশাসন। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে কারো নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

তবে হামলা বা কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনায় প্রশাসনের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

আহত রিকশা চালক মনু মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি করপাড়া বদরপুর গ্রামে। আমি ভাড়া নিয়ে এসেছি। ৫ জন যাত্রী ছিল। হঠাৎ করে একদল লোক আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। আমার ডান হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আমার হাত ভেঙে গেছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রামগঞ্জে ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। টাটা হলেন ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস), দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল), ফয়েজ বক্স বাবুল (দোয়াত কলম) ও মো. মোশাররফ মুশু (ঘোড়া)। এ উপজেলায় ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর (মোটরসাইকেল) কেন্দ্র। গত পৌরসভা নির্বাচনেও দেওয়ান বাচ্চুর ভাই দেওয়ান ফয়সাল একজন কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করে। ওইসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।

;

দেবহাটায় পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আল ফেরদাউস আলফার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটগ্রহণের দিন উপজেলার দেবীশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে ঘেরাও করে রাখেন। এসময় হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী আলফার এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। আর এর নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান।

এব্যাপারে দেবীশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে কী ঘটেছে, সেটা সমন্ধে অবগত নন তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমার কাছে হেলিকপ্টার প্রার্থীর কোনো এজেন্ট ফর্ম জমা দেননি। এজন্য বুথগুলোতে ওই প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট নেই। তবে বিষয়টি সমন্ধে প্রার্থী অভিযোগ দেওয়ার পর এজেন্টদের আসতে বলা হয়েছে’।

এ ব্যাপারে হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী আল ফেরদাউশ আলফা বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রভাব সৃষ্টি করতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। শুধু দেবীশহর নয়, আরো অনেক জায়গাতে ভোটকেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর কর্মীসমর্থকেরা।

;

শ্রীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শিক্ষককে জেল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের শ্রীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক স্কুল শিক্ষককে তিন দিনের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক কামরুল হাসান খান (৪৪) উপজেলার রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০ টার দিকে শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের গোসিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের বাহিরে দাঁড়িয়ে ভোটারদের জোর করে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা এবং প্রকাশ্যে প্রচারণার অভিযোগে ওই শিক্ষককে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তাকে তিন দিনের জেল দেয়া হয়।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শোভন রাংসা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

পুলিশ-প্রশাসনের ‘পার্সোনাল টাচ’ ম্যাজিকের মতো কাজ করছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেছেন, কুমিল্লার নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের ‘পার্সোনাল টাচ’ ম্যাজিকের মতো কাজ করছে। যেখানেই সমস্যা হচ্ছে, সেখানেই তারা হাজির হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণের সুয়াগঞ্জ টি এ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কলিম উল্লাহ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সহিংসতা দেখিনি। বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারও বাড়ছে। আমরা আশা করছি, একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার সদর দক্ষিণ উপজেলার তিনবার মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার এবার চতুর্থবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী একই পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু।

এদিকে, বরুড়া উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা এ কে এম মঈনুল ইসলাম এবারও প্রার্থী হয়েছেন। তার সঙ্গে ভোটযুদ্ধে আছেন হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল।

;