নির্বাচনী ঝড়ে চাঙা চায়ের দোকানগুলো



মিলিতা বাড়ৈ মুন্নি, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী ঝড়ে চাঙা চায়ের দোকানগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচনী ঝড়ে চাঙা চায়ের দোকানগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি থেকে: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজবাড়ী-২ আসনের ৩টি উপজেলায় (বালিয়াকান্দি, পাংশা ও কালুখালী) জমে উঠেছে চায়ের দোকানগুলো। কনকনে শীতের ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে প্রতিটি চায়ের দোকানে চলে নির্বাচনী আড্ডা। আর এই ফাঁকে লাভবান হচ্ছে চা বিক্রেতারা।

মূলত নির্বাচনকে ঘিরে এখন সব শ্রেণির মানুষের পদচারণায় মুখরিত চায়ের দোকানগুলো। এই সময়টাতে মানুষের মধ্যে যেন কোনো ধরনের শ্রেণিগত বৈষম্য থাকে না। কুশল বিনিময় করে একে অপরের সঙ্গে। তৈরি হয় অন্য রকম এক পরিবেশের।

এছাড়া নির্বাচনী আড্ডায় চায়ের দোকানগুলোতে কে কাকে ভোট দেবে তা নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে গায় নানা গুণগান। এ সময় নিজের মতের বিপক্ষে গেলে বেঁধে যায় বাগ-বিতণ্ডাও। তবে বাগ-বিতণ্ডা বেঁধে গেলেও মুহূর্তেই নিজেদের সামলে নিচ্ছে তারা।

সরেজমিনে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা হয় রাজবাড়ী-২ আসনের বালিয়াকান্দি সদর উপজেলার পূর্ব মৌকুড়ী গ্রামের চা বিক্রেতা মো. শাহ আলমের। তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমার দোকানে প্রতিদিনই ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে নির্বাচনী আড্ডা। এই সুযোগে আমার বেচাবিক্রি ভালোই হয়। নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে আমার দোকানের বিক্রি তত বাড়ছে। প্রতিদিন আমার দোকানে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চা খেতে আসেন বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা শাখাওয়াত হোসেন বিপ্লব। এছাড়া অন্য দলের নেতাকর্মীরাও চা খেতে আসে।’

চা বিক্রেতা শাহ আলম আরও বলেন, ‘আগে আমার প্রতিদিন ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা বিক্রি হত। এখন প্রায় ২২শ থেকে ২৪শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সামনে বিক্রি আরও বাড়বে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/18/1545115286941.jpg

স্থানীয় মজিদ মোল্লা নামে অপর এক চা বিক্রেতা জানান, আগে প্রতিদিন তিনি ৪শ থেকে ৫শ টাকার চা বিক্রি করতেন। এখন তার বিক্রি ১২ থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত হয়।

অপরদিকে নির্বাচনকে ঘিরে একটু বাড়তি উপার্জনের আশায় বালিয়াকান্দি উপজেলার গ্রামগুলোতেও গড়ে উঠেছে মৌসুমি চায়ের দোকান।

বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিরাজ শিকদার বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে চায়ের দোকান দিয়েছি। পাশাপাশি বিস্কুট, কেক, পান, সিগারেটও রেখেছি। প্রতিদিন আমার দোকানে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আমার মতো অনেকেই এ এলাকায় মৌসুমি চায়ের দোকান দিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজবাড়ী-২ আসনে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম (নৌকা), বিএনপি জেলা সহ-সভাপতি নাসিরুল হক সাবু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এবিএম নুরুল ইসলাম (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের নুর মোহাম্মদ মিয়া (হাত পাখা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. নাজমুল হোসেন (ছড়ি)।

এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৬২ হাজার ১৬৮ জন। এখানে ১৯৭১ সালের পর আওয়ামী লীগ চার বার, বিএনপি দুই বার, জাতীয় পার্টি দুই বার, জাসদ একবার ও জামায়াত একবার জয়লাভ করেছে।

   

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।

;

লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু,কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকালে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

নারী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্টাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। 

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। 

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের কোন স্থান দেয়া হবে না। তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জাল ভোট ও বহিরাগত কাউকে ভোটকেন্দ্র এলাকায় দেখলে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি। 

;