ফরিদপুর-৩ আসনে অপ্রতিরোধ্য মোশাররফ
ফরিদপুর থেকে: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মাঝে।
তবে গত দশ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে অপ্রতিরোধ্য অবস্থায় রয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুসংঠিত অবস্থানও নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা পাবেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা।
এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি এখনও সংগঠিত না হওয়ায় নির্বাচনে এর প্রভাব ফেলবে, ফলে ভোটের অংক হেলতে পারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দিকে।
ফরিদপুর-৩ আসনের এসব সমীকরণের হিসেব দেখলেই সহজেই বুঝা যাচ্ছে, বিগত দুই সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও আসনটি আওয়ামী লীগের ঝুলিতে যেতে পারে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১০ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭৫০ কোটি টাকা, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৭০০ কোটি টাকা, এলজিইডি খাতে ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা ও গণপূর্ত বিভাগের ৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে ফরিদপুর জেলায়।
এ ছাড়া শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তরেও চলছে উন্নয়ন। আর এসব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ফরিদপুর জেলায় আনার পেছনে সব থেকে বেশি অবদান ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। ভোটাররা বিষয়গুলো মাথায় রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ফরিদপুরের উন্নয়ন চিত্র শুধুমাত্র কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ নয়। চোখে লাগার মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই দৃশ্যমান ফরিদপুর-৩ আসন ও এর আশপাশের এলাকায়। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে নানা খাতে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এই উন্নয়নের মহাযজ্ঞের প্রতিক্রিয়া ফরিদপুর-৩ আসনের ভোটার মধ্যেও দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগের সরকারে আমলে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ফরিদপুর উপজেলা ও ফরিদপুর-৩ আসন এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
যা আগের কোনো মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের আমলে হয়নি। ফলে এ আসনের ভোটাররা উন্নয়নের রূপকার ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনেই আবারও ভরসা রাখতে চাচ্ছেন।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) ফরিদপুর-৩ আসনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে উন্নয়নের চিত্র ও ভোটারদের মনোভাব দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু নায়ীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত দশ বছরে আমাদের নেতা ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন একাধারে যেমন জেলার অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, তেমনি স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করছেন। ফলে নির্বাচনে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভেতরে কোনো কোন্দল না থাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম আরও বেগবান।
অন্যদিকে ফরিদপুর-৩ আসনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, দিন রাত আমরা ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভাইয়ের উন্নয়নের সফল বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। প্রতিদিন ২শ’ কর্মী নিয়ে আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছি। ভোটারাও আমাদের নেতার ওপর আস্থাবান।
আওয়ামী লীগের এমন সুসংহত অবস্থায় প্রধান বিরোধী জোট বিএনপি কোন্দলে জেরবার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপি ৩টি গ্রুপে বিভক্ত। ফলে ভোটের মাঠে ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে পাওয়া যাচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে প্রচারণাতেও। সক্রিয় প্রচার-প্রচারণা এখনও সেভাবে দেখা যায় না।
অভিযোগ রয়েছে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুফ গত ১০ বছর এলাকায় তেমন আসা-যাওয়া করেননি। ফলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। প্রভাব দেখা যাচ্ছে, বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রমে।