মরাকে মেরে লাভ নেই: আ স ম রব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘সব কিছুর শেষ আছে, মরাকে মেরে লাভ নেই। আমি আসম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ডা. জাফরুল্লাহ, হাসান উদ্দিন সরকার আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না। আমরা কয়েকবার মারা গিয়েছি।’
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ অভিমুখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম পথসভায় গাজীপুরের টঙ্গীতে ধানের শীষের প্রার্থী সালাউদ্দিন সরকারের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রব বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেন নাই। আমাদের জীবনের শেষ অংশে ধানের শীষ নিয়ে ৩০ তারিখে জয়লাভ করে গণ বিপ্লব, গণ জাগরণ করার জন্য গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নেমেছি। এ লড়াইয়ে জিততে হবে। এ লড়াই বাঁচা মরার লড়াই।’
৭০-এর নির্বাচনে যেমন ভোটের বিপ্লব হয়েছিল এবার ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটের বিপ্লবে ধানের শীষের বিজয় হবে বলে দাবি করেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রব বলেন, ‘শক্তিশালী কেন্দ্র কমিটি গঠন করে ভোটের আগের দিন রাত থেকে কেন্দ্র পাহাড়া দিতে হবে। ভোটের আগের রাতে যেন সিল মেরে ব্যালটবক্স ভরে রাখতে না পারে সে ব্যাপারে কড়া পাহারা দিতে হবে।’
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ রাত থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত মা বোনদের ওপর যে কমান্ডো বাহিনী অত্যাচার করেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে, সেই বাহিনীর কমান্ডারের হাতে শেখ হাসিনা নৌকা তুলে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক ঐকের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এবার আমরা যুদ্ধে নেমেছি। এ যুদ্ধে তাদের কাছে অস্ত্র আছে আমাদের কাছে নেই। মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। ওদের পক্ষে নেই। এখন ভোটের লড়াই শুরু হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিলে তারা লেভেল হয়ে যাবে। এ ভয়ে তারা নির্বাচনে লেভেল ফিল্ড দিচ্ছে না। যতই অত্যাচার নির্যাতন করুক আমরা এখন জবাব দিব না। ৩০ তারিখের নির্বাচনে এমন জবাব দিব যে, তারা মুখ দিয়ে আওয়াজ করতে পারবে না।
মান্না বলেন, ‘যতই অত্যাচার নির্যাতন করুক না কেন আপনারা ঘাবড়াবেন না। এবার লড়াই হবে ভোটের ও ব্যালটের।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন, দুঃশাসনের অবসান, ব্যাংক লুট, দুর্নীতি ও অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। মানুষের অধিকার রক্ষার নির্বাচন। ক্ষমতাসীনরা হারতে চায় না তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়। যারা অত্যাচারী হয় আল্লাহ তাদের পছন্দ করে না। তারা পরাজিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, নেত্রীর মুক্তির স্বার্থে মাটি কামড় দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।’
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন প্রমুখ।