ঢাকা-৩: ড্রাইভিং সিটে আ'লীগ, ব্যাকফুটে বিএনপি



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপরে: আ'লীগের পোস্টার প্রচারণা, নিচে: বিএনপির অফিস খালি, ছবি: বার্তা২৪

উপরে: আ'লীগের পোস্টার প্রচারণা, নিচে: বিএনপির অফিস খালি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে চলছে নির্বাচনী হিসেব নিকেশ। কোন আসনে কোন দলের প্রার্থী এগিয়ে, আবার এসব সমীকরণ ভোটের আগে কতটুকুই বা প্রভাব ফেলবে। এ ধরনের নানা জল্পনা কল্পনা ও নির্বাচনী আড্ডার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াচ্ছে সব জায়গায়।

যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল। তাই তাদের প্রার্থীদেরকে নিয়েই চলে সারা দেশে নির্বাচনী আলোচনা। তবে ১১ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজনীতির মাঠের হিসাব নিকাশ আরও চাঙ্গা হয়েছে।

আর এ রকম রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ চলছে ঢাকা-৩ আসনেও। এই আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী লড়ছেন ভোটের ময়দানে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে লড়ছেন বর্তমান এমপি বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে লড়ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

নির্বাচনী মাঠে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিকে নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা ও হিসাব নিকাশ। শেষ পর্যন্ত ভোট যুদ্ধে শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়ে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।

নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। সেই তুলনায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এখনো ঢাকা-৩ আসনে বিএনপিকে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামাতে পারেনি। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা সেটাই প্রমাণ করে। আ’লীগ প্রচারণা শুরু করলেও বিএনপিকে এখনও এলাকাগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সে কারণে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা থেকে শুরু করে বিপুর থেকে সব দিকে পিছিয়ে পড়ছে গয়েশ্বর চন্দ্র। সব কিছু মিলিয়ে ঢাকা-৩ আসনে এখন পর্যন্ত ড্রাইভিং সিটে রয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্যাকফুটে বিএনপি।

তবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত একই হিসাব থাকছে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সন্দেহ থাকলেও আপাতত বলা যাচ্ছে ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা-৩ আসন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই অংশে ভাগ থাকলেও দলীয় নেতাদের মধ্যে কোনো অন্তর্কোন্দল নেই। এই আসনে নসরুল হামিদকে নির্বাচনে জয়ী করতে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য বলে মনে করছেন। তাছাড়া ঢাকা-৩ আসনে গত কয়েক বছর ধরে নসরুল হামিদ বিপু অনেক উন্নয়নমুখী কাজ করছেন। ফলে একটি সত্য এবং কর্মশীল জনপ্রতিনিধি ইমেজ গড়ে উঠছে স্থানীয় ভোটার মাঝে। তাই এই আসনে তাকে শক্ত চ্যালেঞ্জ করার প্রার্থী নেই বলেই তারা মনে করছেন।

এ বিষয়ে আগানগর ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকা-৩ আসন আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। নসরুল হামিদ বিপুকে আবারও সংসদ সদস্য করতে বদ্ধপরিকর ঢাকা-৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রয়াসের প্রতিচ্ছবি ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে দেখা যাচ্ছে। অন্য যেকোনো দলের প্রার্থী থেকে ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অনেক এগিয়ে।

এদিকে, ঢাকা-৩ আসন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ আসন থেকে তাদের দলীয় প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দলের বিগত সংসদ সদস্য আমান উল্লাহ আমান ঢাকা-২ আসনে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বিএনপিতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা আলাপ আলোচনাও নাকি করতে চান না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আর এ সব কারণেই ঢাকা-৩ আসনে নির্বাচনের মাঠে ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দলীয় সমস্যা সমাধান করা না হলে ঢাকা-৩ আসনে জয়ী হওয়া বিএনপির পক্ষে সম্ভব হবে না বলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা আশংকা করছেন।

এ বিষয়ে জিঞ্জিরা ইউনিয়ন বিএনপির আবুল বাসার নিজের দলীয় পদ না প্রকাশ করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলছে কিছুটা ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারাতে হলে স্লো কাজে কাজ হবে না। দ্রুত এবং শক্তিশালী ভূমিকা নিয়ে এগোতে হবে, যা এখনো ঢাকা-৩ আসন বিএনপি করতে পারছে না।

তিনি বলেন, এর জন্য কিছুটা হলেও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দায়ী। কেননা তিনি ঠিক মতো নির্বাচনী এলাকায় আসছেন না, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতও করছেন না। তাহলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উৎসাহ পাবে কিভাবে? আর এই কারণে বিএনপির অনেক ওয়ার্ড অফিস বন্ধ রয়েছে।

   

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই উপজেলার সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা এবারও একই পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম আক্তার মুক্ত মারা যান।

নির্বাচন স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাছাড়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীগণকে প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে। উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।

গোপালপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন।

;

রাজশাহীর পবার নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।

;

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;