তরুণদের ভাবনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ



রকিব কামাল, স্টাফ করেসপেন্ডন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অলি-গলিতে ছেয়ে গেছে ব্যানার, পোস্টার, তোরণ, দেয়াল লিখন আর প্যান্ডেলে। পাড়ার অলি-গলিতে কিছুক্ষণ পর পর জটলা, শোভযাত্রায় বাজছে মাইকের শব্দ। চারপাশেই উৎসবের আমেজ। কয়েকদিন আগেও নিশ্চুপ এলাকাটিতে এখন শোভা পাচ্ছে নির্বাচনী হাঁকডাক।

সরগরম এমন পরিবেশে বৃদ্ধা,কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে নানা বয়সীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মানুষ। কেউ বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন অন্যকে, কেউ সালাম চেয়ে দোয়া নিচ্ছেন, কেউবা শুনাচ্ছেন আশার বাণী। অনেকে মিশে যাচ্ছেন জনসমুদ্রের সাথে।

ভাতৃত্ব, সৌহার্দ্য আর ভালোবাসার এমন বন্ধনের চিত্রপট চোখে পড়তে শুরু করেছে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে এই মিলন ক্ষণিকের জন্য হলেও ধরা দিয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। জানান দিচ্ছে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ভোট উৎসবের আগমনী বার্তা।

উন্নয়ন, পরিকল্পনা আর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে দেখিয়ে গণসংযোগে আদ্যপ্রান্তে চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। এবারই গ্রামের সেতুটির কাজ শুরু হবে, স্কুলে নতুন বেঞ্চ আর বইয়ে মম করবে চারদিক, গ্রামে বিদ্যুৎ আসবে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে, বিধবা ভাতা মিলবে, কষ্টের দিন দূর হবে, গ্রাম-শহরের দূরত্ব ঘুচবে এমন জল্পনা-কল্পনার আশা বাঁধতে শুরু করছে ভোটারদের মনে। সেই দিনক্ষণের অধীর আগ্রহ ঠিকরে পড়ছে লাল সবুজ ভূখণ্ডে।

এক্ষেত্রে প্রার্থীদের উন্নয়নের গল্প আর প্রতিশ্রুতির মাঝে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেছে নিবেন পছন্দের প্রার্থীকে। রাজনৈতিক মেরুকরণ, জোট, সুশাসন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসনের পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকবে বলে মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। এই তরুণরাই নেতৃত্ব দিবেন নতুন দিনের।

তারা জানান, বর্তমান তরুণরা মেধাবী, সাহসী, উদ্যমী, সৃজনশীলতায় পারদর্শী। কোটা সংস্কার, গণজাগরণ মঞ্চ, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মতো বিষয়ে তরুণরা দেখিয়ে দিয়েছেন তাদের মতামত। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের লালিত স্বপ্ন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/12/1544602829781.gif

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রতিটি আন্দোলন- সংগ্রামে রেখেছে বলিষ্ঠ ভূমিকা। দেশের নির্বাচনে ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। ক্লাস-পরীক্ষার মাঝেও শিক্ষার্থীদের আড্ডায় ঘুরে ফিরছে নির্বাচনের ডামাডোল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানা যায় তাদের নির্বাচন নিয়ে ভাবনা ও ভবিষ্যতের কথা। তরুণ ভোটারদের মাঝে উচ্ছ্বাসের সাথে উঠে এসেছে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ, নতুনের আবাহন আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনুভা তাহসিন। তিনি চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী) সংসদীয় আসন থেকে প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'প্রথমবারের মত ভোট দিব, তাও আবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমের) মাধ্যমে। ছোটবেলা থেকে সবসময় টেলিভিশনে ভোটের কথা শুনতাম। এবার ভেবে-চিন্তে ভোট দিব।'

ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে ভাবনার প্রতিক্রিয়ায় তাসনুভা বলেন, 'আমরা বিশ্বে এমন জাতি যারা ভাষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে স্বাধীনতা অর্জন করছি। এরই পরিক্রমায় ৪৭ বছর পেরিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, নারী শিক্ষার অগ্রগতি, অর্থনীতির সূচক বেগবান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বাক্ষর রেখেছি। আমাদের এমন অগ্রযাত্রা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের কাছে ঈর্ষার বিষয়। এক্ষেত্রে একজন তরুণ ভোটার হিসেবে প্রথমেই চাইব দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা হোক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিতে আটকে না থেকে এলাকার উন্নয়ন করুক। সমাজে সব ধরনের বৈষম্য কমে আসুক। আরেকটি প্রত্যাশা নতুন বছরে দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হোক। দলমত নির্বিশেষে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুক।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম জুয়েল বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'প্রতি বছর দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী পাশ করার পরে চাকরি পাচ্ছে না। অনেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। বেকারত্ব দূর করে যারা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী ও শক্তিশালী করে তুলতে ভূমিকা পালন করবে এমন প্রার্থীকে বেছে নিব।'

ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান বার্তা২৪.কমকে জানান, 'বৈশ্বিক জলবায়ুর কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। এরপরে দেশের অভ্যন্তরে অব্যাহত নদী দূষণ, দখল, ভরাট, বন্যপশু আক্রান্ত, গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা যতটা উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা করি, পরিবেশকে ততটাই অবহেলা করি। আমি চাইব উন্নয়নের হাত ধরে পরিবেশ বিষয়েও প্রার্থীদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে। এমন প্রার্থীকে আমার পছন্দ।'

সংগীত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদ জানান, 'দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কার মাথা ব্যথা নেই। প্রায় সময় তাদের বাড়ি ঘর, ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ের দাবি জানাই। এমন প্রার্থী যে দলের হোক তাকে আমি ভোট প্রদান করব।'

   

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই উপজেলার সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা এবারও একই পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরিয়ম আক্তার মুক্ত মারা যান।

নির্বাচন স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাছাড়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতঃপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীগণকে প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে। উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।

গোপালপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন।

;

রাজশাহীর পবার নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

নতুন মেয়র হলেন সাবেক মেয়রের স্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে ২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে ১ হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে ১ হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।

;

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;