পুলিশের আচরণ আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের মতো!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোনের মাহবুব শ্যামল

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোনের মাহবুব শ্যামল

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের আচরণ আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের মত বলে অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোনের মাহবুব শ্যামল। এই আসনের বিজয়নগর থানার পুলিশের আচরণ এমন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের হলরুমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় শ্যামল আরো অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসন বিভিন্নভাবে তার নেতাকর্মীদের হুমকী ধামকী দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে অগনিত আসামি রয়েছে। এসব মামলায় জামিনে থাকার পরও তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এই আসনে নির্বাচনী কোন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সব ধরনের সহায়তা করলেও বিএনপির প্রার্থীকে কোন ধরনের সহায়তা করছেন না। নির্বাচনী কার্যক্রম করতে গিয়ে তার নেতাকর্মীরা পুলিশী বাধায় পড়ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সহসভপাতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামিম মোল্লাসহ দলীয় নেকতাকর্মী ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট,  ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

   

চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় নির্বাচন বুধবার, নিরাপত্তায় ২৫শ' পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ কাজ করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (০৮ মে) এসব উপজেলায় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলায় ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট জন রয়েছেন। এসব উপজেলায় মোট ৯ লাখ ৪২ হাজার ১৭৩ জন ভোটার রয়েছেন। উপজেলাগুলোর ২৯০টি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেবে জেলার আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তিন উপজেলায় ৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪৪ পৌরসভা ও ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন ৬ হাজার ১৬৪ জন কর্মকর্তা।

এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের পাশাপাশি সারাদেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে র‍্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই ভোট গ্রহণ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। তিন উপজেলার চার থানায় মোতায়েন করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, তিনটি উপজেলায় মোট চারটি থানা রয়েছে। প্রত্যেকটিতে তিনজন করে সিনিয়র অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আজকে কেন্দ্রে চলে গেছে। এর বাইরেও আমরা থানায় রিজার্ভ রেখেছি। কোনো সমস্যা হলে তারা সাথে সাথে সেই কেন্দ্রে যাবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এখন আমরা বলি না। তিন উপজেলায় মোট ২৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে আমাদের তালিকা অনুযায়ী ১০০টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী থাকায় এ পদে নির্বাচন হবে না। এ উপজেলায় মোট দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৮৫ জন। সন্দ্বীপে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮৫টি।

সীতাকুণ্ডে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ২৪ হাজার ২৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ২০৬ জন। এ উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৯২টি।

মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন । এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯২ হাজার ৭২০ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫ জন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৩টি।

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বুধবার মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সন্দ্বীপ দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় সেখানে একদিন আগেই ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি দুই উপজেলায় সকালে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হবে।

;

আমরা কোনো বেকায়দায় নেই: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রী,এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়-স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে কোনোভাবে বেকায়দায় নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়-স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে আপনারা কোনো বেকাদায় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বেকায়দায় থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না! আমরা কোনো বেকায়দায় নেই। এটা একটা ভালো দিক। রাজনৈতিক সদিচ্ছা যখন বিকশিত হয়েছে, স্পষ্ট হয়েছে, সেটা নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

তারপরেও যদি বলেন, কোনো সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছে কি না, যদি করে থাকেন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকবো। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেককে নিবৃত্ত করতে পেরেছি। হয়ত-বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যতদূর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক, যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন, সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, কতটুকু হয়!

প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি। বিভিন্ন ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার জন্য একজনকে ডাকিয়ে এনে বক্তব্য নিয়েছি, প্রার্থিতা বাতিল করেছি।

সিইসি জানান, মাঠ পযায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সবসময় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়, সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) দেশের ৪টি ৯৫ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ১শ ৪০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে হবে।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পযন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

এই নির্বাচনে সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

দেশের ৪টি ৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪টি ৭৬টি উপজেলায় নির্বাচনের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি। পরবর্তীতে সে সব পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারযোগে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে রাঙামাটির চার উপজেলায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল হতে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাঠানোর কর্মকাণ্ড চলছে।

জুরাছড়ি উপজেলা সদরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ও বরকলের দুইটি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ সরঞ্জাম ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, স্ট্যাম্প প্যাড এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।

এরআগে সোমবার সকালে জেলার জুরাছড়ির দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে যক্ষ্মা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে উপজেলার সাতটি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের পাঠানো শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ সব কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটকর্মীদের পাঠানো হয়ে যাবে বলে নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র নয়টি। এরমধ্যে জুরাছড়ির সাতটি ও বরকলে দুইটি ভোটকেন্দ্র। হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

এসব এলাকায় সড়ক ও নৌ-পথে যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইসি। ৮ মে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল গণনা শেষে পুনরায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।

নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মনির হোসেন জানান, প্রথম ধাপে ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে আগেই নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যালেট পেপার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাঙামাটি সদর, বরকল, কাউখালী ও জুরাছড়িতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৮ মে। রাঙামাটির চার উপজেলায় মোট প্রার্থী হয়েছেন ৩১ জন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেবল কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না।

;

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষদিন মঙ্গলবার (৭ মে)।

এদিকে, নিজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট চাইলেন নবনির্বাচিত লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান। ঢাকা থেকে ফিরে এর পরের দিনই মঙ্গলবার (৭ মে) সরাসরি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল। সেখানেই তার পছন্দের প্রার্থী মশিউর রহমান মামুনের ‘ঘোড়া’ মার্কায় ভোট চান তিনি।

এ ঘটনার পর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা ও প্রতিপক্ষ প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বড়খাতা, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্রসহ উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেন তারা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, যারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান, তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজপথে থেকে কাজ করে যাবেন। আজ থেকে একটি কেন্দ্রেও জাল ভোট দেওয়ার ক্ষমতা তাদের থাকবে না। আর যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

মশিউর রহমান মামুনের পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, পাঁচটি বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। উপকার কারো না করতে পারলেও কখনো ক্ষতি করেননি তিনি। আর যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারা উপকারের থেকে ক্ষতি করবেন বেশি। বিশেষ করে মামলা হামলায় নিষ্পেষিত করবেন তারা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে মশিউর রহমান মামুনের বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ২৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, মশিউর রহমান মামুনের শান্তির প্রতীক ‘ঘোড়া’ মার্কায় বিপুল ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার প্রার্থী বিজয়ী হলে হাতীবান্ধায় প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এ বক্তব্যের প্রতিবাদে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ‘কাপ-পিরিচ’ মার্কার প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বার্তা২৪.কমকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে কখনোই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শপথ গ্রহণ করেই ভোট চাইতে পারেন না। অবশ্যই এ বিষয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করবো।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা বলেন, নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল সংবর্ধনার নামে সেখানে উপজেলা পরিষদের প্রার্থী মশিউর রহমান মামুনের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। অবশ্যই এটি ভোটকে প্রভাবিত করবে। তাই, বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করছি।

এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ‘কাপ-পিরিচ’ মার্কার প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে নিয়ে আমি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছি, বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভোট চাইতে পারবেন কি না এমন আচরণবিধির কোথাও লেখা পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

;