প্রতীক পেয়েই প্রচারে, পুলিশের বাধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মিছিলের সময় পুলিশের বাধা, ছবি: বার্তা২৪

মিছিলের সময় পুলিশের বাধা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯দিন পরেই জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রতীক পেয়েই যেন প্রচারে নামার তর সইছে না প্রার্থীদের। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনন্দ মিছিলে নেমে গেছে খুলনার বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় পুলিশের অনুরোধে তারা ফিরে যায় দলীয় কার্যালয়ে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া শুরু হয়। প্রতীক পেয়েই ভোটারদের আকর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পাবার পর খুলনায় বিএনপির প্রথম প্রচারণা শুরু হয় কে.ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে। দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল শেষ করে খুলনা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/10/1544432006005.gif

মিছিলসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলে দলীয় কার্যালয়ের অদূরে সদর থানার মোড়ে পুলিশ তাদের প্রচার মিছিলটির গতিরোধ করে।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় দুপুর ২টার পরে প্রচার মিছিল বের করতে পারবে। বেশ কিছু সময় স্লোগান দেওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান।

এ বিষয়ে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ‘বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীদের অনুরোধ করেছি দুপুর ২টার পর প্রচার মিছিল বের করতে। এতে তারাও সম্মত হয়েছেন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/10/1544432042058.gif

খুলনা-১, ৪, ৫ ও ৬ আসনের এলাকায় স্ব-স্ব প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের খণ্ড খণ্ড প্রচার মিছিল ও শোডাউন দিতে দেখা গেছে। খুলনা-২ আসনের প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে বিকেল ৩টায় প্রচার মিছিল বের হবার কথা রয়েছে।

আবার খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুলের ধানের শীষের প্রচারণা মিছিল দৌলতপুর নতুন রাস্তার মোড় থেকে বিকেলে বের হবে।

অন্যদিকে, প্রতীক পেয়েই প্রচার মিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউনে নেমেছে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থীর হাতপাখা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, 'খুলনার ছয়টি আসনে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মুসলিম লীগ, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মোট ৩৫জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।'

তারা হলেন, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে মো: আবু সাঈদ (হাতপাখা), সুনীল শুভ রায় (লাঙ্গল), আমীর এজাজ খান (ধানের শীষ), পঞ্চানন বিশ্বাস (নৌকা), অশোক কুমার সরকার (কাস্তে)।

খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে মো: আ: আউয়াল (হাতপাখা), কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু (গোলাপফুল), শেখ সালাহ উদ্দিন (নৌকা), মনিরা বেগম (মাছ), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), এইচ এম শাহাদাৎ (কাস্তে), এসএম সোহাগ (টেলিভিশন)।

খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে মো: মুজাম্মিল হক (হাতপাখা), এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (নৌকা), রকিবুল ইসলাম (ধানের শীষ), জনার্দন দত্ত (মই)।

খুলনা-৪ (দিঘলিয়া-তেরখাদা-রূপসা) আসনে ইউনুস আহমেদ (হাতপাখা), আব্দুস সালাম মুর্শেদী (নৌকা), কেএম আলী দাদ (কোদাল), শেখ হাবিবুর রহমান (টেলিভিশন), আজিজুল বারী হেলাল (ধানের শীষ), আনসার আলী (গোলাপ ফুল)।

খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনে চিত্ত রঞ্জন গোলদার (কাস্তে), মিয়া গোলাম পরওয়ার (ধানের শীষ), শেখ মুজিবুর রহমান (হাত পাখা), মো: শহীদ আলম (লাঙ্গল), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (নৌকা)।

খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে মির্জা আজম (টেলিভিশন), মো: আবুল কালাম আজাদ (ধানের শীষ), মো: আক্তারুজ্জামান (নৌকা), শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), গাজী নূর আহমদ (হাতপাখা), শেখ মুর্তজা আল মামুন (গোলাপ ফুল), সুভাষ চন্দ্র সাহা (কাস্তে)।

   

উপজেলা নির্বাচন: নীলফামারীর বর্তমান চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীর বর্তমান চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল

নীলফামারীর বর্তমান চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির অভিযোগে নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদের মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়।

রোববার (০৫ মে) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে এক জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন চারজন। তারা হলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুজার রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি তপন কুমার রায় ও জাপা নেতা (জাতীয় যুবসমাজের সাবেক সভাপতি) মো. তরিকুল ইসলাম। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তাদের সকলের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহিদ মাহমুদ বলেন, রূপালী ব্যাংক নীলফামারী শাখা থেকে আমার মালিকানাধীন উত্তরা বীজ হিমাগারের নামে ১৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছি। যার মধ্যে আমি ১১ কোটি টাকা উত্তোলন করি। এখনো চার কোটি টাকা ব্যাংকে মজুত আছে। আমি কোনোভাবে ঋণ খেলাপি না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রানী রায় জানায়, রুপালী ব্যাংক নীলফামারী শাখা শাহিদ মাহমুদকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে তথ্য প্রদান করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আগামী ৮ তারিখের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। তফসিল অনুযায়ী গত ২ মে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ সহ মোট ১৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামী ১৩ মে।

;

উপজেলা নির্বাচন: ফেনীর ৩ উপজেলায় সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ফেনীর ৩ উপজেলায় সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

ফেনীর ৩ উপজেলায় সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভুঞায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত ২৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রগুলো যাছাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের কুমিল্লা আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, তিন উপজেলায় ২৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীদের মাঝে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের মাঝে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, মনজুর আলম ও মদির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এ কে, শহীদ উল্যাহ্ খোন্দকার, মামুন উল হক, গোলাম কিবরিয়া ও নুরুল আলম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শিদা আক্তার, বিবি আমেনা, আরজুমান আক্তার রয়েছেন।

সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপ্টন, নুর আলম মিস্টার, পারভীন আক্তার, মো. মজিবুল হক, মহি উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, মো. আইয়ুব আলী হায়দার, মো. বেলাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খোদেজা খানম, নুর জাহান আক্তার বকুলের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন ও বিজন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবদুল হক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হায়দার, মোহাম্মদ ইউচুপ আলী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাসকিরা তান্নিন, পেয়ারা বেগম, রাবেয়া আক্তার এর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলা দাগনভূঞা উপজেলা ও সোনাগাজী উপজেলায় সর্বমোট ২৮ জন প্রার্থীর সকলকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট হবে ২৯ মে।

;

সুবর্ণচর উপজেলার ওসিকে বদলির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সুষ্ঠু ভোটের জন্য সুবর্ণচর উপজেলার ওসি বদলির নির্দেশ

সুষ্ঠু ভোটের জন্য সুবর্ণচর উপজেলার ওসি বদলির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে এএসআই জনাব নুরনবীকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান নির্দেশনাটি পুলিশের মহাপুলিশ পরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষে ওই উপজেলার সংশ্লিষ্ট চরজব্বর থানার বর্তমান অফিসার্স ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও এএসআই নুরনবীকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে একজন করে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তথ্য গোপন করায় ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
শাহাদাত হোসেন

শাহাদাত হোসেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল।

অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রাথীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

মনোনয়ন বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী শাহাদাত হোসেন মনোনয়নপত্র হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হয়।

মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.নুর হোসেন মাসুদ ও মো.মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত প্রার্থীরা আগামী ৬ মে থেকে ৮ মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;