ঢাকা ১২: ভোটাররা চেনেন না- স্বীকার করলেন জোনায়েদ সাকি
ঢাকা-১২ আসন থেকে প্রথমবারের মত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি। তবে বিপত্তির বিষয় সাধারণ ভোটাররা তাকে চেনেন না। এদের মধ্যে দু'চারজন যারা চেনেন, নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় তারা তাকে আমলে নিচ্ছেন না।
এদিকে সাধারণ ভোটারদের এমন মূল্যায়নকে অস্বীকার করেননি জোনায়েদ সাকি। এ বিষয়ে তিনি বার্তা২৪কে বলেন, ‘আগামী ১১ তারিখের পর থেকে প্রচারণা শুরু হলে সর্বস্তরের মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবো। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নির্বাচন করবো।’
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিএনপি থেকে দুইজনের মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় এখন পর্যন্ত তারা দুইজনই মাঠে আছেন।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে এই আসন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এই আসনটি তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল, শেরেবাংলা নগর ও রমনার এক অংশ নিয়ে গঠিত। যার মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৮ জন।
সাধারণ মানুষের মুখে এই নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীক নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ আলোচনায় আছেন। মূল প্রচারণা শুরুর আগে তাদের নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব ২৬৭টি মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাই বিএনপি নেতা কর্মীদের সহানুভূতিও পাচ্ছেন নীরব। বিএনপিকে আওয়ামী লীগ সর্মথকেরা প্রতিযোগী ভাবলেও অন্য দলের প্রার্থীকে তারা প্রতিযোগী ভাবছেন না।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই মিলেছে। এ আসনে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী জোনায়েদ সাকিকে চেনেন না প্রবীণ অধিকাংশ ভোটাররা। কেউ কেউ বলছেন তরুণ এই বামপন্থী নেতাকে রাজনীতির মাঠে কখনো দেখেননি তারা।
তবে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী জুনায়েদ সাকি সম্পর্কে জানলেও নির্বাচনে প্রতিযোগী ভাবতে নারাজ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের তেজগাঁও থানার কার্যনির্বাহী সদস্য সফিউল্লাহ বার্তা২৪কে বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠে এ রকম অনেক অপরিচিত মুখ আসবে যাবে। সবাইকে প্রতিযোগী ভাবার প্রয়োজন বোধ করছি না। তাই বলে এমন না আমরা সব ভোট পেয়ে গেছি। গত বছরগুলোতে জনগণের আশা আকাঙ্খার কথা শুনেছি। জনগণ নৌকার পাশে আছে।
একই বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমরা প্রচারণার মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে যাবো। ভয়-ভীতিহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার থাকবে আমাদের। মানুষের মঙ্গলের জন্য, দেশে কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আশা করি সর্বস্তরের মানুষ আমাদের সমর্থন জানাবেন।’