ধানের শীষ না থাকায় হতাশ গাবতলীবাসী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম
চায়ের দোকানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, ছবি: বার্তা ২৪

চায়ের দোকানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির দুর্গ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়ার গাবতলীতে এবারের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কা থাকছে না শুনে হতাশ নেপালতলী ইউনিয়নের তেরপাকি গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন ও আব্দুল মান্নানের মত অনেকেই। ধানের শীষ মার্কা না থাকার পাশাপাশি নৌকা মার্কাও না থাকায় এবারের নির্বাচন জমবে না বলে মন্তব্য ভোটারদের। ০২ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাই পর্বে বিএনপির সব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার সংবাদ ইতিমধ্যে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের ভোটারদের কানে পৌঁছে গেছে।

তৃনমূল পর্যায়ে বিএনপির সমর্থকরা হতাশা প্রকাশ করে বলছেন ধানের শীষ-নৌকা না থাকলে নির্বাচন জমবে না। এলাকার হাট-বাজার থেকে শুরু করে ছোট চায়ের দোকানেও একটাই আলোচনা এবারের নির্বাচনে গাবতলীতে ধানের শীষও নেই নৌকাও নেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/06/1544068547013.jpg

বড় দুই দলের কেউ না থাকাতে এই আসনে নির্বাচন আলোচনাও তেমন জমে ওঠেনি তৃনমূল পর্যায়ে। দিনের বেলা মাঠে কাজের পর খেটে খাওয়া মানুষের সন্ধ্যার পর চায়ের দোকান গুলোতে নির্বাচনী আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে ধানের শীষ বাতিল হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। বগুড়া-০৭(গাবতলী-শাজাহানপুর) নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উঠে এসেছে এধরনের চিত্র।

১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই আসনে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসনটি মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। বগুড়ার অন্যান্য আসনে বিনা ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হলেও এই আসনে জাপা(মঞ্জু) প্রার্থী এটিএম আমিনুল ইসলাম পিন্টুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ নির্বাচিত হন জাপা(এরশাদ) প্রার্থী এ্যাড, আলতাব আলী। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার ভোটের আগের রাতে প্রায় অর্ধশত ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসব কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রেখে পরের দফায় এখানে ভোটগ্রহন করা হয়। গাবতলী-শাজাহানপুর এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের ভোট অনেক বেশী। তাই এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে শুনে ১০ বছর পর এলাকায় ধানের শীষের জোয়ার শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের খবরে ধানের শীষের সেই জোয়ার এখন ভাটায় পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরাও মনের দিক থেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন। ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেন নেপালতলী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য আতাউর রহমান। গাবতলী উপজেলার জয়ভোগা, উনচুখরী, বাইগুনি গ্রামের আওয়ামীলীগের কয়েকজন কর্মী বলেন গাবতলী উপজেলা এমনিতেই বিএনপির ঘাটি। সেখানে আমরা আওয়ামীলীগের কর্মী হয়ে ভোটের সময় মানুষের কাছে ভোট চাইতে হয় লাঙল মার্কায়। ভোটাররা অনেক সময় এনিয়ে নানা ধরনের ব্যঙ্গ করে তাদেরকে।

কিন্তু এবারের নির্বাচনে ভোটের চিত্র আরও জটিল। বর্তমান সাংসদ আলতাব আলী লাঙল মার্কায় এবারও মহাজোটের প্রার্থী। তিনি গত ৫ বছরে যা করেছেন তা নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাওয়া যাবে না। অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বিভিন্ন কাজের জন্য। কাজের কাজ তো কিছুই হয়নি, তাদেরকে টাকাও ফেরত দেননি তিনি। ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে লোকজন। ইতিমধ্যে ১৫-২০ জন পাওনাদার সাংসদ আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে।

শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা, মাঝিড়া, চোপীনগর এলাকার কয়েকজন ভোটার জানান, তাদের গ্রামের অনেকে গত ৫ বছরে সাংসদ আলতাফকে কোনদিন দেখেননি। ২০১৪ সালের ভোটেও তিনি কোথাও ভোট চাইতে যাননি। এবার অপেক্ষায় রয়েছেন তাকে দেখার জন।

দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মন্তব্য বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে ধানের শীষ মার্কা ফেরত পেয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে জয়ের ব্যাপারে কোন চিন্তা করতে হবে না। ধানের শীষ না থাকলে নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়বে।

এই আসনে বিএনপি থেকে বেগম খালেদা জিয়া, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিলটনকে মনোনয়ন দেয়া হয় বিএনপি থেকে। তিনজনের মধ্যে আমিনুর রহমান মনোনয়ন জমা দেননি। বাছাইপর্বে বেগম জিয়া ও মোরশেদ মিলটনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। আর মহাজোটের প্রার্থী রয়েছেন জাতীয় পার্টির আলতাব আলী।

   

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতের নির্দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৬ মে) রাত ১০টায় নির্বাচন পরিচালক-২ এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনাও পাঠিয়েছেন তিনি।

এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন নং ৪৭৩৪/২০২৪ দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ২৫ এপ্রিল আদেশে মনোনয়নপত্রটি বৈধ প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিএমপি নং ৩৬৫ / 2024 ও সিপিএলএ নং ১৪৮৬/২০২৪ দায়ের করলে ৬ মে তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ এর সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

সেই হিসেবে ৮ মে ১৪০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

;

ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা

ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসি সীমা'র ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বড়খাতা, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্রসহ উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেন।

এছাড়া তার ভোটার, সমর্থক ও এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা ও হুমকি দেওয়ার জন্য কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থীকে দায়ী করেন। গত শুক্রবার তার উপর কাপ পিরিচ মার্কার লোকজন হামলা চালায় বলে তিনি জানান।

এতে জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী সীমাসহ তার সমর্থিত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ নারী প্রার্থী।

;

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেড় লাখেরও বেশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসাইন।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলার ১০ হাজার ৬০৫টি ভোট কেন্দ্রে প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিগণ (০৩ জন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যগণ অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।

রুবেল হোসাইন আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা রক্ষায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৬ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি ৭৬ প্লাটুন বা ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল টিমে/স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যগণ ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্বপালন করবেন। তাছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পুলিশের মোবাইল টিম/ স্ট্রাইকিং টিমের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন প্রায় ৯৪ প্লাটুন বা ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য।

এছাড়া মোতায়েনকৃত আনসার সদস্যদের দায়িত্বপালন তদারকের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও প্রায় দুই হাজার সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সকলেই ৬ মে থেকে আগামী ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন মোতায়েন থাকবেন।

আনসারের এই কর্মকর্তা আরও জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য উপজেলা নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে আগ্রহভরে অত্যন্ত উৎফুল্লভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে, সেই জন্য আনসার-ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি অত্যন্ত সতর্কতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি বরদাশত করা হবে না বলে সকল সদস্যকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে থাকে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য নিয়োজিত ছিল।

;

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ০৭ (সাত) দিন হতে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত যাতে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণ অস্ত্রসহ চলাচল না করেন কিংবা অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করেন সে জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা জারি করেছে।

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪১টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;