ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে ঐক্যফ্রন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন নাগরিক ঐক্যের আহব্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন নাগরিক ঐক্যের আহব্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহব্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

মান্না বলেন, 'যতোগুলো দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি, তারা সবাই একটি কমন প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো এবং সেই কমন প্রতীক হবে ধানের শীষ।’

আসন বণ্টন নিয়ে বৈঠক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আলোচনার যাত্রা শুরু করেছি।’

নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের মুখোমুখি অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মান্না বলেন, ‘যখন সরকারের সাথে দেখা করি, প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। নির্বাচন কমিশনারের কাছে গিয়ে যা বলেছি নির্বাচন পেছানোর জন্য, তাতে অসংখ্য যুক্তি আছে।’

‘বিশেষ করে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সারা ইউরোপ আমেরিকায় উৎসব হয়। এখানে আমাদের পর্যবেক্ষকদের আসার কথা তারা আসতে পারবেন না। সরকারি দল বলেছে, নির্বাচন এক ঘণ্টাও পেছানো যাবে না, যা এক ধরনের হুমকিস্বরুপ। এর নিন্দা জানাচ্ছি।’

এ সময় মান্না আরও বলেন, একদিকে সরকার পক্ষ চার দিন ধরে রাস্তাঘাট বন্ধ করে উৎসব করলো। সেই উৎসবের ফলে দুজন মারা পর্যন্ত গেলো। তখন পুলিশ কোনো কিছু করেনি। অথচ বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণ উপলক্ষে যখন নেতাকর্মীরা জমা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সড়ক পরিষ্কার রাখতে বিবৃতি দিলেন এবং তার পরদিনই এই হামলা হলো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এই হামলার পর পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পেছনে সরকারি দলের হাত আছে। সরকার চেষ্টা করছে বিরোধীদল যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। সেই জন্য উস্কানি দিচ্ছে। এর প্রতিবাদ করবো, ধৈর্য ধরবো। সব রকমের বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচন করবো।’

বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, আব্দুল মালেক রতন, সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

   

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ, ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে প্রার্থীর ভাইকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছালামত উল্লাহ শাহীনের ভাই ফরহাদ উল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) রাতে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন অভিযানকালে তাকে জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব ছালামত উল্লাহ শাহীনের পক্ষে উনার ভাই ফরহাদ উল্লাহকে রাত ৮টার পরে মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২১ (২) ভঙ্গের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করলে একই বিধিমালার বিধি ৩২ অনুসারে ১০ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, একইদিন উপজেলার আজাদী বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার ও ছবিযুক্ত টিশার্ট ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতিয়ার সাইদ ইরানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

;

চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
৪ উপজেলায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

৪ উপজেলায় ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে এসে চট্টগ্রামের চার উপজেলার ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১২ মে) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন নেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন পটিয়া উপজেলায় তিনজন, বোয়ালখালীতে একজন, আনোয়ারায় দুইজন, চন্দনাইশে দুইজন। শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারা থেকে একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

বোয়ালখালী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আয়েশা ফারজানা, পটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি ও পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবছার, আনোয়ার উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম চৌধুরী, ছাবের আহমদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবুর রহমান চৌধুরী এবং চন্দনাইশ উপজেলার চেয়ারম্যান পদের আবু আহমদ চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম।

মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- পটিয়াতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি ও পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবছার। আনোয়ার উপজেলাতে আবুল কালাম চৌধুরী ও ছাবের আহমদ চৌধুরী। চন্দনাইশ উপজেলায় আবু আহমদ চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলাম। বোয়ালখালী উপজেলায় কাজী আয়েশা ফারজানা। অন্যদিকে আনোয়ারা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবুর রহমান চৌধুরী প্রত্যাহার করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম প্রামাণিক বলেন, আজ (রোববার) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। মোট ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। এর মধ্যে ৮ জন চেয়ারম্যান ও ১ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ১২ মে (আজ)। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে।

;

নাগরিকত্ব ছাড়লে প্রবাসীদের এনআইডি বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি কোনো প্রবাসী দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিলে তার ভোটাধিকার ও জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক মু. সরওয়ার হোসেন ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ‘দ্য বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ রুলস-১৯৭৮’ এর ৪ নম্বর রুল অনুযায়ী, বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে।

;

টাঙ্গাইলে ৩ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলে ঋণ খেলাপি দায়ে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন মির্জাপুর, বাসাইল এবং সখীপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।

মনোনয়নপত্র বাতিলকারীরা হলেন- বাসাইল উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন লাভলু, মির্জাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম, বাসাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাম্মী আক্তার মুক্তি এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম খান।

রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।

;