চট্টগ্রাম বিভাগে এরশাদের খসড়া প্রার্থীরা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি আওয়ামী জোটের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেকগুলো আসনে সম্মিলিতি জাতীয় জোটের শরিকদের প্রার্থী দেখা যেতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে সম্মিলিতি জাতীয় জোটের ব্যানারে নির্বাচন করতে চায় জাপা।

সম্মিলিতি জোটের ব্যানারে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮টি আসনের প্রায় ২২টিতে জোটের প্রার্থী খসড়া তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-১৩, চট্টগ্রাম-১৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, নোয়াখালী-১ আসন জোটকে ছেড়ে দিতে যাচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত বলেছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা
চট্টগ্রাম-১ শায়েস্তা খান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-২ আসনটি ইসলামী ফ্রন্টকে দেওয়া হতে পারে। এখানে আল্লামা এমএ মান্নানকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে। আরও রয়েছেন জহুরুল ইসলাম রেজা, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ এমএ ছালাম, অ্যাড. শাহাবুদ্দিন মাহমুদ ও আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল কবির দিদার ও আল্লামা এমএ মান্নান (ইসলামী ফ্রন্ট), আল্লামা এমএ মান্নানকে-৫ বর্তমান এমপি ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৬ শফিকুল ইসলাম শফিক, নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী ও মেজবাহ উদ্দিন আকবর, চট্টগ্রাম-৭ নজরুল ইসলাম ও আল্লামা এমএ মান্নান (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-৮ আমান উল্লাহ আমান, জহুরুল ইসলাম রেজা, এয়াকুব হোসেন ও কাজী মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-৯ বর্তমান এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১০ মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহিম, আবুল হাসনাত (ইসলামী মহাজোট), শেখ শামসীর উদ্দিন ও ওসমান খান, চট্টগ্রাম-১১ সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুল লতিফ, শওকত আকবর, এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-১২ সামছুল আলম মাস্টার, এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), চট্টগ্রাম-১৩ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিনকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে তালিকায়, আরও রয়েছেন শ্রী তপন চক্রবর্তী, আব্দুর রব চৌধুরী ও আব্দুস সাত্তার রনি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ইসলামী ফ্রন্টের সউম আব্দুস সামাদকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে, আরও রয়েছেন জাপার আব্দুল গফুর চৌধুরী, আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, ও মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম-১৫ আলহাজ মো. ছালেম ও হাজী আব্দুস সাত্তার, চট্টগ্রাম-১৬ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু বক্কর সিদ্দিকী।

ফেনী জেলা
ফেনী-১ নাজমা আক্তার ও অধ্যাপক এমএ মোমেন (ইসলামী যুবসেনা), ফেনী-২ এমএম ইকবাল আলমগীর ও খন্দকার নজরুল ইসলাম, ফেনী-৩ আসনে এরশাদের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার।

কুমিল্লা জেলা
কুমিল্লা-১ আবু জায়েদ আল মাখন সরকার, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান, ও কালাম পলাশ (ইসলামী মহাজোট), কুমিল্লা-২ বর্তমান এমপি আমির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ আখতার হোসেন ও জামাল উদ্দিন, কুমিল্লা-৪ জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৫ প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, এমএ কুদ্দুছ মানিক, তাজুল ইসলাম ও তোফায়েল হোসাইন (ইসলামী মহাজোট), কুমিল্লা-৬ সালামত আলী খাঁন বাচ্চু ও সেলিম উদ্দিন, কুমিল্লা-৭ লুৎফর রেজা খোকন, কুমিল্লা-৮ বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম মিলন ও ফখরুল ইসলাম মিলন (ইসলামী মহাজোট) কুমিল্লা-৯ এটিএম আলমগীর ও অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, কুমিল্লা-১০ জোনাকী মুন্নি, কুমিল্লা-১১ এইচএনএম শফিকুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ রেজওয়ান আহমেদ ও অ্যাড. ইসলাম উদ্দীন (ইসলামী ফ্রন্ট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ বর্তমান এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও আব্দুল হামিদ ভাষানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও জামাল রানা, তবে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত বলা চলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ তারেক আদেল, জহিরুল ইসলাম জহির, দেলোয়ার হোসেন ও মনিরুল ইসলাম আলম (ইসলামী মহাজোট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ কাজী মামুনুর রশিদ ও মোবারক হোসেন দুলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ শহিদুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন।

চাঁদপুর জেলা
চাঁদপুর-১ এমদাদুল হক রুমন ও অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর-২ এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৩ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ও আব্দুল লতিফ শেখ, চাঁদপুর-৪ মনিরুল ইসলাম মিলন, মাইনুল ইসলাম মানু, মোতাহার হোসেন ও ফজলুল হক ফজলু, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু ও মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ মুন্সি, কামরুজ্জামান কাজল।

নোয়াখালী জেলা
নোয়াখালী-১ ইসলামী জোটের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক , জাপার সালাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাড. মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী-২ হাসান মুঞ্জুর, আবু তালেব ও তোতা মিয়া, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ, নজরুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন (বিএনএ জোট) এসএম ফয়জুল্লাহ পাঠান (ইসলামী মহাজোট), নোয়াখালী-৪ বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, শরিফুল ইসলাম, শাহ কামাল, ও অ্যাড. মাহবুব রশিদ বাবু (ইসলামী জোট), নোয়াখালী-৫ মোকারক হোসেন আজাদ, নোয়াখালী-৬ নবী উল্লাহ আসিফ ও অ্যাড. বায়েজিদ।

লক্ষীপুর জেলা
লক্ষীপুর-১ বেলাল হোসেন, লক্ষীপুর-২ বর্তমান এমপি মোহাম্মদ নোমান, মাওলানা আলতাফ মোল্লা (ইসলামী মহাজোট), লক্ষীপুর-৩ এমআর মাসুদ ও মোহাম্মদ উল্লাহ, লক্ষীপুর-৪ সিহাব উদ্দিন।

কক্সবাজার জেলা
কক্সবাজার-১ আসনে বর্তমান এমপি মৌলভী ইলিয়াছ, অ্যাড. সেলিম, আসমাউল হুসনা, জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার-২ আলহাজ মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ ও মাওলানা মঞ্জুর আহমদ, কক্সবাজার-৩ অ্যাড. মো. তারেক ও মুফিজুর রহমান মুফিজ, কক্সবাজার-৪ মঞ্জুর মাস্টার ও অধ্যাপক একেএম নুরুল বশর সুজন।

বান্দরবান জেলা
জেলার একমাত্র আসন বান্দরবান-১ কৈ শৈ অং চাকমা ও শওকত জামান মিশুককে খসড়ায় রাখা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলা
রাঙ্গামাটি-১ এরফান আলী, প্রজেশ চাকমা, উত্তম কুমার বড়ুয়া, সুকৃতি জীবন খীশা চাকমা, এমএ কে পারভেজ তালুকদার ও কবিতা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি জেলা
খাগড়াছড়ি-১ আসনে সোলায়মান আলম শেঠ, প্রকৌশলী বাবু কেশব লাল দে, অমিত্র লাল ত্রিপুরা ও ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম।

   

নীলফামারীতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ভোটার উপস্থিত কম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ভোটাদের উপস্থিতি কম। তবে ভোটগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্টরা আগে থেকেই কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

তাদের ধারণা, বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে। বুধবার (৮ মে) সকালে ডোমারের পশ্চিম বোড়াগাড়ী ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এসময় দেখা যায়, মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে সকালে হাতেগোনা কয়েকজন ভোটার কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন। কেন্দ্রের লাইনে ভোটার না থাকায় ফাঁকা রয়েছে।

ভোট দিতে আসা আলাউদ্দিন বলেন, সকালে ভোট দিতে এসেছি। এসে দেখি কেন্দ্রে ভোটার নেই। তবে এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।

আরেক ভোটার হাসনা বেগম বলেন, সকালে ভোট দিয়ে গিয়ে বাড়ির কাজ করবো। সকালে এসে দেখি, আকাশ খারাপ থাকার কারণে ভোটার নেই। আমি ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছি।

ডিমলা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫ জন। পুরুষ ভোটার ৮২ হাজার ৫শ ৪৪ জন। নারী ভোটার ৮২ হাজার ৫শ ৪১ জন।

ডোমার উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা মোট ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯শ ৪০ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৭৮ হাজার ১শ ১১ জন।

 

 

;

রাজবাড়ীতে বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাবে ভোটার উপস্থিতি কম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তার জন্য সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে ভোট কেন্দ্রগুলোতে। কোন কোন ভোট কেন্দ্র ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম।

বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বাংলাদেশ হাট নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে পাংশা উপজেলার ডা. আব্দুল কাদের বালিকা দাখিল মাদ্রাসা গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।

ওই কেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটারের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে দুয়েকজন করে আসছেন।

ভোট দিতে আসা কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম ও কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, 'রাতে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে কাল বৈশাখী ঝড়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি হবে আবার। বৃষ্টির কারণে ভোটারদের উপস্থিতি কম। তবে পড়ে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে।'

বাংলাদেশ হাট নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৬৭৬। সকাল ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ৩৭টি। যা এক দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে তিনি জানান।

ডা. আব্দুল কাদের বালিকা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সিদ্দিকি বার্তা২৪.কমকে জানান, তার কেন্দ্র ভোটার সংখ্যা ৩. হাজার ৬১৬। প্রথম দেড় ঘণ্টায় মোট পড়েছে ৭০টি। বৃষ্টির প্রভাবের কারণে এমনটি বলে তিনি জানান।

পাংশা উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭ টি।মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫৪৫টি।এর মধ্যে স্থায়ী ৫২২ ও অস্থায়ী ২৩টি।মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজার ১০০ জন।এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১০ হাজার ১৮৭ ও মহিলা ১ লাখ ৫ হাজার ৯১১ জন।

কালুখালী উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫০টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩২১টি।এর মধ্যে স্থায়ী ৩০৬ ও অস্থায়ী ১৫টি।মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৭ হাজার ২০০। এর মধ্যে পুরুষ ৭০ হাজার ২৮৪ ও মহিলা ৬৬ হাজার ৯১৫ জন।

;

সিলেটে ৪ উপজেলায় ভোট যুদ্ধ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলায় শুরু হয়েছে ভোট যুদ্ধ।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয় চারটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে চারটি উপজেলা হলো সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলা। এ চার উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার ৫২জন। এখানে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটে লড়াই করছেন।

এদিকে, বুধবার সকালে চারটি উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিলেটের এই চার উপজেলায় ৩০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১৭৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে সিলেট জেলা ও সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। এসএমপির আওতাধীন সদরে ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ও দক্ষিণ ‍সুরমার ৬৩টি কেন্দ্রের ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর জেলার দুই উপজেলায় ৯০টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৩টি ও বিশ্বনাথে ৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এব্যাপারে সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য, চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠে থাকবেন।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু



ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার বাড়বে বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসাররা।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।

নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলায় ১৭৭ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নাসিরনগরের ৯৩টি ও সরাইল উপজেলার ৮৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হয়। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র‍্যাব, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

;