খুলনা-৩: নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ঘর তুলবে বিএনপি



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খালিশপুর শিল্পাঞ্চল, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা নিয়ে খুলনা-৩ আসন গঠিত। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল থাকায় শ্রমিক অঞ্চল বলে খ্যাতি রয়েছে এ আসনের। মূলত এ আসনের প্রার্থী হিসেবে শ্রমিক বান্ধব নেতাকেই বিগত দিনে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন জনগণ। সে কারণে শ্রমিক বান্ধব হবার যোগ্যতা অর্জন করা এ আসনে জন্য আবশ্যক বলে মনে করেন অনেকে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৩ আসনের বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা তোড়জোড় শুরু করেছেন বেশ আগেই। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

উন্নয়নের রাজনীতির অংশীদার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ- এ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আগামীতে আসনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে তারা। অপরদিকে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এ আসনে নিজেদের ঘর তুলবে বলে দাবি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৩ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দলের দৌলতপুর থানা কমিটির সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী।

এছাড়া বিএনপির মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন চারজন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল, নগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, মহানগর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম।

জাতীয় পার্টির হয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মঞ্জুরুল আলম।

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক।

খুলনা-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একজন শ্রমিক নেত্রী। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন তিনি রাজপথে থেকেছেন। এবারো এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। নির্বাচনী আসনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বিভিন্ন দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন নেত্রী। তবে অনেকের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। নির্বাচনী এলাকায় তিনি নিয়মিত নন বলেও দাবি একটি অংশের।

এছাড়া এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন- এস এম কামাল হোসেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য তিনি। শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত সাবেক এ ছাত্রনেতার শত শত ব্যানার ও ফেস্টুন চোখে পড়ছে। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার সময় খুলনা-৩ সংসদীয় আসনে তিনি নিজেকেও পরিচিত করেছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। বর্তমানে প্রায়ই তিনি নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছেন।

খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নাম শোনা যাচ্ছে বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলীর। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় তিনি আগে মনোনয়ন চাইতে পারেননি। এবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার আশা তার।

অপরদিকে, বিএনপির মনোনয়নের টিকিট পেতে যে চারজন চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের ভেতরে এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। অসংখ্যা প্যানা, ফেস্টুন আর পোস্টার লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় তার অবস্থান জানান দিচ্ছেন। তবে তিনি নির্বাচনী এলাকায় এসে প্রচার প্রচারণা করেন না। শোনা যাচ্ছে সাবেক এ ছাত্রনেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্পর্ক ভালো থাকায় সবুজ সংকেতের আশায় চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া তৃণমূলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বলে দাবি করেন বিএনপির নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠুর কর্মী-সমর্থকরা। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিগত দিনে বিএনপির সকল আন্দোলনে অংশ নিয়ে তরুণ এ নেতা তার সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছেন। মহানগর সভাপতির সঙ্গে মতবিরোধ থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মহানগর কমিটির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। এ নেতাও বিগত দিনে বিএনপির সকল আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি তার। যে কারণে মনোনয়ন তারই প্রাপ্য বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপির নগর কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী এ আসন থেকে আবারো নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তিনিও বিএনপির আন্দোলনে রাজপথে থেকেছেন নিয়মিত। তবে তরুণ প্রার্থীদের তুলনায় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের তেমন সখ্যতা নেই।

দশম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির হয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মঞ্জুরুল আলম। তবে তার কোনো কার্যক্রম চোখ পরে না।

চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক। তিনি দলীয় সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন নিয়মিত।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭১২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৫ জন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল যাচাই করে দেখা যায় খুলনা-৩ আসনে চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি ও একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। অর্থাৎ এ আসন থেকে নির্বাচনী দৌড়ে বিজয় অর্জন করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;