অর্থমন্ত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না!



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অর্থমন্ত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। ছবি: বার্তা২৪.কম

অর্থমন্ত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ সংসদীয় আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রার্থী হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এ নিয়ে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) পার্টি অফিসও ছিল বেশ আলোচনা মুখর। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে সাধারণ ভোটাররাও।

জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন সভা সেমিনারে রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রস্তুত করছিলেন তার অনুজ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেনকে। শেষ মুহূর্তে এসে প্রার্থী হিসেবে নিজের মুখে তার ভাইয়ের নাম ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর এ সদস্য। পরে অবশ্য ঘুরিয়ে মোমেনের সঙ্গে সিলেট-১ আসনে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসেইনকেও যোগ্য বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে সিলেট সফরে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পুনরায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদও এমনটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এমন ঘোষণার পর গতি কমে আসে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে।

সর্বশেষ শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন অর্থমন্ত্রীর অনুজ ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার টাকা অর্থমন্ত্রী নিজেই তাকে দিয়েছেন বলে জানান মোমেন।

অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ছেলে সাহেদ মুহিত। তখন কার্যালয়ের নিচতলায় ছিলেন অর্থমন্ত্রী। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় মনোনয়ন ফরম বিতরণ স্থলে যাননি তিনি।

দেখা গেছে, বরাবরই ভাইয়ের প্রতি দুর্বল অর্থমন্ত্রী। তার নিজের চেয়ে অনুজের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন নিয়েই উচ্ছ্বসিত ছিলেন বেশি।

অর্থমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করছে, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি নির্বাচন করবেন না। যদি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কোনো কারণে বাতিল হয়, তবেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আবার অন্য একটি সূত্র দাবি করছে, অর্থমন্ত্রীর পরিবারের একাধিক সদস্য চান তিনি নিজে আবারো নির্বাচন করবেন। তারা মন্ত্রীকে বার বার বোঝানোরও চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে এটি অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তহীনতা নাকি দলের জন্য কোনো চমক রয়েছে তা বুঝে উঠেতে পারছে না সাধারণ ভোটাররা।

আবার গত বছরের মধ্যসময়ে অর্থমন্ত্রীর ছেলে সাহেদ মুহিতের ছবি সম্বলিত বেশকটি বিলবোর্ড নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে শোভা পায়। তাতে সিলেট-১ আসনের জনসাধারণকে সাহেদ মুহিতের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। তখন থেকে সাধারণ ভোটারদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল চাচার বিরুদ্ধে সাহেদ মুহিত অবস্থান নিচ্ছেন কিনা?।

অর্থমন্ত্রীর বার বার সিদ্ধান্তহীনতা নিয়ে আবারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রার্থী নির্ধারণে আওয়ামী লীগের কোনো চমক নয়, অন্য কোনো কারণে এমনটা হচ্ছে। বাবার পক্ষে সাহেদ মুহিতের মনোনয়ন তোলার পর সেখানেও এ বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়। নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দলের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাদের মতে, নেত্রী যাকে দেবেন তার পক্ষে তৃণমূলের কর্মীরা কাজ করবে।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;