বাংলাদেশে তথ্য মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের বিদায় ঘণ্টা!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। আমেরিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে সিনেটের মুখোমুখি হতে হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। ইতোমধ্যে কেমব্রিজ এ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একের পর এক নানা প্রাইভেসি উদ্বেগ জন্ম দিয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। দুনিয়া জুড়ে ফেসবুক এখন ফেইক নিউজ বা মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ফলে এখন অনেকে মজা করে ফেসবুককে ‘ফেইকবুক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২৯ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় সমবয়সী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে একটি গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। প্রথম দিন থেকেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খানের হাসিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কার এবং ক্ষমা চেয়ে দৃশ্যপট থেকে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।

তবে ঘটনার দু’দিন পর অন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিতে থাকেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা হাতে যেসব প্লেকার্ড নিয়ে আন্দোলন করছিলেন সেগুলোর ছবি এডিট করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে একটি পক্ষ। আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান করা পক্ষটি সহজেই সেটি বিশ্বাস করে নেয়। শেয়ার দিয়ে, মত প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের ছবিগুলোকে ছড়িয়ে দেন। তবে কোনো ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের হাতে এই ধরনের অশ্লীল শব্দের প্লে-কার্ড দেখা না গেলেও ফেসবুকে এসব ছবিতে সয়লাব হয়ে উঠে। শহরের আন্দোলনকারীরাও ফেসবুককে বেছে নেন আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সেখানেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদদের অপমানকার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হতে থাকে। এতে একটি পক্ষ যেমন হাত তালি দিতে থাকে, আরেকটি পক্ষ মুষড়ে পড়েন। যারা ছবিগুলো পোস্ট করছিলেন, তারা একবারও এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সর্ম্পকে ভাবলেন না। নিজেদের মত ছড়িয়ে দিতে এই চরম আপত্তিকর কাজটি তারা করতেই থাকলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531227002.jpg

জানা গেছে, মুম্বাইসহ পুরো ভারতে স্যানিটেশন একটি বড় সমস্যা। সকালে মানুষ টয়লেট ব্যবহার করার চেয়ে রাস্তার দু’ধারে পয়ঃনিস্কাশনের জন্যে বসে যান। তাদের ঠেকাতে মুম্বাই সিটি কর্পোরেশন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোর বেলায় অভিযানে নামেন। যারা পথের দু’ধারে বসে যেতে চাইতেন, তাদেরকে জরিমানা করা শুরু হয়। এমনকি কান ধরে ওঠবসও করানো হতো। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন যখন নিজেদের ফেসবুক পেইজে এসব মানুষদের ছবি পোস্ট করতে থাকেন, তখনই বাধে গোল। কারণ একজন মানুষ আইন ভাঙ্গলে তার শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় না। মুম্বাই মিরর থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান টাইমস পত্রিকা এই অপমানকার ছবিগুলোর বিপক্ষে সরব হয়ে ওঠে। কারণ এটা মানুষের সামাজিক অবস্থানের ওপর হস্তক্ষেপ।

কিন্তু বুঝে না বুঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সর্ম্পকে অপরিণামদর্শীতার অভাবে বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও এসব করতে থাকেন। আন্দোলনের সপ্তম দিনে এসে ফেসবুক হয়ে উঠলো ফেইক নিউজে ঠাসা। চার জন খুন, দুই জন ধর্ষিত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকলো। মূলধারার গণমাধ্যমে নিজেদের মনের মতো খবর প্রকাশ না হওয়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নিলেন আন্দোলনের পক্ষ বিপক্ষ শক্তি। দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগ মূল ধারার গণমাধ্যম যেখানে বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে খবর যাচাই করে প্রকাশ করে, সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের মত প্রকাশ করে সেটাকেই তথ্য হিসেবে বেছে নিতে থাকেন বিভিন্ন মতাবলম্বীরা। তবে এক সময় যেমন খুন বা ধর্ষণের খবর মিথ্যা প্রকাশ হয়, তেমনি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার বাস্তব চিত্রও উঠে আসে মূল ধারার গণমাধ্যমে।

রোববার ধানমন্ডি-সায়েন্সল্যাব এলাকাজুড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয় পুলিশ এবং সরকারদলীয় বাহিনীর সেই খবরগুলোও যথাযথভাবেই তুলে ধরে মূল ধারার গণমাধ্যম। তবে এরই মধ্যে মতের পক্ষ বিপক্ষ যখন ঘৃণা ছড়ানোর জন্যে ফেসবুকে নিজেদের মনের মতো ছবি, ভিডিও পোস্ট করে অস্থীতিশীল অবস্থা তৈরি করতে তৎপর তখন কিন্তু সাধারণ মানুষ বেছে নিয়েছেন মূল ধারার গণমাধ্যমকেই। কারণ গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় অন্তত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এটুকু বুঝতে পেরেছেন, সত্যিকারের সংবাদ পেতে হলে মূল ধারার গণমাধ্যমেই ঢুঁ মারতে হবে।

মার্কিন সাময়িকী ফরচুন’র এক প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ডেটা বা তথ্য নিরাপত্তা লঙ্ঘণ নিয়ে মার্কিন আর ইউরোপীয় সরকারগুলোর কড়া তদন্তের মুখে রয়েছে ফেসবুক এবং তার প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেতে হলো ফেসবুককে। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ফেসবুকের শেয়ার দর ২০ শতাংশ কমে যায়। ফলে ফেসবুকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা টাকার অঙ্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে কোনো কোম্পানির একদিনে সবচেয়ে বড় ক্ষতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531251003.jpg

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন আর্ন্তজাতিক মিডিয়াগুলোর প্রধান খবরগুলোর একটি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ফেইক নিউজের বাহক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছে ফেসবুক। অন্তত এটুকু অনুমান করা যায়, ব্যবহারকারীরা অন্তত নিজেদের পক্ষ না হোক বিপক্ষ মতের প্রচারণা যাচাই করার জন্যে হলেও মূলধারার গণমাধ্যম থেকে যাচাই করবে। আর সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে হবে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে।

২০১৬ সালের আগেও আমেরিকান নির্বাচনের আগে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের একটি বড় বিতর্কের জায়গা ছিল, ফেসবুক বা টুইটার অথবা ইউটিউব কি মূলধারার গণমাধ্যমের জন্যে ঝুঁকি হয়ে উঠবে? ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়েন ভোটাররা। তবে নির্বাচনের পরে হলেও সেখানকার মানুষ বুঝতে পারে যে ফেসবুকের ফেইক নিউজ দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী নতুন ধারণার জন্ম নেয় যে ফেসবুকের নিজের মৃত্যুর কারণ হবে ফেসবুক নিজেই। এতো বেশি মিথ্যা আর ভ্রান্তি ছড়ানো শুরু হবে যে মানুষ আবারো ট্রেডিশনাল মিডিয়াতে প্রবেশ করতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেই বিষয়টি বাংলাদেশিদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ফেসবুক এখানেও ফেইক বুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়ছে। গণমাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। মানুষকে সত্য জানতে মূলধারার গণমাধ্যমেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। তথ্যের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশে ফেসবুকের মৃত্যু ঘণ্টা হয়তো এখান থেকেই বাজতে শুরু করেছে।

   

৫জির ভবিষ্যৎ নিয়ে যা জানা গেল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেশে ৫জি অনিশ্চিত 

দেশে ৫জি অনিশ্চিত 

  • Font increase
  • Font Decrease

তরঙ্গ নিলামের প্রায় দুই বছর পর ৫জি গাইডলাইন চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তৈরি গাইডলাইন অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের আগামী এক বছরের মধ্যে ৫জি চালু করতে হবে।

তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাই এখন বলছে, কবে ৫জি চালু হবে তারা এখন বলতে পারছে না।

বুধবার বিটিআরসির কার্যালয়ে আয়োজিত টেলিযোগাযোগ বিষয়ে গণশুনানিতে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুজ্জামান বলেন, ৭০০ ব্যান্ডেও যাতে ৫জি ব্যবহার করা যায় সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশে ৫জি যতটা না প্রয়োজন তার চেয়ে ৪জি উন্নত বেশি করা দরকার। দ্রুততম সময়ে যাতে ৪জি’র মান উন্নত এবং কাঙ্ক্ষিত নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বিটিআরসি। 

৫জি সেবা কবে চালু কবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ৫জি চালু করেছে। যখন দেখবো এটি আমাদের দেশে প্রয়োজন তখন চালু করা হবে।

২০২২ সালের মার্চে ৫জি তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০হাজার কোটি টাকায় মোট ১৯০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনে নেয় চারটি মোবাইল অপারেটর। ৫জি তরঙ্গ নিলামের সময় বলা হয়েছিল, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫জি সেবা চালু করতে হবে। এরপর গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে ৫জি সেবা চালুর বিষয়ে তোড়জোড় চালিয়েছিলেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তবে দ্রুততম সময়ে ৫জি সেবা চালু নিয়ে অপারেটরো আপত্তি জানিয়েছিল। বর্তমানে দেশে ৩জি ও ৪জি সেবা চালু রয়েছে। ২০১৩ সালে ৩জি এবং ২০১৮ সালে ৪জি চালু হয়।

সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫জি চালু করতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ লাগবে। তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র চূড়ান্ত না হওয়ায় বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাইছে না অপারেটরেরা। 

তবে অনেক দেশে ৫জি এখনো বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। বিশ্বব্যাপী মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমএ এর প্রতিবেদন বলছে, আগামী ২০২৫ সালে ২০০ কোটি মানুষ ৫জি সেবা নেবে।

;

চলছে জরিপ, ফিরছে ৩ দিনের মোবাইল প্যাকেজ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ হয়ে যায় গত বছরের অক্টোবরে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল।

এরপর এই প্যাকেজ বন্ধ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। অক্টোবরে ১৫ দিনের প্যাকেজও বন্ধ করা হয়েছিল। তবে জনপ্রিয় এই প্যাকেজ পুনরায় চালু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিটিআরসি এরই মধ্যে একটি জরিপ করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক (সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিল-উর রহমান বলেন, মোবাইলের নতুন প্যাকেজ বাস্তবায়নের পরেও ফিডব্যাক পেয়েছি। এ সংক্রান্ত জরিপে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের রেসপন্স পেয়েছি। গ্রাহকের ফিডব্যাকের ভিত্তিতে গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেটের প্যাকেজ প্রবর্তন করা হবে।

বুধবার (৮ মে) বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিযোগাযোগ বিষয়ে গণশুনানিতে তিনি একথা বলেন। শুনানিতে ফরিদ রেজা মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের মেয়াদ তুলে দেওয়ার দাবি জানান। সেই সাথে তিনি এমএনপিতে যেতে টাকা কমানোর কথা বলেন।

জবাবে বিটিআরসি থেকে বলা হয়, ভর্তুকি দিয়ে অন্য অপারেটরকে স্বাগত জানাতে আহবান জানান তিনি। ৩ দিনের প্যাকেজ ৩জিবি। আবার একই প্যাকেজ এক মাসের নিলে অপারেটরের খরচ বেড়ে যায়। তাই চাইলেই একটি অপারেটর মেয়াদহীন প্যাকেজ দিতে পারছে না।

;

থ্রি-জি সেবা বন্ধ করলো বাংলালিংক, বন্ধ করছে অন্যরাও



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক তাদের থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক গত ৫ মে দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে।

২০১৩ সালে দেশে সবগুলো অপারেটর থ্রি-জি সেবা চালু করেছিল।

এদিকে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডও থ্রি-জি সেবা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং নাটোর থেকে তারা এই কার্যক্রম শুরু করে।

থ্রি-জি ডিভাইসের সংখ্যা হ্রাস এবং ফোরজি ডিভাইসের সংখ্যা বাড়ার কারণে বর্তমানে টুজি ও থ্রিজি নেটওয়ার্কে চাপ কমছে।

বাংলালিংক বলছে, থ্রি-জি বন্ধের ফলে অপারেটরটি ফোর-জি নেটওয়ার্কের আরও বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা। ফোর-জি-এর জন্য বরাদ্দকৃত তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে, আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবো। এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর দিকে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।

;

ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা নিয়ে এলো ভিভো ভি৩০ লাইট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে এলো গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৩০ লাইট। রবিবার (৫ মে) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিভো ভি৩০ লাইটকে পরিচয় করিয়ে দেন জনপ্রিয় তারকা ও ভিভোর শুভেচ্ছাদূত তাহসান খান।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের ভিভো ভি৩০ লাইটে যুক্ত হয়েছে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ডিজাইন। সূর্যের আলোতে মুহূর্তেই বদলে যাবে ব্যাক সাইডের কালার। দেবে এক অভিনব লুক।

ভিভো ভি৩০ লাইটকে আরো প্রিমিয়াম করেছে এর ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। ব্রিজ গ্রিন আর ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

ভিভোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লাইফকে আরো লাইট আপ করতে ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটে এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটরি ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে। যা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি দেবে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা।

একবার চার্জে এই স্মার্টফোনে কথা বলা যাবে টানা ২৯ ঘন্টা। টানা ৮ ঘন্টা গেম উপভোগ করা যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টানা ১৬ ঘন্টা ভিডিও চলবে।
ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে সুপার চার্জ পাম্প। এটি যেমন ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করবে, তেমনি সবচেয়ে কম তাপ উৎপন্ন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে চার্জের সময়ে, মাল্টিটাস্কিং বা প্রচন্ড রোদের তাপেও ভিভো ভি৩০ লাইট থাকছে ঠান্ডা।

এ ছাড়াও ব্যবহারের ৪ বছরের মধ্যে যদি এর ব্যাটারি ৮০% এর বেশি ড্যামেজ হয় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা।

৭.৭৯ মিলিমিটার সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিট পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। থাকছে অত্যাধুনিক ৬৮৫ কোয়ালকম স্নাপড্রাগন প্রসেসর এবং মাল্টি টাস্কিং এর জন্য থাকছে ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম।

একইসঙ্গে ২৫ টা অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ৮ জিবি র‍্যামের সঙ্গে থাকছে ৮ জিবি র‍্যাম বাড়ানোর সুবিধা। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। তাই গান, ভিডিও বা গেমে সাউন্ড কোয়ালিটি হবে স্মুথ এবং হাই। সঙ্গে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সঙ্গে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। যা কম আলোতে দারুণ ছবির নিশ্চয়তা দিবে ব্যবহারকারীকে। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা। ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলবে প্রি-বুকিং। প্রি-বুকিং করলেই পাওয়া যাবে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

সাথে যারা প্রি-বুকিং করবে তাদের জন্য আরো থাকছে ১৮০ দিনের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট অফার। যদি ১৮০ দিনের মধ্যে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ভেঙে যায় তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এটি ঠিক করে দেবে ভিভো। এই অফারটি পেতে সাধারণত ৯৯৯ টাকা এবং ডিসপ্লে বাবদ প্রায় ৮০০০ টাকা খরচ করতে হলেও ভিভো এটি দিচ্ছে একদম ফ্রি।

;