টেলিভিশনগুলোকে কি বাঁচানো যাবে



মাজেদুল নয়ন; স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
টেলিভিশন/ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধুঁকছে ঢাকার টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ব্যয়ের তুলনায় আয় না থাকায় কর্মচারী ছাঁটাই করছে নিয়মিত। অন্যদিকে, মানসম্মত অনুষ্ঠান বা খবর প্রকাশ করতে না পারায় বিজ্ঞাপনদাতারাও আর উৎসাহী হচ্ছে না।

একটি বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্ণধার জানান, দেশে টেলিভিশনের মোট দর্শকদের মাত্র ২১ শতাংশ বাংলাদেশি চ্যানেল দেখেন। বাকি ৭৯ শতাংশ বিদেশি চ্যানেলের দর্শক। দেশের যে কোনো চ্যানেলের তুলনায় ভারতের জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলোর দর্শক অনেক বেশি।

বাংলাদেশে কিছুদিন আগে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল দীপ্ত টেলিভিশনের বাংলায় ডাবিং করা তুর্কি সিরিয়াল ‘সুলতান সোলেমান।’ বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের ইতিহাসে এটি রেকর্ড সংখ্যক দর্শক পেয়েছে। ‘সুলতান সোলেমান’ চলাকালে বিজ্ঞাপনের জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রতি মিনিটে লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে। তবে সেই অনুষ্ঠানের বিপক্ষেও দাঁড়িয়ে যায় অন্য টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানগুলো এবং প্রযোজকদের সংগঠন। আবার খেলা চলাকালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোর মিনিটের মূল্য বেড়ে যায়।

তবে দেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান না বানানো এবং দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়াকেই এই বিজ্ঞাপন সংকটের জন্য দায়ী করছেন বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুলতান সোলেমান’ এর পর দীপ্ত টিভি নিয়ে আসে ‘কোসেম সুলতান’ এবং ‘এইজেল’। তবে এই সিরিজগুলো কিন্তু আগের মতো দর্শক জনপ্রিয়তা পায়নি। কারণ একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল দর্শক। অন্য চ্যানেলগুলোতেও ডাবিং সিরিয়ালের জোয়ার চলে আসে। তবে সবকয়টিই ব্যর্থ হয়।

ওই প্রতিষ্ঠাটির জরিপ থেকে জানা যায়, বর্তমানে খবরের চ্যানেলের মধ্যে ‘সময়’ টেলিভিশন ছাড়া অন্য চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনের হার সন্তোষজনক নয় মালিকদের জন্য। এক মিনিট সময়ের জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে রাজি হচ্ছে না বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে অনেক বেশি সংবাদ চ্যানেল হয়েছে। এমনকি অনুষ্ঠান চালানোর জন্য চ্যানেল খোলা হলেও, পরে সংবাদ চালু করা হয়েছে। ভাবা হয়েছিল, সংবাদ না থাকলে বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে না। তবে ধারণা ভুল হয়েছে তিন বছর না পেরোতেই। মানুষ এখন সংবাদের জন্যে অনলাইন মাধ্যমে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে সংবাদ চ্যানেলগুলোও ঝুঁকছে অনলাইনে। ঘরে বসে টিভিতে সংবাদ দেখার দর্শকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতিদিন।

এদিকে, বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে বাঁচাতে এবার সরকারও পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে পহেলা এপ্রিল থেকে ডাউনলিঙ্ক করা বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

শনিবার (৩০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা হলে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপনের হার বাড়বে এবং দেশের টেলিভিশন শিল্প আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপন দাতারা বলছেন, মানসম্মত অনুষ্ঠান বা খবর না হলে দর্শক যেমন পাবে না টেলিভিশনগুলো, তেমনি বিজ্ঞাপনের বাজারও বাড়বে না। কারণ বিজ্ঞাপন দাতা দেখবে দর্শকের অংশগ্রহণ কেমন এবং অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কতটুকু। আর তারা বিদেশি চ্যানেলের জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতেন, সেই পরিমাণ অর্থ এখন তৃতীয় মাধ্যমে খরচ করবেন। সেটি ডিজিটাল মিডিয়াতেই যাবে বলে মনে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন সংস্থার ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশে এখন ভালো দর্শক পাচ্ছে দূরন্ত টেলিভিশন। কারণ সেখানে শিশুদের অংশগ্রহণ রয়েছে উল্লেখযোগ্য। ভালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে একটি বড় সংখ্যক শিশু দর্শককে তারা চ্যানেলের দর্শক বানাতে পেরেছে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে সেটি কমে এসেছে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে শিশুদের জন্য যে সৃষ্টিশীল অনুষ্ঠানগুলো করা হচ্ছে সেগুলো দর্শক টানছে।

বর্তমানে দেশে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের যে বাজেট তার মাত্র ১৯ শতাংশ খরচ হচ্ছে দেশি চ্যানেলে। আর ৮১ শতাংশই দেওয়া হচ্ছিল বিদেশি চ্যানেলে।

বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপন দাতারা বলছেন, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে যে বিজ্ঞাপনের টাকাটা বিদেশি চ্যানেলে যেতো সেটি এখন অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়ায় খরচ করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ এখন মানুষ টেলিভিশনের চেয়ে ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন অ্যাপসে বেশি সময় কাটাচ্ছে। ফলে সে অনুযায়ী ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন তৈরি এবং এসব মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয়ের দিকে মনোযোগ বিজ্ঞাপন দাতাদের। কারণ সেখানেই টার্গেট গ্রুপের উপস্থিতি বেশি।

তিনি বলেন, যাই হোক জোর করে বিজ্ঞাপন আদায় করলেও, দর্শক না থাকলে সেই বিজ্ঞাপন বেশিদিন স্থায়ী হয় না। ফলে টিভি চ্যানেলগুলো নিজেদের পরিবর্তন না করলে সরকারের এই পদক্ষেপেও কোন পরিবর্তন আসবে না।

   

২০২৪ সাল

ব্যবসায়িক সাফল্য দিয়ে প্রথম প্রান্তিক শুরু গ্রামীণফোনের



ইশতিয়াক হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (জিপি) লিমিটেড ৩,৯৩২.৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৩ শতাংশ বেশি।

প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৫.৮ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৩ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।

গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা আমাদের কর্মকৌশলে অটুট থেকে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও অংশীদারিত্বগুলোকে দৃঢ় করার পাশাপাশি, আমাদের কার্যক্রমকে আরো সুসংহত করেছি। এই সব কিছুই আজকের এই সাফল্যে অবদান রেখেছে। টেলকো থেকে টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা উচিত। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিরলসভাবে ডিজিটাল সম্পদ তৈরি ও ডিজিটাল প্লেয়ারদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা সিলেটে আমাদের প্রথম টিয়ার থ্রি স্ট্যান্ডার্ড ডেটা সেন্টার উদ্বোধন করেছি, যা একটি প্রযুক্তিগত বিস্ময় হিসেবে নেটওয়ার্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়াও অনন্য হোম ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সলিউশন ‘জিপিফাই’ চালু করেছি, যা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং ডিজিটাল বিনোদন উপভোগ করতে চান, এমন পরিবারের জন্য একটি সামগ্রিক সল্যুশন।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিশ্বাস আমরা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি, আমরা কৌশলগতভাবে এমন সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছি, যারা আমাদের মূল্যবোধ এবং পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’

গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমাদের ক্রমাগত ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম প্রান্তিকের ফলাফলে আমাদের ইতিবাচক আর্থিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন হয়েছে। এই নিয়ে টানা ১২ প্রান্তিকে লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। ভালো কর্মপরিকল্পনা এবং কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখায় প্রথম প্রান্তিকে সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ হার ৫.২ শতাংশ এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিন ৬০.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

আমাদের শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট ও ক্যাশফ্লো’র কল্যাণে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যহত রাখা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে, একটি আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার ভিত্তি।’

মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২,৬০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ব্যতিত) ৭১৭.৩ কোটি টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।

নতুন কভারেজ সাইটসহ গত তিন মাসে ৫০০-এর বেশি নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে গ্রামীণফোন। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা ২১,৭০০ এর বেশি, যার মাধ্যমে ৯৭.৯ শতাংশ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছেন।

;

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;