লাঠিতে ভর দিয়ে প্রতিবন্ধী রমনের স্কুলযাত্রা



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
লাঠিতে ভর দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে রমন চৌহান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লাঠিতে ভর দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে রমন চৌহান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছেলেটি হাঁটছে সড়কের পাশ দিয়ে। লাঠিতে ভর দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। পরনে তার স্কুল ড্রেস। কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ। গন্তব্য নিজ বিদ্যালয়। যেতে যেতে দু-একবার মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফের লাঠিতে ভর দিয়ে ছুটে চলছে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে।

বুধবার (২৯ আগস্ট) সকালে গৌরীপুর পৌর শহরের গোলকপুর এলাকায় রমন চৌহান নামে প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় যাত্রার এমন দৃশ্য দেখা যায়। সে গোলকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: গাছে ঝুলছে কালচে বেগুনি রঙের আলু

রমনের বাড়ি গৌরীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গোলকপুরে। বাবা শঙ্কর চৌহান। মা পতুল চৌহান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রমন সবার বড়। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে লাঠিতে ভর দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/29/1567049147953.jpg
রমনের বাড়ি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

দুপুরে বিদ্যালয় ছুটির পর রমন ও তার পরিবারের সঙ্গে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর কথা হয়। কথাবার্তায় জড়তার কারণে প্রশ্ন করলে স্পষ্ট উত্তর দিতে পারছিল না রমন। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: ‘পত্রিকায় শুধু লিখে দিয়েন, আমরা কষ্টে আছি’

রমনের মা পুতুল চৌহান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী হওয়ায় রমন ছোটবেলা থেকে হাঁটতে পারতো না। উঠানে বসে থাকতো। বড় হওয়ার পর সমবয়সীদের স্কুলে যাওয়া দেখে বায়না ধরে স্কুলে যাবে। পরে স্কুলে ভর্তি করে দেই। শুরুর দিকে আমি রমনকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতাম। কিছুদিন পর ও নিজেই লাঠিতে ভর দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া শুরু করে।’

রমনের পরিবার জানায়, জন্মের সময় রমনের পা দুটো বাঁকা ও সরু ছিল। অভাবের জন্য চিকিৎসা না হওয়ায় ওর পা দুটো অচল হতে যায়। মুখের কথাবার্তায়ও চলে আসে জড়তা। ছোটবেলায় হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে লাঠিতে ভর দিয়ে চলা শিখে। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসা করলেও অভাবের তাড়নায় প্রাইভেট পড়া হয়না রমনের। প্রতিবন্ধী হলেও ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ভাতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/29/1567049234135.jpg
রমনের বাবা-মা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

বাড়ির সামনেই রমনের বাবার ছোট্ট দোকান। সারাদিনে ২ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হয়। আয়ের ওই টাকা দিয়েই টানাটানি করে চলে সংসার।

আরও পড়ুন: মিষ্টিমুখ করে নতুন ঘরে উঠলেন মিরিকজান

রমনের বাবা শঙ্কর চৌহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। ছেলের পড়াশোনার খরচ দিতে পারি না। জনপ্রতিনিধিরাও ছেলেকে ভাতার কার্ড দেয়নি। এরচেয়ে কষ্ট আর কি আছে।’

স্বামীর কথা থামিয়ে দিয়ে স্ত্রী পুতুল চৌহান ছেলে রমনকে বুকে টেনে ধরেন। কপালে চুমো খেয়ে জানতে চান বড় হয়ে কি হবিরে বাবা? উত্তর দেয় না রমন। শুধু মৃদু হেসে মায়ের বুকে মুখ লুকাতে থাকে।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুপ্রেমী কাঠমিস্ত্রি আব্দুর রশিদ

ফিরতি পথে গোলকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে কথা হয় প্রধান শিক্ষক প্যাসিফ্লোরা সুলতানার সঙ্গে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী হলেও রমন স্কুলে নিয়মিত। সবার সহযোগিতা পেলে সে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

অপরদিকে মুঠোফোনে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আহাম্মদ জানান, পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে রমনের প্রতিবন্ধী কার্ড প্রাপ্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;