লাকসাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংস্কারের ৭ লাখ টাকা জলে!



জাহিদ পাটোয়ারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার লাকসাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংস্কারে সাত লাখ টাকা ব্যয় বৃথা গেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। কারণ সংস্কারকাজের চার দিনের মাথায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কেন্দ্রটি। বৃষ্টির নামলেই পানি পড়ছে, মেঝে ভিজে যাচ্ছে; ওষুধ, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতিসহ মূল্যবান নথিপত্র ভিজে যাচ্ছে। রোগী ও চিকিৎসকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।

লাকসাম পৌরশহরের থানা কমপ্লেক্সের অদূরে অবস্থিত লাকসাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি প্রায় দেড়শ বছরের পুরাতন। জমিদার আমলে প্রায় ৭০ শতক জমিতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি স্থাপন করা হলেও এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে গত ১৩ মার্চ সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংস্কারে ব্যয় হয় প্রায় সাত লাখ টাকা। কাজ পায় মেসার্স কলি এন্টারপ্রাইজ।
চৌচালা টিনশেড থেকে একচালায় রূপান্তরিত করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি গত ৩ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু হস্তান্তরের চারদিনের মাথায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয় কেন্দ্রটি।

অভিযোগ উঠেছে, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সংস্কারকাজ করা হয়েছে দায়সারাভাবে। অনেক কিছু নতুন লাগানোর কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, টিনশেড ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত এক সময়কার এ দাতব্য চিকিৎসালয়টি এখন লাকসাম উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে পরিচিত। এ কেন্দ্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন শতাধিক রোগী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। যাদের অধিকাংশই হতদরিদ্র, নারী ও শিশু।

তবে এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। আধুনিক স্থাপনা, সীমানা প্রাচীর কিছুই নেই। ফলে যেকোনো সময় বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সম্পত্তি।

এদিকে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় সেখানে পরিদর্শনে আসেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (স্বাস্থ্য) মোহাম্মদ রনি। তিনি জানান, এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। পুনরায় কাজ না করলে জামানত থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562700209073.jpg

স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির চারপাশ অনেক নোংরা। নেই বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিও ময়লা ও মলমূত্রে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি।

এখানে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন মেডিকেল সহকারী, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন সেকমো, একজন ভিজিটর, একজন এমএলএসএস, একজন আয়া থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে সেখানে একজন সেকমো ও একজন ভিজিটর ছাড়া বাকি পদগুলো শূন্য রয়েছে। গত বছর একজন মেডিকেল অফিসারকে পোস্টিং দেওয়া হলেও তিনি সেখানে আসেননি।

লাকসাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হেদায়েত বেগম জানান, বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় ওষুধ, নথিপত্র, আসবাবপত্র ভিজে গেছে। ফলে রোগী দেখা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত সুলতানা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সংস্কার কাজ শেষে গত ৩ জুলাই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু চৌচালা ভেঙে একচালা টিনশেড দেয়ায় এবং পানির ট্যাংক ও বেসিন না থাকায় চাল দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এ বিষয়ে আপত্তি জানালে ঠিকাদার আবার কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে।’

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কলি এন্টারপ্রাইজের পরিচালক শাহাবুদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারের কথা অনুযায়ী সব কাজ করা হয়েছে। তবে চাল দিয়ে পানি পড়া বন্ধ করতে সেখানে মিস্ত্রি পাঠিয়েছি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;