গ্রামেও দুষ্প্রাপ্য ‘থানকুনি’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
থানকুনি পাতা, ছবি: বার্তা২৪.কম

থানকুনি পাতা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অনন্য ঔষধি গুণে ভরপুর ‘থানকুনি’ পাতা। শুধু পাতা নয়, এই উদ্ভিদটির শিকড়েও রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা। শহরের সচেতন মানুষতো বটেই, গ্রামের সাধারণ মানুষও জানেন এর গুণাগুণ সম্পর্কে। তাইতো অনেকেই সময়ে অসময়ে এই ‘থানকুনি’ পাতার রস খেয়ে থাকেন।

শুধু রস নয়, ‘থানকুনি ভর্তা’ গ্রামীণ সমাজের একটি অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো উপকারী ও ঔষধি থানকুনি পাতার দেখা ইদানিং সচরাচর পাওয়া যায় না। শহর অঞ্চলে তো দূরের কথা, গ্রামের পর গ্রাম খুঁজেও দেখা মেলে না থানকুনির।

থানকুনির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Centella asiatica. ইংলিশে বলা হয় Centella বা Indian pennzwor.

ছোট প্রজাতির এই ভেষজ উদ্ভিদ বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে পাওয়া যায়। থানকুনিকে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন: তিতুরা, আদামনি, টুনিমুনি, ধুলাবেগুনসহ আরও অনেক নামে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে একাধিক ঔষধের চেয়েও অধিক উপকারিতা পাওয়া যাবে এই থানকুনি থেকে। বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-

১. মুখে ঘা ও অন্যান্য ক্ষত দূর করে।

২. পেটের অসুখে থানকুনির ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

৩. গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় অন্যতম ঔষধ এই থানকুনি।

৪. সর্দির সমস্যায় থানকুনি পাতা ও শিকরের রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৫. থানকুনি পাতা হজম শক্তি ও মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

৬. আমাশয়ের সমস্যায় থানকুনি পাতার রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৭. হঠাৎ করে কাশি বৃদ্ধি পেলে থানকুনি পাতার রস গ্রহণে উপকার পাওয়া যায়।

৮. ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতা কার্যকরি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/01/1561953068344.jpg

এতগুলো গুণের অধিকারী থানকুনি একটা সময় বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া গেলেও এখন তার দেখা পাওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। শুষ্ক মৌসুমে জমির আল বা বিভিন্ন মাঠে থানকুনির দেখা মিললেও বর্ষা মৌসুমে অতি প্রয়োজনেও পাওয়া যায় না এই থানকুনি।

হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম হবিগঞ্জ-বানিয়াচং এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে খোঁজ করেও থানকুনি পাতার সন্ধান পাননি। অবশেষে সুবিদপুর এলাকায় দূর্বা ঘাসের আড়ালে কয়েকটি থানকুনি পাতার খোঁজ পেলে বয়স্ক স্বামীর জন্য সেখান থেকেই মাটি মেশানো বেশ কয়েকটি থানকুনি সংগ্রহ করেন তিনি।

তিনি বলেন- ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এগুলো চারদিকে বড় হয়ে উঠতে দেখতাম। কিন্তু এখন এলাকার পর এলাকা ঘুরেও একটা থানকুনি পাওয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন- ‘থানকুনি পাতার খোঁজে শহর থেকে গ্রামে আসলাম। কিন্তু গ্রামেও এখন আর থানকুনি পাতা পাওয়া যায় না।’

বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের আরতি বালা বলেন- ‘আগে পুকুরপাড় ও ক্ষেতের আইলে অনেক টুনিমুনি (থানকুনি) পাতা পাওয়া যাইত। কিন্তু এখন আমিও মাঝে মধ্যে সকালে টুনিমুনির রস খাওয়ার লাগি খোঁজি কিন্তু পাই না।’

একই উপজেলার কবিরপুর এলাকার বৃদ্ধ আলী হোসেন বলেন- ‘ছোটবেলা আমাদের যখন অসুখ হতো তখন দেখতাম গ্রামের ডাক্তার থানকুনি পাতার রস দিয়া ঔষধ বানাইত। এগুলো খেয়েই বিভিন্ন রোগ সারত। তখনই বুঝতে পারতাম থানকুনি পাতার গুণাগুণ অনেক বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাঝে মধ্যে হাওর থেকে তুলে এনে থানকুনি খাই। কিন্তু এখন আর পাওয়া যায় না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;