ধর্ষণের এক বছর পর মারা গেল শিশু আছিয়া
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধর্ষণের এক বছর পর মারা গেছে ৮ বছর বয়সের শিশু আছিয়া। সোমবার (১৭ জুন) ভোররাতে ঢাকায় স্বজনের বাসায় সে মারা যায়। ধর্ষণের কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছিল শিশুটি।
গত বছর ৯জুন কালিহাতী উপজেলার মালতী গ্রামের তায়েজ আলীর ছেলে মাহবুব বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আছিয়াকে ডেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘরের একটি কক্ষে তাকে ধর্ষণ করে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক ধর্ষণ হয়েছে বলে জানায় পরিবারকে।
এরপর আছিয়ার বাবা আশরাফ আলী বাদী হয়ে মাহবুবকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।
ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। পরে পুলিশ ধর্ষক মাহবুবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এর কিছুদিন পর তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন।
শিশু আছিয়ার নানা হযরত আলী খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঢাকায় আত্মীয়ের একটি বাসায় সোমবার ভোর রাতে আছিয়া ব্যাথা অনুভব করে ছটফট করতে থাকে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সে মারা যায়। দুপুরের দিকে তাকে গ্রামের বাড়ি উপজেলার মালতী গ্রামে আনা হয়। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বাড়িতে এসে তার দাফনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের অনস্টোপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার (পিও) মো. বাইজিদ বার্তা২৪.কমকে জানান, সে সময় ধর্ষণের ফলে আছিয়ার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এতে মলদার ও যৌনাঙ্গ ছিড়ে গিয়ে এক হয়ে যায়। এতে আটটি সেলাই করার পরও তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় ওই সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। টানা এক বছর ঢাকায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছিল শিশুটি।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বার্তা.২৪কমকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় সে সময় ধর্ষক মাহবুবকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।