সাতছড়ি উদ্যানে দর্শনার্থীর ঢল, নানা অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ!



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
সাতছড়ি উদ্যানে দর্শনার্থীর ঢল, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাতছড়ি উদ্যানে দর্শনার্থীর ঢল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানে খুশি। আর সেই খুশিকে দ্বিগুণ করে নিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই ছুটে যান দর্শনীয় স্থানগুলোতে। ঈদের ছুটিতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হবিগঞ্জের ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান’ এ ঢল নামে ভ্রমণপ্রেমী মানুষের। ঈদের দিন বৃষ্টির মাঝেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। এদিন টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকার। এবারের ঈদের ছুটিতে ৫ লাখ রাজস্ব আয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে উদ্যানের ভেতরের নানা অব্যবস্থাপনা আর ট্রি এডভ্যাঞ্চার পরিত্যক্ত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের আগে টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় উদ্যানের পরিবেশ কিছুটা খারাপ হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ট্রি এডভ্যাঞ্চার মেরামত করা সম্ভব হয়নি।

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার অবস্থিত রঘুনন্দর পাহাড়ের সাতটি ছড়া থেকে মূলত নামকরণ করা হয়েছে ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।’ সুবজ প্রকৃতি আর বন্য প্রাণীদের দেখতে দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলযোগে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বেড়াতে এসেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/07/1559865555769.jpg

বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্য করার মতো। দর্শনার্থীদের পদচারণা আর নানা রকম পাখ-পাখালির শব্দে মুথরিত হয়ে উঠেছে উদ্যানের চারপাশ। চলছে দর্শনার্থীদের মাঝে ছবি ও সেলফি উঠানোর হিড়িক। শুধু উদ্যানের ভেতরে নয়, পাশের সবুজ চা বাগানগুলোও অনেক দর্শনার্থী ঘুরে ঘুরে দেখছেন। স্মৃতিটা ধরে রাখতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বন্দি হচ্ছেন ক্যামেরার লেন্সে।

এদিকে, ঈদে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের জন্য খোলে দেওয়া হয়েছে উদ্যানের পুরাতন গেট (বর্তমানে যেটি পরিত্যক্ত)। অন্য সময় একটিমাত্র গেটে বিক্রির করা হলেও ঈদ উপলক্ষে উদ্যানের তিনটি গেটেই টিকিট বিক্রি করছে কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে, পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে নির্মিত ট্রি এডভ্যাঞ্চারটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অজুহাতে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তরুণ দর্শনার্থীরা।

মাধবপুর থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মো. ফয়জ মিয়া বলেন, ‘ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসার জন্য কাছের মনোরম পর্যটন স্পট সাতছড়ি উদ্যান। সুযোগ পেলেই এখানে আসি। কিন্তু এখানের প্রাকৃতিক দৃশ্য অপরূপ হলেও পরিবেশ অনেক খারাপ।’

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়া এখানে পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ার কোনো সুব্যবস্থা নেই। নেই নিরাপদ পানির ব্যবস্থা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/07/1559865582468.jpg

বানিয়াচং উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা তরুণ রুবেল দাস বলেন, ‘এখানে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এছাড়া আমরা যারা তরুণরা রয়েছি তাদের সব চেয়ে বেশি পছন্দ ট্রি এডভ্যাঞ্চার। যেটিতে চড়ব বলে এসেছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে পরিত্যক্ত করে রেখেছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো- ঈদের আগে তা মেরামত করা এবং পর্যটকদের নিরাত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা।’

মাধবপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান আকাশ পরিবার-পরিজন নিয়ে সাতছড়ি উদ্যানে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে পর্যটকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। নেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। বিষয়টি দুঃখজনক।’

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের সব ধরণের সুয়োগ-সুবিধার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। দর্শনার্থীদের নিরাপদ পানির জন্য একটি গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে।’

ট্রি এডভ্যাঞ্চার পরিত্যক্ত রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এটি মেরামত না করায় বর্তমানে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঈদের আগে টানা কয়েকদিন বৃষ্টি থাকায় এটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;