ফেরি সংকটে পাটুরিয়া ঘাটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী-শ্রমিকরা



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মানিকগঞ্জ, বার্তা২৪.কম,
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি সংকটে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন, ছবি: বার্তা২৪.কম

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি সংকটে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সাথে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী-যানবাহন পারাপার হয় এ নৌরুট দিয়ে। সম্প্রতি ফেরি সংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকরা।

তবে যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়া নৌরুট পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের দুইটি ট্রাক টার্মিনাল যানবাহনে ভরপুর দেখা যায়। যাত্রীবাহী বাসের সাথে সিরিয়াল অনুযায়ী কিছু কিছু করে ট্রাক পারাপার করতে দেখা যায়। ঘাট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের উথুলী ইন্টারসেকশন এলাকায় দিনের বেলায় আগত ট্রাকগুলোকে আটকে রাখা হচ্ছে। ঘাটে জমে থাকা ট্রাকগুলো পারাপারের ওপর নির্ভর করে সেখান থেকে ঘাট এলাকায় আনা হচ্ছে ট্রাক।

পরে সেখান থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে পণ্যবাহী এসব ট্রাক। তবে বাড়তি টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভঙ্গ করে পরে আসা ট্রাকগুলোকে আগে পারাপার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বেশ কিছু ট্রাক চালক। তবে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাক পারাপার কার্যক্রম হচ্ছে বলে দাবি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহগামী তেল বোঝাই ট্রাকের চালক আতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে তিনি উথুলী এলাকায় অপেক্ষমাণ রয়েছে। এখনো ফেরিঘাট টার্মিনালে যাওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। কখন ঘাট পার হতে পারবেন সে বিষয়েও কোন মন্তব্য নেই তার।

চিনি বোঝাই চুয়াডাঙ্গাগামী ট্রাকের চালক সোহাগ মিয়া জানান, যেকোনো দুর্যোগ হলে চরম ভোগান্তির কবলে পড়তে হয় তাদের। তবে প্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি টাকা দিতে পারলে ঘাট পারাপারে কোন দুর্ভোগ হয় না বলে জানান তিনি। তবে এই অবস্থার স্থায়ী প্রতিকার পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট এসএম সৌরভ হোসেন বলেন, 'ঘাট এলাকায় বাড়তি ট্রাকের চাপ থাকলে ভোগান্তিও বাড়তি হয়। এজন্য মহাসড়কের উথুলী ইন্টারসেকশন এলাকায় বেশ কিছু ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে এখান থেকে ঘাট এলাকায় ট্রাকগুলোকে পাঠানো হবে।'

পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. তুহিন লষ্কর জানান, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে চারটি ফেরি বিকল থাকায় ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যে কারণে ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানান তিনি। সবশেষ ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কম থাকলেও নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস ও ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অগ্রাধিকার পাচ্ছে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক। যে কারণে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের নৌরুট পারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তবে বাড়তি টাকার বিনিময়ে ট্রাক পারাপারের অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যান

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;