টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম

'লুটের টাকা নিয়ে নিউজ করার দরকার নাই'



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তা২৪
বাঁ থেকে, আঃ রশিদ, অভিযুক্ত মহসীন রেজা ও জহির রায়হান, ছবি: সংগ্রহীত

বাঁ থেকে, আঃ রশিদ, অভিযুক্ত মহসীন রেজা ও জহির রায়হান, ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্টেশনের বুকিং সহকারী ও স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে লুটের টাকা নিয়ে খবর সংগ্রহ করতেও নিষেধ করেন স্টেশন মাস্টার। 

আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের অধিকাংশ বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। আর লোকাল ট্রেনের টিকিটে স্টেশন কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় যাত্রীরা।

অপরদিকের গৌরীপুর স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি করলে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্স ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টিকিট ছাড়াই টাকা নিয়ে যাত্রীদের ট্রেনে তুলে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে স্টেশনের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ গোলাম মাওলা বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ অনিয়মে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এরমধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্টেশনের বুকিং সহকারী মহসীন রেজার বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রির ৭ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠে। পরের দিন ১ লা মার্চ বিষয়টি জানাজানি হলে মহসীনের পরিবার স্টেশন মাস্টার ও প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ফেলেন।

স্থানীয়রা জানান, ক্রিকেট খেলায় জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রির ৭ লাখ টাকা লুট করে মহসীন। এ বিষয়ে মহসীন রেজার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সরজমিনে স্টেশন মাস্টার আব্দুল রশিদের কার্যালয়ে গিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘টিকিট বিক্রির লুট হওয়া ৭ লাখ টাকা মহসীন ফেরত দিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে টাকা লুটের ঘটনায় নিউজ করার দরকার নেই। আমি যেহেতু ইনচার্জ, তাই নিউজ করলে আমার একটু সমস্যা হবে। আর আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনের টিকিট দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়।’

স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা বলার সময় একজন কালোবাজারি তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে সাংবাদিকদের সামনে টিকিট চায়। এসময় স্টেশন মাস্টার ও বুকিং সহকারী জহির রায়হান কৌশলে ইশারায় কালোবাজারিকে বের করে দেয়।

জানা গেছে, গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে তিন রুটে প্রতিদিন আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল সহ ৩২টি ট্রেন চলাচল করে। গৌরীপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন হাওর ও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট (শোভন) ১৪৫ টাকা হলেও কালোবাজারে তা কিনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়।

গৌরীপুর থেকে চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের (শোভন) ৩২০ টাকার টিকিট ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কমিউটার ট্রেন বলাকা ও মহুয়া ট্রেনের টিকিট অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রিরও অভিযোগ আছে।

গৌরীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ফকির বলেন, ‘দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি ও কালোবাজারি বন্ধে আমরা মানববন্ধন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কিছুদিন আগে কাউন্টার থেকে ঢাকাগামী বলাকা ট্রেনের ৭৫ টাকা টিকিট ১শ টাকা রেখেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমি চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য কাউন্টারে গেলে জহির ভাই বলেন টিকিট নেই। কিন্তু পরে জহির ভাই দ্বিগুণ মূল্যে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করেন। আমি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আমার টিকিট না, অন্যের টিকিট আমি বিক্রি করে দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুকিং সহকারী জহির রায়হান বলেন, ‘টিকিট নিয়ে একটু ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে। আমরা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করি না।

স্টেশনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিসিও) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি স্টেশনে থাকেন, তাহলে স্টেশনকে মাস্টারকে ফোনটা ধরিয়ে দিন। আর এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাইলে ঢাকা অফিসে আসেন।’

টাকা লুটের তদন্তের সর্বশেষ কি পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’

তবে বার্তা২৪.কমের প্রতিনিধির কাছে তিনি (ডিসিও) তার নাম বলতে রাজি হননি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;