মৌসুমের আগেই বাজারে তরমুজ



আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বাগেরহাট,বার্তা২৪.কম
মৌসুম শুরুর আগেই বাজারে তরমুজ, ছবি: বার্তা২৪

মৌসুম শুরুর আগেই বাজারে তরমুজ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌসুমের আগেই বাগেরহাট বাজারে উঠেছে গরমের তৃপ্তিদায়ক রসালো ফল তরমুজ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামের আশায় এক মাস আগে থেকেই কৃষকরা তরমুজের চাষ করায় গ্রীষ্মের গরমের আগেই বাজারে এসেছে বাংলালিংক ও কালো তরমুজ। ভরা মৌসুমের তুলনায় বাজারে আগাম আসা এ তরমুজের দামও বেশি।

প্রচণ্ড গরম না পড়লেও ক্রেতারা ফল কিনছেন বলে খুশি ব্যবসায়ীরা। মূলত বাজারে ওঠা এ তরমুজ আরও ১৫/২০ দিন পর ক্ষেত থেকে কাটার কথা। কিন্তু দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা ক্ষেত থেকে আগাম তরমুজ তুলে তা বিক্রি শুরু করেছেন। তাতে চাষিরাও দামও পাচ্ছেন বেশি।

কুয়াকাটা থেকে নৌপথে বাগেরহাটের মোংলা, রামপাল, শরণখোলাসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে আসছে এ তরমুজ। বাগেরহাটের মোংলা বন্দর ও পৌর শহরের শেখ আব্দুল হাই সড়ক, চৌধুরীর মোড় ও তাজমহল রোডের ফল মার্কেট ভরে গেছে কুয়াকাটার বাংলালিংক ও কালো প্রজাতির তরমুজে।

তাজমহল রোডে ফল ব্যবসায়ী মো: সাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘শুধু কুয়াকাটায় আগাম চাষ করা তরমুজই বাজারে এসেছে। মূলত এ তরমুজ ওঠার কথা আরও ১০/১৫ দিন পর থেকে। তবে গত কয়েকদিন ধরে কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতির আশংকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই তরমুজ তুলে আমরা যারা ব্যবসা করি তাদেরকে খবর দিচ্ছে। কারণ ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমলে ও শীল/শীলা পড়লে গাছ এবং তরমুজ পচে যায়। কৃষকদের দেয়া খবরে আমরা ব্যবসায়ীরা যে যার মত পাইকারি কিনে এনে মোংলাসহ আশপাশের বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছি।’

চৌধুরীর মোড়ের ফল ব্যবসায়ী মো: মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো: মনির হোসনে বলেন, ‘গত সোমবার থেকে আমরা কুয়াকাটা থেকে তরমুজ আনতে শুরু করেছি। মঙ্গলবার ও বুধবার দোকানে তুলতে দেরি, কিন্তু বিক্রি করতে দেরি নেই। প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাতেও ক্রেতাদের অনাগ্রহ নেই, চাহিদা বেশ ভালই। ছোটগুলোর দাম ৭০/৮০ টাকা। তরমুজের প্রথম চালানে প্রায় ৭ কেজি ওজনের তরমুজও পাওয়া গেছে।

তাজমহল রোডের ফল ব্যবসায়ী সুকান্ত মন্ডল বলেন, ‘কুয়াকাটা ও খুলনার দাকোপের তরমুজই সবচেয়ে ভাল এবং মিষ্টি। কুয়াকাটার তরমুজ বাজারে আসলেও দাকোপের তরমুজ বাজারে আসতে সময় লাগবে এখনও প্রায় এক মাস। কারণ মাত্র ১০/১৫ দিন হল কৃষকেরা মাঠে বীজ দিয়েছে। লতা-পাতা ফুটে বের হতেই গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তা পচে গেছে। এখন নতুন করে আবার বীজ বপন করছে কৃষকেরা। শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়ায় এবার দাকোপের এ ফসলের কি হয় তা বলা যাচ্ছে না।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;