৫০০ টাকার রুম ৫ হাজার, বিপাকে পর্যটকরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে বেশিরভাগ সময় পর্যটকদের চাপ থাকে। যার কারণে দিন দিন এ শহরে গড়ে উঠেছে ৪ শতাধিকের বেশি হোটেল-মোটেল। কিন্তু এবার একটু ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে হোটেল-মোটেল মালিকরা। বিশেষ দিনগুলোকে কেন্দ্র করে বাড়ানো হয়েছে রুমের ভাড়া। এতে রীতিমতো হতবাক হয়েছে আগত পর্যটকরা।

জানা যায়, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অগ্রিম বুকিং দিচ্ছে পর্যটকরা। কিন্তু হোটেল মালিকদের যোগসাজশে একটি সিন্ডিকেট মাত্র ৫শ টাকার রুমের ভাড়া ৫ হাজার টাকা দাবি করছে।

এদিকে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৩০ হাজার রুমে প্রায় ২ লাখ পর্যটক অনায়াসে থাকতে পারে। তবে কোনো বিশেষ দিন আসলেই যেন হাওয়া হয়ে যায় সমস্ত হোটেলের রুম। কোথাও কোনো রুম পাওয়া যায় না। তবে বাড়তি দাম দিলে ঠিকই মেলে হোটেলের রুম।

মূলত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বহু বছর ধরে হোটেল মোটেলের রুমের সিন্ডিকেটের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। কিছু অসাধু হোটেল মালিক, ম্যানেজার ও ট্যুর অপারেটরস মিলে এ সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। সিন্ডিকেটটি কোনো বিশেষ দিন আসলেই আগে থেকে রুমগুলো ভাড়া নিয়ে নেয়। তারপর পর্যটকদের কাছ থেকে নিয়মের চেয়ে বেশি টাকা দাবি করে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক পর্যটক রুমগুলো ভাড়া নিয়ে নেয়।

কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক নিজামুল বাহার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার খুব কাছের এক বন্ধু ২১ ফেব্রুয়ারি ২ দিনের জন্য কক্সবাজার বেড়াতে আসবেন। সে জন্য আমি রুম বুকিং দিতে গিয়ে হোটেল-মোটেল জোনে ঘুরে কোথাও কোনো রুম পেলাম না। আমি হোটেল লেমিচে গিয়ে ২১ তারিখের জন্য রুম চাইলে সেখানকার ম্যানেজার বলেছে রুম নেই। পরে সেখান থেকে বের হয়ে বাইরে দাঁড়ালে একজন এসে বলে স্যার রুম লাগবে। বাড়তি দাম দিলে রুম পাওয়া যাবে। পরে আমি বেশি টাকা দিয়ে রুমের ব্যবস্থা করতে পারি।’

একই ভাবে ব্যাংকার সিরাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি আমার মামা স্বপরিবারে কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারে আসবে। তারা ৩ দিন থাকবে। আমি গত ২ দিন ধরে অন্তত ৩০টি হোটেলে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু কোথাও রুম পায়নি। পরে একজনের পরামর্শে গফুর নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে রুম বুকিং দিলাম। অথচ এসব রুম সর্বোচ্চ ৫শ থেকে ১ হাজার টাকায় ভাড়া দেয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/11/1549866366716.jpg

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের জন্য রুম বুকিং দিতে যাওয়া সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে গত ৩ দিন ধরে রুম বুকিং দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো রুম পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে মনজুর নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে বেশি টাকায় রুম বুকিং দিলাম।’

এভাবে অসংখ্য মানুষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হোটেল লেমিচ, কল্লোল, সি ওয়ার্ল্ড, হোটেল মোহাম্মদিয়া, সি ওয়েলকাম, লেগুনা, ব্লু ওসান, ইকরা বিচ, তাহের ভবন, জিয়া গেস্ট হাউজ, জিয়া গেস্ট ইন, সেন্টমার্টিনসহ অসংখ্য হোটেলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কাছে ২১ ফেব্রুয়ারির জন্য কোনো রুম নেই। কিন্তু সেখানে দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিলে পাওয়া যাচ্ছে রুম।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি হোটেলের ম্যানেজার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মূলত ট্যুর অপারেটর সমিতির নেতা তোফায়েলসহ আরও কয়েকজন মিলে এসব কাজ করছে।’

ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী এম. রেজাউল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার জানা মতে মাত্র গুটি কয়েকজন এই রুম ব্যবসা করতে পারে। তবে এতে বেশির ভাগ সময় জড়িত থাকে হোটেলের ম্যানেজাররা। তারা বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের নামে রুম বুকিং করে রাখে। তারাই সিন্ডিকেট করে বাড়তি দামে এসব রুম পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে। এটা আসলে ঠিক না, এতে পর্যটকরা কক্সবাজার সম্পর্কে বিরূপ ভাবনা পোষণ করে।’

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাবুদ্দোলা আশেক বার্তা২৪.কমকে জানান, এসব অনৈতিক কাজ কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটররা করে না। এসব কাজ করে ঢাকা ভিত্তিক ট্যুর অপারেটর এবং হোটেল ম্যানেজাররা। এছাড়া বেশির ভাগ হোটেলের নাম এবং ফোন নাম্বার এখন বিভিন্ন অনলাইনে আছে, মানুষ সরাসরি সেখানেই যোগাযোগ করে।

কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বার্তা২৪.কমকে জানান, কিছু ফ্ল্যাট বাড়ি করে ব্যবসা করছে হোটেল ব্যবসায়ীরা। তারা ভিন্ন জেলার লোক দিয়ে এখানে আজেবাজে কাজ করছে। একই সঙ্গে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও থাকতে পারে। আমার জানা মতে প্রশাসনের কাছে সব খবর আছে। তারা চাইলে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।’

কক্সবাজার জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হোটেলের রুম নিয়ে এ ধরনের কাজ হয় এটা আমার জানা ছিল না। খুব দ্রুত বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সাইফুল ইসলাম জয় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এ রকম একটি সিন্ডিকেটের কথা শুনছি। দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে অভিযান চালানো হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;