ভরা মৌসুমেও পর্যটক শূন্য সুন্দরবন



আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বাগেরহাট
পর্যটক শূন্য সুন্দরবন, ছবি: বার্তা২৪

পর্যটক শূন্য সুন্দরবন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতকালই মূলত সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম। সেই ভরা মৌসুমেও সুন্দরবনে দেখা মিলছে না পর্যটকদের। পর্যটক না থাকায় শূন্য হয়ে পড়েছে বনের দর্শনীয় স্থানগুলো। শুধু মৌসুম জুড়েই নয়, সারা বছর ধরেই পর্যটকের আনাগোনা কমছে সুন্দরবনে। ভ্রমণে অব্যবস্থাপনা, পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব, দর্শনীয় এলাকাগুলো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে না তোলাসহ নানা কারণেই ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারছে না সুন্দরবন।

বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। এ বন দেখার ভীষণ আগ্রহ রয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। প্রতি বছর শীত মৌসুমে পর্যটকদের ভিড় জমে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, নীল কমল, কটকা-কচিখালী, দুবলাসহ বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এবার পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম, একবারে নেই বললেই চলে। সুন্দরবনের সবচেয়ে কাছাকাছি পর্যটন কেন্দ্র করমজল পর্যটক কেন্দ্রটি এক কথায় শূন্য হয়ে পড়েছে। মৌসুমের এই সময়ে যেখানে পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হতো বনপ্রহরীদের আর এখন সেই সময়ে তাদের অলস বসেই সময় কাটচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/09/1549687558667.jpg

নানা অব্যবস্থাপনার কারণেই ক্রমেই কমছে পর্যটক আগমনের সংখ্যা। করমজলে নভেম্বর’২০১৭ সালে পর্যটক আসে ৬ হাজার ৩৬৮ জন আর নভেম্বর ২০১৮তে আসে ৫ হাজার ৬৫৯ জন। ডিসেম্বর’১৭তে ১৩ হাজার ২৫৪ জন আর ডিসেম্বর ২০১৮তে ৮ হাজার ৫৭০জন। জানুয়ারি ২০১৮তে ১১ হাজার ৩৯৭জন আর জানুয়ারি ২০১৯ এ এসেছে ৫ হাজার ৮৩২জন।

তারপরও স্বল্প সংখ্যক যে পর্যটক আসছেন সুন্দরবনে তাদের মুখেও রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধা না থাকার বিষয়গুলো। সুন্দরবনের প্রধান পর্যটন স্পট করমজলে একবার কেউ আসলে দ্বিতীয়বার আর কেউ আসতেই চান না। এর মূল কারণ হলো দীর্ঘদিনেও এখানে আকর্ষণীয় কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি, আনা হয়নি কোন ধরনের নতুনত্ব। পুরানো ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ফুট টেইলার এবং ওয়াচ টাওয়ারটি। আটকে রাখা কয়েকটি হরিণ, বানর ও কুমির ছাড়া তেমন কিছুই দেখার নেই সেখানে। রয়েছে বানরের ব্যাপক উৎপাতও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/09/1549687579176.jpg

দীর্ঘদিন ধরে একই অবকাঠামো ও নতুন কোন আকর্ষণ সৃষ্টি করতে না পারায় দিনকে দিন পর্যটকের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছে করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির।

তিনি আরো বলেন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে এখানে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিশেষ করে নারী ও শিশুদের। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/09/1549687947201.jpg

সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণের সুব্যবস্থা, আকর্ষনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, খাঁচায় বাঘ কিংবা অন্যান্য বন্যপ্রাণির শোভা বৃদ্ধিসহ দর্শনার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা গেলে পর্যটকদের আগমন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য সরকারকে অবশ্যই এ পর্যটন শিল্পের প্রতি নজর দিতে হবে।

 

 

 

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;