ঝিনাইদহে কমছে না রাসায়নিক সারের ব্যবহার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝিনাইদহ
জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করছেন ঝিনাইদহের এক কৃষক/ছবি:বার্তা২৪

জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করছেন ঝিনাইদহের এক কৃষক/ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহে দিন দিন বাড়ছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। আর এ কারণে প্রতিনিয়ত উর্বরতা হারাচ্ছে ফসলি জমি। সেই সাথে বাড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। জেলায় কয়েকটি সংগঠন কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে উদদ্ধু করলেও তা কাজে আসছে না। হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক স্বল্প পরিসরে চেষ্টা করছেন রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএসপি ও এমওপি সালের চাহিদা ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ মেট্টিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাড়ায় ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৫ মেট্টিক টনে, পরবর্তী অর্থবছরের চাহিদা ছিল ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৪ মেট্টিক টনে এবং চলতি অর্থবছরে সারের চাহিদার পরিমান ২ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৫ মেট্টিক টন।

জেলার কৃষিবিদরা মনে করেন, কৃষকের জ্ঞানের অভাব ও কৃষকদের সাথে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে প্রতিনিয়ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার বাড়ছে।

এদিকে কৃষকরা বলছেন, জৈব সার না পাওয়া আর প্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকার কারণে তারা জমিতে সার প্রয়োগ করছেন।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার গোবরাপাড়া গ্রামের কৃষক কালাম হোসেন বলেন, তিনি জমিতে ধান লাগাবেন। এখন ইউরিয়া সার না দিলে ধান ভালো হবে না। জৈব সার দিয়েছেন অল্প পরিমাণ। বাড়িতে গবাদি পশু না থাকার কারণে তিনি জৈব সার তৈরি করতে পারছেন না। তাছাড়াও গ্রামের অন্য কৃষকরাও ইউরিয়া সার ব্যবহার করছেন।

পোলতাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আগে জমিতে গোবর সার বেশি দিতাম। এখন গরুর না থাকায় সার সংগ্রহ করা যায় না। যেটুকু পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত না। তিনি আরও বলেন, শুধু সার প্রয়োগ না জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বলে কিটনাশক প্রয়োগ করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।

এ ব্যাপারে কৃষিবিদ আহম্মেদ হোসেন বলেন, ১৯৯০ দশকে পরিবেশ ও কৃষিকে রক্ষার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেও জৈব সারকে উৎসাহিত করতে প্রকল্প নেয়া হয়। ওই সময় সুদূর প্রসারি ক্ষতিকারক রাসায়নিক সারের বিরুদ্ধে বলা যায় এক প্রকার আন্দোলনই শুরু হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরেও বেসরকারি স্বোচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রায় প্রতিযোগিতা শুরু করলেও কোনো অজানা কারণে সরকারি ওই উদ্যোগ থেমে যায়।

তিনি বলেন, রাসায়নিক সারের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না। তাই এ সারের পরিমিত ব্যবহার করে জৈব সারের দিকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সেই সাথে প্রতিটি কৃষকরে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করার পরামর্শ দিতে হবে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ বলেন, জৈব সার তৈরির মাধ্যমে জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কাজে সম্পৃক্ত করছেন। রাসায়নিক সারের সহজলভ্যতার কারণে এবং গবাদি পশুর সংকটের জন্য জৈব সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;