খুলনায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: শহরের গল্লামারী মোহাম্মদনগর (৩৩/১১ কেভি) উপ-কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের ১২টি ফিডারের আওতাধীন সব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অন্ধকার হয়ে যায়। ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ আওতাধীন ৮টি এবং বিবিবি-৪ এর আওতাধীন চারটি ফিডার একযোগে বন্ধ হয়ে যায়।

উপ-কেন্দ্রে কর্মরত ওজোপাডিকোর এসবিএ-বি আশরাফুল ইসলাম জানান, রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে উপকেন্দ্রের একটি সার্কিট ব্রেকারের রাইজিং ক্যাবলে আগুন ধরে যায়। সেখানে কর্মরত প্রহরী শেখ শহীদুর রহমান প্রথমেই ফায়ার এক্সটিংগুইশার (অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র) দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে স্থানীয় লোকজন ও টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিবিবি-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক জানান, গত রাত ১২টার দিকে বিকল্প লাইন দিয়ে বিবিবি’র সর্বমোট আটটির মধ্যে ছয়টি ফিডার চালু করা হয়। বাকি ফিডার দু’টি পর্যায়ক্রমে চালু হয়।

বিবিবি-৪ ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মোহাম্মদনগর উপকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনায় বিবিবি-৪ এর ১২টি ফিডারের মধ্যে চারটি ফিডার বন্ধ হয়ে যায়। মধ্যরাতে পুনরায় চালু হয়।

   

ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া গাছ একাই সরালেন ট্রাফিক সার্জেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জুড়ে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বেশ ভারী বাতাস।

ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাকরাইল মসজিদ থেকে মৎস্য ভবন যাওয়ার পথে একটি গাছ ভেঙে পড়ে যায়।

ভেঙ্গে যাওয়া গাছ ও ডালপালা একাই সরালেন এই সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জাফর ইমাম।

রবিবার (৫ মে ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের গাছটি পড়ে যাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যান চলাচলের প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশ এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম মৎস্য ভবন থেকে এসে ডালপালা সরিয়ে রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টির মধ্যে মানুষ পাগলের মত তাদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি গাছ পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আমি একা ডালপালা ও গাছটি সরানোর চেষ্টা করি।’

;

৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় মটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

রবিবার (৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারি সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরীখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

জাতীয় মহাসড়ক (Highways), বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

যানবাহনসমূহ চলাচলের উপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জনসংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

;

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ঢাকায় প্রায় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। এরপরেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস বইতে থাকে। ফলে নগরবাসী তাপমাত্রা থেকে কিছুটা প্রশমিত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতও শুরু হয়।

সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও বাড্ডাসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় একসঙ্গে শীলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। 

;

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আবারও ৩ বাংলাদেশি নাগরিক স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আহতরা চোরাই পথে গরু ও ইয়াবা আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টার সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীন ফুলতলী‌ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৪৭ এর শূন্য লাইন থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের পুত্র মফিজ (৩৫)। একই এলাকার দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের মো: জাফর চকিদারের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ (৩০) ও অপর জন ওই গ্রামের মফিজ এর পুত্র মো. রহিম। উভয়ে তিন পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

উল্লেখ্য আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হয়, পরে থাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৩ জন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এবং মহিষ টানার কাজে নিয়োজিত ছিল।

উল্লেখ্য গত ৪ মে ৪৬ ও ৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে গরু ও মহিষ আনতে গিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের পুত্র মো. আবছার (১৯) ও একই গ্রামের আলি আহমদের পুত্র মো. বাবুল (১৭) । আহত উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার দু’দিনে দুই দুর্ঘটনায় ৫ জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

;