মাশরাফি ও তার ছেলের একই পাঞ্জাবিতে ঈদের নামাজ



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: একই পাঞ্জাবি, কালো জিন্সের প্যান্ট, মাথায় টুপি, পায়ে স্যান্ডেল পড়ে নড়াইল পৌর ঈদগাহে হাজির হন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তার ছেলে সাহেল মর্তুজা।

বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় পায়ে হেঁটে নড়াইল পৌর ঈদগাহে হাজির হন তারা। এখানে ছেলেসহ ঈদ-উল-আজহার নামাজ আদায় করেন মাশরাফি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন মামা নাহিদুর রহমান, ছোটভাই সিজারসহ বন্ধুরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/22/1534908194771.jpg

এখানে আরও ঈদের নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরীসহ জেলার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। নামাজের ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ম.ম. শফিউর রহমান শফিউল্লাহ।

নামাজ শেষে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে চড়ে মামা নাহিদের বাসায় যান মাশরাফি। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা তার বক্তব্য চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি সৌজন্য মূলক কথা বলে কোলাকুলি করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য সময় দেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/22/1534908212002.jpg

মাশরাফির বন্ধু সুমন বিশ্বাস বর্তা২৪.কমকে জানান, মাশরাফি গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সন্ধ্যার দিকে নড়াইলে এসে পৌঁছান।

তিনি আরও জানান, এশিয়া কাপের জন্য অনুশীলন থাকার কারণে এবার ঈদে বন্ধু-বান্ধবসহ ভক্তদের বেশি সময় দিতে পারবেন না মাশরাফি। আগামী রোববার (২৬ আগস্ট) থেকে অনুশীলন থাকায় শনিবারের মধ্যেই ঢাকার উদ্দেশে নড়াইল ত্যাগ করবেন মাশরাফি।

   

পাওনা টাকার জন্য কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে নির্যাতন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে পাওনা তিন হাজার টাকার জন্য কুকুরের সাথে শিকলে বেঁধে রিকশা চালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীয়ের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিকলের তালা খুলে রিকশা চালককে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী এলাকায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মামুনের দোকান থেকে ভুক্তভোগীকে শিকলমুক্ত করে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, সকালে ভুক্তভোগী রবিউলকে দোকানের খুঁটিতে কুকুরের সাথে শিকলে বেঁধে রাখে অভিযুক্ত মামুন।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম নিলফামারী জেলার বাসিন্দা। একসময় মামুনের সাথে ব্যবসা করলেও বর্তমানে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে ভাঙ্গারি মালামাল বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে মামুনের কাছে বিক্রি করতাম। আমার কাছে ৩ হাজার টাকা পেতো মামুন। সেই টাকার জন্য আমাকে মঙ্গলবার মারধর করে পায়ে শিকল পরিয়ে বেধে রাখে মামুন।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ যাবার আগেই অভিযুক্ত মামুন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

;

৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

লিখিত প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জানুয়ারি ২০০৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

তিনি আরও জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।

এছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।

;

প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

কোনো শিশুই অবহেলিত থাকবে না: ডেপুটি স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রতিটি শিশুকে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সব ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে কোনো শিশুই অবহেলিত থাকবে না।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে এ সব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও শুধু আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে তাদের গৃহকর্তার সন্তানের মতো বিবেচনা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে বিধিমালা তৈরি করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুশ্রমিক নিয়োগ অনেকাংশে কমে যাবে।

এরপরও কোনো জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন হলে আইন মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে পূর্ণ খসড়া তৈরি করে সরকারের সামনে উপস্থাপন করার আহ্বান জানান তিনি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন। এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশকে দ্রুত শিশুশ্রম মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সংলাপে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশুবিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান। তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শিশু অধিকার সনদে সইয়ের মাধ্যমে দেশের সব শিশুর অধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। সরকারের ওই সব প্রতিশ্রুতি ও ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শিশুগৃহকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি)’র নির্বাহী পরিচালক এম এ করিমের সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।

আলোচনায় অংশ নেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, রূমা চক্রবর্তী ও অনিমা মুক্তি গমেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফাতেমা খাইরুন্নাহার, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, এএসডি’র ম. হামিদুর রহমান প্রমুখ।

;