সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছে খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা!



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ডটকম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক খুলনার ছয়টি শাখা থেকে পাট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া হয়েছিল এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকার অধিক খেলাপি। রাষ্ট্রের এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় না করেই নতুন করে আরও এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে সাতজন চিহ্নিত খেলাপিকে ৭১ কোটি টাকা পুনরায় ঋণ দেয়ার অনুমোদন হয়েছে।

তাদের কাছে সোনালী ব্যাংকের পূর্বের ২৩১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। এভাবে অর্থ নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছে খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা।

ব্যাংকের তথ্য মতে, প্রভাবশালীদের তদবির ও চাপের কারণে ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত ১১৩ পাট ব্যবসায়ীকে ঋণ দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০৮ জন ঋণ খেলাপি। খুলনায় সোনালী ব্যাংকের ছয়টি শাখা থেকে ঋণ দেয়া হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে খুলনা করপোরেট শাখা, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা ও স্যার ইকবাল রোড শাখার বিতরণকৃত ঋণের প্রায় শতভাগ খেলাপি। সিসি প্লেজ, সিসি হাইপো, পিসিসি ও ব্লক হিসাবের বিপরীতে কাঁচা পাট রফতানিতে এ ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ১০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে সিসি প্লেজ হিসাবের বিপরীতে। গুদামে মজুদ থাকা পাট জামানত রেখে প্লেজ ঋণ দেয়া হয়। ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত না পেলেও গুদামের পাট বিক্রি করে দিয়েছেন ঋণ খেলাপিরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের কারণে এসব ঋণ খেলাপিকেই নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, ‘খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছেন। পাট খাতের সব মন্দ গ্রাহক এ ব্যাংকে ভিড়েছেন। নীতিমালার মধ্যে থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েও ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ব্যাংকের টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার কারণে ঋণ খেলাপিদের নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে।’

সোনালী ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির খুলনা করপোরেট শাখা কাঁচা পাট রফতানিতে ৫২ ব্যবসায়ীকে ৩৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এরমধ্যে ৩৮১ কোটি ৯৩ লাখ টাকাই খেলাপি হয়েছে। এ খাতে শাখাটির বিতরণকৃত ঋণের ৯৯ দশমিক ৪৮ শতাংশই এখন খেলাপি। খুলনার দৌলতপুর করপোরেট শাখা থেকে কাঁচা পাট রফতানির নামে ৬৬৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন ১৯ পাট ব্যবসায়ী। এরমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৪৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা খাতটিতে বিতরণকৃত ঋণের ৬৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ব্যাংকটির খুলনার দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা থেকে ২০ জন গ্রাহক ঋণ নিয়েছেন ৩২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ৯৮ দশমিক ৮৮ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির খালিশপুর শাখা থেকে ১৩ পাট ব্যবসায়ীকে দেয়া ৮০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ শাখা থেকে খাতটিতে বিতরণকৃত ঋণের ৬৯ দশমিক ৯১ শতাংশই খেলাপি। এছাড়া ব্যাংকটির খুলনার স্যার ইকবাল রোড শাখা থেকে দুজন পাট রফতানিকারককে দেয়া ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার পুরোটাই খেলাপি হয়ে গেছে।

খুলনা অঞ্চলে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ৩০ ঋণ খেলাপির কাছে ঋণ রয়েছে এক হাজার ৬৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে মো. এমদাদুল হোসেনের সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের কাছে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২৭ কোটি, অশোক কুমার দাশের এ কে জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ১১৭ কোটি, সেলিম রেজার মেসার্স রেজা জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ৩৮ কোটি ও সনজিত কুমার দাশের ইস্টার্ন ট্রেডার্সের কাছে ৯২ কোটি টাকা।

এর বাইরে মেসার্স শরীফ জুট ট্রেডিংয়ের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ কোটি, জাহিদুল ইসলামের মেসার্স জুয়েল জুট লিমিটেডের ৪৯ কোটি, মেসার্স সিরাজুল ইসলামের ৪০ কোটি, আলীফ জুট ট্রেডিংয়ের ৩৬ কোটি, অনিক জুট ইন্টারন্যাশনালের ৩০ কোটি, সানরাইজ ইন্টারন্যাশনালের ৩০ কোটি, অগ্রণী পাট সংস্থার ২৮ কোটি, মেসার্স শরীফ মোল্যার ২৫ কোটি, মেসার্স আবুল কাশেমের ২২ কোটি, এসআর জুট ট্রেডিংয়ের ২৩ কোটি, রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার প্রমি জুট ট্রেডার্সের ২০ কোটি, মনোয়ারা জুট ফাইবার্সের ১৮ কোটি এবং এসঅ্যান্ডএস জুট ট্রেডিং কোং লিমিটেডের ১৮ কোটি টাকা।

এছাড়া মেসার্স হাফিজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছে ১৭ কোটি, রাষ্ট্রায়ত্ত আলীম জুট মিলস লিমিটেডের ১৬ কোটি, রোজেমকো লিমিটেডের ১৫ কোটি, ব্রাদার্স ইন্টারন্যাশনালের ১৫ কোটি, দ্য পাঠান জুট ট্রেডিংয়ের ১৫ কোটি, আলমগীর জুট ট্রেডিংয়ের ১৪ কোটি, আবির জুট ট্রেডিংয়ের ১৩ কোটি, আজাদ ব্রাদার্সের ১৩ কোটি ও এমআর জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ১২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে সোনালী ব্যাংকের।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী মহলের তদবিরে সম্প্রতি ২৩১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের ওপর তৃতীয় দফায় ব্লক সুবিধা পেয়েছেন খুলনার সাত পাট ব্যবসায়ী। খেলাপি ঋণ ব্লক করে মো. সিরাজুল ইসলাম, এসআর জুট ট্রেডিং, বেঙ্গল জুট ট্রেডিং, নক্ষত্র জুট ট্রেডিং ও পিআর জুট ট্রেডিংকে নতুন করে ৭১ কোটি টাকা বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক খুলনা জিএম কার্যালয়ের অধীনে ছয়টি জেলার ১২৩টি শাখা। এ শাখাগুলো থেকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে চার হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণের ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ। খুলনা জিএম কার্যালয়ের অধীনে খেলাপি ঋণ রয়েছে এক হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাভাবিক পন্থায় আদায় অযোগ্য হওয়ায় অবলোপন করা হয়েছে ৩০১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। সব মিলিয়ে সোনালী ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের ১২৩টি শাখার খেলাপি ঋণের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাট ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়েছে ছয়টি শাখায়। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি শাখার মধ্যে চারটিই খুলনার। এরমধ্যে খুলনার করপোরেট শাখায় ৮১২ কোটি, দৌলতপুর করপোরেট শাখায় ৪৭১ কোটি, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখায় ৩৪৩ কোটি ও খালিশপুর শাখায় ৭১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফুলতলা মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অর্থ ঋণ দেয়া ও তা সময় মতো আদায় করার আন্তরিকতার অভাবেই খেলাপি ঋণের পাহাড় সৃষ্টি হচ্ছে। পাট ব্যবসা নিঃসন্দেহে লাভজনক। তাহলে কেন বছরের পর বছর পাট ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপি? তাহলে কী ব্যবসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের?’

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী জুট মিলের মালিক এসএম এমদাদুল হোসেন বুলবুল ও সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রায় ৯৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের পাট ব্যবসায়ী সনজিত কুমার দাস ও সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৫ সালে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের মেসার্স আকবর আলী অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. আকবর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

এভাবে একদিকে খেলাপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, অন্যদিকে দায়মুক্তি দিয়ে তাদের পুনরায় ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি খুলনা জেলার সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান জানান, কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ীই বর্তমানে পাট খাতে ঋণ নিয়ে বিলাসিতার পাশাপাশি ঋণের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করছেন। সে টাকা সুদাসলে ঠিক মতো ব্যাংকে ফেরত যায় না। এ খাতের দুর্নীতি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ব্যবসায়ী, গোডাউন কিপার ও ব্যাংক কর্মকর্তারা যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করছেন। শুধু পাট শিল্প নয় এভাবে খেলাপি ঋণের বোঝা বাড়তে থাকলে ব্যাংকখাতেও বিপর্যয় নেমে আসবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;