এসিল্যান্ড তো নয় যেন চাঁদাবাজ!



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: ভূমি অফিসে ঘুষ, দুর্নীতি-অনিয়ম হয় এটা সবারই জানা, তাই বলে রীতিমতো চাঁদাবাজি? তাও আবার ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত! টাকা দিলে কাজ হবে আর না দিলে কোনো কাজই হবে না। মাঝে মাঝে নাশকতা মামলার ভয়ভীতিসহ ক্রসফায়ারের হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

বলছিলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা (এসিল্যান্ড) ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমএম আরাফাত হোসেনের কথা। তার কর্মকাণ্ড চাঁদাবাজদের মতো পরিচালিত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। ভূমি অফিসারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে ভুক্তভোগীরা।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার আরাফাত হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে মো. রিপন মোল্যা ও লোহাগড়া পৌরবাসীর পক্ষে কাশিনগর গ্রামের মৃত আ. ছালাম মোল্যার ছেলে মামুনুর রশীদ পিকুল।

রিপন মোল্যা নামের একজন অভিযোগ করেছেন, এড়েন্দা মৌজার পৈত্রিক জমি সংলগ্ন আরএস ১০৬ খতিয়ানের ৬৩০ ও ৬৩৪ নং দাগের মোট ১৩ শতক জমি চলতি বছরের ১২ এপ্রিল ১৫২৫ নং কবলা দলিল মূল্যে মালিক জোহরা খাতুনের কাছ থেকে রিপন মোল্যা কিনে বসবাস করে আসছেন। এই জমি নাম পত্তন করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে ২০৩৪ নং নামজারী মামলা দায়ের করেন। এরপর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিলে গত ৯ জুলাই তার নামে নাম পত্তন রেকর্ড দেবে মর্মে ভূমি অফিসের নাজির শাহীদুল ইসলাম ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এরপর বাধ্য হয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা দিলেও বাকি ১০ হাজার টাকা দিতে অপারগ হলে নামজারী মামলা খারিজ করার হুমকি দেন। বিষয়টি ভূমি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেনের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি আরও অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন ভুক্তভোগীর কাছে। অবশেষে নিজ স্বত্ব দখলীয় জমির নামজারির জন্য উৎকোচ না দেয়ায় বেআইনিভাবে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রিপন মোল্যা। এভাবে প্রশাসনের এ কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা আর ঘুষ-দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

/uploads/files/ysyWCyzXS8xOhG5VKf3OfyG2xKnGnXQLK7xoUmF5.jpeg

মামুনুর রশীদ পিকুল নামে আরেক জন অভিযোগ করেন, উপজেলার কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সম্পর্কে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। চেয়ারম্যান তার স্ত্রী নাজমা বেগমের নামে লোহাগড়া মৌজার ৩৯৩৪ দাগের এক খণ্ড জমি ক্রয় করেন। এরপর ক্রয়কৃত জমিটির নামজারী কেস বা নাম পত্তন করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে জমা দেয়া হয়। ভূমি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন নাম পত্তন করতে চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের কাছে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন আবেদনকারী পিকুল। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ওই জমিতে ঘর তুলতে গেলে আরাফাত হোসেন রহস্যজনক কারণে বাধা দেন এবং ঘর তৈরির সরঞ্জামসহ যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রী ভেঙে পাশে থাকা খালে ফেলে দেন। এছাড়া লোহাগড়া পৌর এলাকার রজোপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের বাড়িও জোরপূর্বক ভেঙে দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অপরদিকে লোহাগড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিবেকানন্দ দাস অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ জুন দুপুরে জমিজমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ ভূমি অফিসে জমা দিতে যান। এসময় ভূমি কর্মকর্তা একই অফিসের নাজির শাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। নাজির ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি ভূমি অফিসারকে জানালে তিনিও টাকা দিতে বলেন। টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিলে তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১১ জুন লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযুক্ত লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমএম আরাফাত হোসেন বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে নাশকতা বা মানহানির মামলা দিব। সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের জমি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান অবৈধভাবে দখল করতে গিয়েছিল। সেটা আমরা বাধা দিয়েছি মাত্র। আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব ভুয়া মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি যাতে এখান থেকে চলে গেলে সরকারি সম্পত্তি তারা আত্মসাৎ করতে পারেন এখন সেই চেষ্টা করছেন।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহাবুবুর রশীদ লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমএম আরাফাত হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এরই মধ্যে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তীব্র গরমের মাঝে বরগুনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তার ওপর নানা অব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ভোগান্তি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, প্রতিদিন শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে বরগুনা সদর হাসপাতালে আসছেন। এপ্রিলের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় আক্রান্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ১৭ জন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন ভর্তি হন। আর ভর্তি হওয়া এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তবে হঠাৎ করে এভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শয্যা সংকট দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে এমনই দেখা গেছে।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা মোসা. তামান্না নামে এক অভিভাবক বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে গত শনিবার তালতলী থেকে জেনারেল হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। হাসপাতালে কোনো শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভর্তির পর থেকে এখানে শুধু আইভি স্যালাইন দিচ্ছে। বাকি ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত আ. ছত্তার (৫০) বলেন, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানের যেই অবস্থা এতে আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছি। অনেক রোগী সিট পাইনি, তাই মেঝেতে ঠাই হয়েছে।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম নজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

বরগুনা সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গরমের এ সময় ডায়রিয়া বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লাযুক্ত পানি পান করাসহ বিভিন্ন কারণে জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টোরে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

;

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

হাটহাজারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তেলবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাটহাজারী পৌরসভার আবুল কালামের মাদ্রাসার সামনে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় ১০০ মেগাওয়ার্ড পিকিং পাওয়ার পয়েন্টের জন্য ফার্নেশ ওয়েল বহনকারী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে লোকটি। এসময় তার শরীর থেকে পুরো মাথা বিছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর একটি টিম পাঠিয়েছি। এখনো ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।’

;

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;