রাজশাহীতে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ৫০ হাজার গাছ লাগাচ্ছে শিক্ষার্থীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
বাঘায় গাছের চারা হাতে স্কুল শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাঘায় গাছের চারা হাতে স্কুল শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীর বাঘায় ১৪৬টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিন রেজা।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দীন লাভলু, অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবিএম সানোয়ার হোসেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনজুল ইসলাম প্রমুখ।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনজুল ইসলাম জানান, গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গাছ কেনার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। এতে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ হয়।

তিনি আরও জানান, তারা ক্লাস ক্যাপ্টেনের কাছে টাকা জমা দেয়। যা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষক সমিতি উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা করে। ওই টাকা দিয়ে ৫০ হাজারেরও অধিক ফলদ, বনজ, ওষুধি ও কাঠের গাছের চারা কেনা হয়। যা সোমবারের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে নিজ বাড়ির আঙিনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু’দিনের মধ্যে চারা রোপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার প্রাথমিক যত্নও শিক্ষার্থীরা নেবে।

এদিকে, টিফিনের টাকা দিয়ে গাছ লাগানোর এমন উদ্যোগে খুশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও। বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘স্যাররা, আমাদের বুঝিয়েছেন গাছ কেটে ফেলার ফলে পরিবেশের বিপর্যয় হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া গরম হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেকের গাছ লাগানো উচিত। এজন্য আমরা গাছ লাগাচ্ছি। গাছের গোড়ায় আমি নিয়মিত পানি দিয়ে বড় করে তুলবো।’

স্থানীয় অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আগে শিক্ষকরা বিভিন্ন চাঁদা দাবি করতেন। ১০ টাকা অথবা ২০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু গাছের চারা কেনার জন্য টাকা চাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। আমার মেয়ে ১০ টাকা নিয়েছিল। সেটা সে স্কুলে জমা দিয়েছিল। যার ফলে দু’টো চারা পেয়েছে। বিকেলে সেটা বাড়ির পাশে লাগিয়েছে। মেয়েও খুব খুশি। আমাদেরও বিষয়টি ভালো লেগেছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীন রেজা বলেন, ‘শিক্ষকদের সহায়তা ছাড়া এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। শিক্ষকরা আমাদের খুব ভালো রেসপন্স করেছে। শিক্ষার্থীরাও এ ব্যাপারে আগ্রহী। আশা করি রোপণকৃত চারার যত্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা বড় করবে। যা আগামী দিনে আবহাওয়ার বিপর্যয় ঠেকাতে সহায়তা করবে।

   

নওগাঁয় ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তারা পুনরায় নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) রাত ১০টায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে পৃথক ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে, সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে বদলগাছী, পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ তিন উপজেলায় তারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা নতুন করে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন।

বদলগাছী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা নিত্যানন্দ কুমার পাল বলেন- কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. শামসুল আলম খান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট ২১ হাজার ৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ-পিরিচ প্রতীকের মো. আবুল খালেদ বুলু ১৫ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন বলেন- মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল গাফ্ফার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার প্রাপ্ত ভোট ৬২ হাজার ৭৮৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল খালেক চৌধুরী ৫০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

অপরদিকে, ধামইরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা মো. আনিছার রহমান বলেন- আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আজাহার আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৬ হাজার ৮৫৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. ওসমান আলী ১২ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নি কার্যালয় থেকে জানা যায়- জেলার বদলগাছী, পত্নীতলা ও ধামইরহাট এ উপজেলায় ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যেখানে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন। ১৯১ টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪০৭টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। যেখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৬ জন এবং নারী ভোটার জন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২৯ জন।

;

ধোবাউড়ায় টানা ২য় বার নির্বাচিত হলেন ডেভিড রানা চিসিম 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা দ্বিতীয় বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উপজেলার ৫৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর হয়েছে। ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে  ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড রানা চিসিম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডা. আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট। 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খায়রুল পেয়েছেন ২০ হাজার ২৩৫ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিলকিস আক্তার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ২১৬ ভোট।

;

মানিকগঞ্জের ২ উপজেলা পরিষদে বিজয়ী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। এই দুই উপজেলায় সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সিংগাইরে ৩০ শতাংশের কিছুটা বেশি ভোট পড়লেও হরিরামপুরে ভোট পড়েছে ৪৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।

সিংগাইরে বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের সায়েদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আনারস প্রতীকের আব্দুল মাজেদ খান। এছাড়া তালা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. রমিজ উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন হাঁস প্রতীকের আনোয়ারা খাতুন।

হরিরামপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতিকের দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের মো. বিল্লাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের শামিমা আক্তার চায়না।

;

কুষ্টিয়ায় আবারও আতাউর রহমান ও খোকসায় মাসুম নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত।

বুধবার (৮ মে) বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

জানা গেছে,সদর উপজেলায় আতাউর রহমান আতা ৬৭ হাজার ৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন  (আওয়ামী লীগ)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আহাদ আল মামুন (বাংলাদেশ জনতা পার্টি) প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪৮৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু তৈয়ব বাদশা। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৭ হাজার ২৮৯ ভোট। নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী লতা খাতুনের প্রাপ্ত ভোট ৪২ হাজার ৮৭৯ টি।

খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত প্রাপ্ত (আওয়ামী লীগ) প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ১০১ ভোট। নিকটতম প্রার্থী বাবুল আকতার পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৯ টি।

এদিকে আবারও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বিজয়ী হওয়ায় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। রাতে বিজয়ী হওয়ার পর আতাউর রহমান আতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা তাতী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। 

;