পদ্মার ভাঙনে ঘরহারা ২০০ পরিবার, আতঙ্কে ১৫ চরবাসী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
পানির স্রোতে ভাঙছে পদ্মার পাড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পানির স্রোতে ভাঙছে পদ্মার পাড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে উজানের ঢলে নেমে আসা পানিতে ফেঁপে উঠছে পদ্মা। বিপদসীমার মাত্র ৭৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তবে সেটা রাজশাহী শহররক্ষা বাঁধা এলাকায়। যেটিকে পদ্মার রাজশাহী পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয়। পদ্মার মূল পয়েন্টে বিপদসীমা এখনো অতিক্রম না করলেও জেলার বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।

ভাঙনের কবলে পড়ে এরই মধ্যে বসত-ভিটা ছাড়া হয়েছেন দুই শতাধিক পরিবার। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন চকরাজাপুরের ১৫টি চরের মানুষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/26/1566796058911.jpg

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মায় ফুলে ফেঁপে ওঠা পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদীর পাড়। পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ে পাড় ভেঙে চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে গাছপালা। আর ৫০ গজ ভাঙলেই পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর নাপিতের মোড় ও কিশোরপুর এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে গিয়ে ঠেকবে ভাঙন। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। তবে ভাঙন রোধে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার নিচে পদ্মার পানি

চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর চরের মান্নান মন্ডল, মিজানুর রহমান, সামাদ মালিথা, হানে ফকির, হাফিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, হানু কাজী, সাইদুল ইসলাম, মজনু মোল্লা ও চকরাজাপুর চরের হাসান শেখ, জব্বার মন্ডল, হিরো মন্ডল, শাহিনা বেগম, ফজলু শিকদার, আকতার মন্ডল, রহমান মোল্লা হাফিজুর রহমানসহ শতাধিক পরিবার ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/26/1566796157103.jpg

তাদের মতো ভাঙন আতঙ্কে ঠিকানা খুঁজছেন চকরাজাপুর চরের আরো শতাধিক পরিবার। ঠিকানা হারিয়ে কোথায় যাবেন তা নিয়েও দুঃশ্চিন্তা তাদের। পানিবন্দি হয়ে গবাদিপশু নিয়ে অবর্ণনীয় জীবন যাপন করছেন কালিদাখালি, চকরাজাপুর, চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, লক্ষীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালিদাস খালী, পূর্ব চকরাজাপুর, জোতাশি, মানিকের চর, লক্ষিনগর, টিকটিকিপাড়া, দিয়াড়কাদিরপুর, নওশারা-মহদীপুর চরের মানুষ।

স্থানীয় সবুর মল্লিক ও লিটন আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, নদী তীরবর্তী বাঁধের পশ্চিমপাড় থেকে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে অরক্ষিত এলাকার আরও অনেক জমি ও ঘরবাড়ি নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে।

চকরাজাপুর চরের মোস্তাক আহম্মেদ শিকদার বলেন, ‘গত কয়েক দিনে পদ্মায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান, পাট, আবাদি জমি, গাছপালা হারিয়ে গেছে। মানুষদের সহযোগিতা তো দূরের কথা সান্ত্বনা দেওয়ার মতোও কেউ নেই। বারবার সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ভাঙন ঠেকানোর আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’

আরও পড়ুন: বর্ষায় শান্ত পদ্মা ফুঁসে উঠছে শরতে

পূর্ব চকরাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ার শওকত জামান বলেন, ‘কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধির কারণে ফসলি জমিসহ গাছ-পালা, বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছে দুই শতাধিক পরিবার। তারা এখন ঘরবাড়ি সরাতে ব্যস্ত।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/26/1566796113226.JPG

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা এরমধ্যেই ৩০টি পারিবারের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেছি। অন্যদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। যাদের ঘর-বাড়ি ভেঙেছে তাদের সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।’

জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিন রেজা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ৩০টি পরিবারের তালিকা পেয়েছি। সেটি উপরমহলে জানানো হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ পেলে তাদের পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া ভাঙনের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।’

   

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভনে খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতেন নিউটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন

মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন

  • Font increase
  • Font Decrease

নবীন খেলোয়াড়দের ভালো সুযোগ ও বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

তিনি বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে খেলোয়ারদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে রফিকুলকে সহায়তা করত অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কথা স্বীকার করেছে। রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়শনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে এই কোমলমতি মেয়েদেরকে এগিযে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালায়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী মামলায় দায়ের করলে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে। মামলার এজাহার নামীয় দ্বিতীয় আসামি নারী খেলোয়াড়কে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী নারী গত দুই বছর যাবৎ রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন সময় রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো। পরে ভুক্তভোগী প্র্যাকটিস শেষে চেঞ্জিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় গ্রেফতার নারী ভুক্তভোগীকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনে। পরে রফিকুল ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এরপর গ্রেফতার নারী খেলোয়াড় রুমে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে ভিকটিমের নগ্ন ছবি ধারণ করে এবং কাউকে জানালে ভিকটিমের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিছুদিন পর রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

;

পাথরঘাটায় বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু



ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার পাথরঘাটায় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আসাদুল (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাঠাতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৮) আহত হয়েছে। এবং দুটি গরু মারা গেছে। নিহত আসাদুল কাঠাতলী ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসাদুল দুপুরের ভাত খেয়ে বিশ্রাম করছিল। আকাশে মেঘ হওয়ায় বাড়ির সামনের মাঠে গরু আনতে যায় আসাদুল ও তার ছেলে। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে আসাদুলের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম।

তিনি বলেন, আসাদুল অত্যন্ত গরিব মানুষ। নদীতে মাছ শিকারের পাশাপাশি গরু পালন করতো। মাঠ থেকে সেই গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়।

;

বেশি দামে মসলা বিক্রি, খাতুনগঞ্জের ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ না করা ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চট্টগ্রামের সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর ও পরিদর্শক বেলাল হোসেন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

অভিযানে আল্লার দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স নুর ট্রেডার্সকে ২ হাজার, মেসার্স খান ব্রাদার্সকে ৫ হাজার, মেসার্স নবীন ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, শাহজাহান ট্রেডার্সকে ২ হাজার এবং দি চিটাগাং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, অভিযানে গিয়ে আমরা দেখি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে পারছে না, নির্ধারিত দামের তুলনায় অধিক দামে মসলা ও পণ্য বিক্রি করছে, মূল্য তালিকাবিহীন মালামাল বিক্রি ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ নেই, পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। পরে এসব অভিযোগে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর আওতায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

;

জব্দ হওয়া মোবাইল নিতে ডিবিতে যান মামুনুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতারের সময় জব্দকৃত নিজের মোবাইল ফোন নিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি একথা জানান।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছিল। সেই ফোন নিতেই ডিবিতে এসেছি। আমাকে ডাকা হয়নি। আমি নিজেই এসেছি।

গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

;