নির্মাণের দেড় বছর পরও তালাবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর দুর্গাপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরকে (এলজিইডি) ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। নির্মাণ শেষ হওয়ার পর ১১ মাস পড়ে থাকে ভবনটি। জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ভবনটির উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

তবে উদ্বোধন করা হলেও জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় ভবনটি ব্যবহারের অনুমতি পাননি স্থানীয় মুকিযোদ্ধারা। ফলে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি নির্মাণ শেষ হওয়ার দেড় বছর পার হলেও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

উপজেলা প্রকৌশল দফতর সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দুর্গাপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। ভবনটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে স্মরণকালের ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

যা বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঠিকাদার সেলিম রেজার প্রতিষ্ঠান ‘রুপালী অ্যান্ড সেলিম জেভি ও লিড পার্টনার’ ভবনটির নির্মাণ কাজের টেন্ডার পান। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে নির্মাণকাজ শুরু করেন।

ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শেষে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরে ভবনটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর প্রায় ১১ মাস পর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ভবনটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

তবে উদ্বোধন হলেও জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ভবনটি হস্তান্তর না করায় তা ব্যবহারের অনুমতি পায়নি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। ফলে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার দেড় বছর পরও তালাবদ্ধ ভবনটি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান ফিরোজ জানান, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটি নির্মাণ করেছে সরকার। অথচ গাফিলতি করে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ না করার অযুহাতে দেড় বছর ধরে ভবনটি তালাবদ্ধ ফেলে রাখা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দ্রুত ভবনটি মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বৃদ্ধকে থানায় এনে বিপাকে পুলিশ!

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন সরকার বলেন, ‘ভবনটি আমাদের দফতরের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এখনো সেটি জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছে। ভবনটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত প্রক্রিয়া শেষে ভবনটি মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।’

জানতে চাইলে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, ‘যথাসময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে ভবন বুঝিয়ে দিয়েছিল। তবে কিছু সমস্যার কারণে হস্তান্তরে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন সমস্যা সমাধান হয়েছে। শুধু হস্তান্তরের অপেক্ষা।’

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান বলেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি- ভবনটিতে কিছু আসবাবপত্রের সংকট থাকায় কর্তৃপক্ষ কিছুটা সময় নিচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগ হতে ভবনটি বুঝে পেলেই দ্রুত ভবনটি মুকিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

   

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

রাজধানীতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ঢাকায় প্রায় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। এরপরেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়।

রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস বইতে থাকে। ফলে নগরবাসী তাপমাত্রা থেকে কিছুটা প্রশমিত হন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতও শুরু হয়।

সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও বাড্ডাসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় একসঙ্গে শীলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। 

;

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ: ৫ বাংলাদেশি আহত 

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আবারও ৩ বাংলাদেশি নাগরিক স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আহতরা চোরাই পথে গরু ও ইয়াবা আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন বলে জানা গেছে।

রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টার সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীন ফুলতলী‌ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৪৭ এর শূন্য লাইন থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের পুত্র মফিজ (৩৫)। একই এলাকার দক্ষিণ মৌলভীরকাটা গ্রামের মো: জাফর চকিদারের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ (৩০) ও অপর জন ওই গ্রামের মফিজ এর পুত্র মো. রহিম। উভয়ে তিন পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। 

উল্লেখ্য আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হয়, পরে থাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৩ জন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এবং মহিষ টানার কাজে নিয়োজিত ছিল।

উল্লেখ্য গত ৪ মে ৪৬ ও ৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে গরু ও মহিষ আনতে গিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের পুত্র মো. আবছার (১৯) ও একই গ্রামের আলি আহমদের পুত্র মো. বাবুল (১৭) । আহত উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার দু’দিনে দুই দুর্ঘটনায় ৫ জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

;

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল খাদে পড়ে যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগ মিয়া (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

রোববার (৫ মে) বিকেলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার বন বিভাগের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ মিয়া কালিহাতী পৌরসভার সোনা খড়িল্লা এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এলেঙ্গা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে কালিহাতী বন বিভাগের সামনে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক সোহাগ গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার

সিলেটে তরুণ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, চাকু উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ছুরিকাঘাতে তরুণ মোহাম্মদ আলী (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৪ মে) রাত ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি রোববার (০৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকেন। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার মূল আসামি।

খুন হওয়া মোহাম্মদ আলী (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে তিনি সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে থাকতেন।

এরআগে শুক্রবার (০৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকায় মোহাম্মদ আলীকে (১৭) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে রোববার দুপুরে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;