ডেঙ্গু রোগী বাড়ার ঘটনা সত্য নয়: শেখ সেলিম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ছবি: সংগৃহীত

শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দেওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তৎপরতায় সন্তুষ্ট সংসদীয় কমিটি। তবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ে যেভাবে মিডিয়াতে প্রচার হচ্ছে সেটা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে সংসদ ভবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পুরো দুই ঘণ্টাই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ সেলিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

শেখ সেলিম বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগী বাড়ার ঘটনা সত্য নয়। এখানে সমস্যা হচ্ছে যেকোনো জ্বর হলেই ডেঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ জ্বর নিয়ে হাসপাতালে এসেছে বলা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর।

বৈঠকে আলোচিত একটি ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি হাসপাতালে আটজন রোগী এসেছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার মধ্যে মাত্র একজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কিন্তু ওই আটজনকেই ডেঙ্গু জ্বর বানিয়ে দেওয়া হল। তাই সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানাব, যেটা সঠিক সেটা লিখুন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবেন না। সরকারের কোনো গাফিলতি থাকলে তা তুলে ধরতে পারেন।’

শেখ সেলিম বলেন, ‘এডিস মশা মারার দায়িত্ব তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের না, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাঁয়িত্ব পড়ে যায় চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি দেখবাল করছে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের স্বাস্থ্য সেবা অব্যহত হয়েছে। আমরা সবদিকে অ্যাড্রেস করেছি। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে। সপ্তাহ খানেরে মধ্যে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

সভাপতি বলেন, ‘গোটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। আমরা তাদের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে ডেঙ্গু জ্বর যাতে বিস্তার না করে সেটার ওপর আমরা জোর দিয়েছি। এজন্য কিছু কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি মনিটর করবে। অবিলম্বে যাতে মশা মারার ওষুধ আমদানি হয় সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, ‘বিদেশ সফর নিয়ে কমিটিতে কোনো আলোচনা হয়নি। উনি কেন গেছেন, সেটা আমাদের এখানের আলোচনার বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কোনো মন্ত্রী দেশ ত্যাগ করতে পারেন না। উনি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সফরে গেছেন না কী জন্য গেছেন এটা উনার আর প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। আর বিদেশ সফরে গেলে অপরাধটাইবা কী?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকতে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল। ওই সময় একটি বিদেশ সফর ছিল, আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাইনি আমার প্রতিমন্ত্রীকে পাঠিয়েছিলাম।’

গণমাধ্যরে প্রতি প্রশ্ন রেখে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিশ্বের কোন দেশে আছে রোগীর রুমে গিয়ে লাইভ টেলিকাস্ট করে। এটাকে কী সাংবাদিকতা বলে? আমি নিজেও তো সাংবাদিকতা করেছি। স্বাধীনতা মানে আমি যা খুশি তাই করতে পারি না। এতে জনমনে আতঙ্ক হয়। ডেঙ্গু রোগ সনাক্তের কীটের কোনো সঙ্কট নেই। আরও কীট আসতেছে। এরদামও আরও কমে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সামনে কোরবানি আছে। কোরবানির কারণে যে বর্জ্যটা হবে সেটা সিদ্ধান্ত হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশন মিলে দ্রুত সরানোর পদক্ষেপ নেবে। ডেঙ্গু মশার লার্ভা যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা জনসেচেতনতার ওপর জোর দিয়েছি। আমার বাড়ি আমি পরিষ্কার করব। এই ব্যবস্থা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মহামারি বলে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। মহামারি কাকে বলে? দশমিক ৬ ভাগ মানুষ মারা গেলে মহামারি হয়। আমাদের এখানে ডেঙ্গুতে কত লোক মারা গেছে? প্রত্যেক দিন তো হার্ট অ্যাটাকে ৩৫০ জন মারা যাচ্ছে। তাহলে এটা কী মহামারি?’

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, ‘এখনো তো নতুন ওষুধ এসে পৌঁছেনি, স্প্রেও করা হয়নি। সিটি করপোরশেন জানিয়েছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ওষুধ চলে আসবে, তারপর উনারা ওটা স্প্রে করবে। এজন্য একটু সময় লাগবে।’

কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, ডা. মুরাদ হাসান, আ ফ ম রুহুল হক, মো. মনসুর রহমান এবং মো. আব্দুল আজিজ অংশ গ্রহণ করেন।

   

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৩ জনের, আক্রান্ত ২১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৩ জনের, আক্রান্ত ২১

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৩ জনের, আক্রান্ত ২১

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জানুয়ারির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ জনে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। আর জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত মোট আকান্ত হয়েছে দুই হাজার ৪৫ জন। 

বুধবার (১৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ১২ জন ও ঢাকার বাইরের ৯ জন।

;

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ১১

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘মিজু গ্যাং’ এর মূলহোতাসহ ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবোনগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নগরের খোজাপুর এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), একই এলাকার মৃত মুকুলের ছেলে মো. বকুল (৩৮), ডাসমারী পূর্ব পাড়ার বাবুল হোসেনের ছেলে মো. ঈমান (২৪), আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. শাকিব (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রবিন (২০), আসলাম আলীর ছেলে মো. রাব্বি (২৪), শমসের আলীর ছেলে আমান (২২), নাসির উদ্দিনের ছেলে বিজয় (১৭), আব্দুল খালেকের ছেলে মো. অনিক (২১)। তারা মতিয়া থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। এছাড়া চর শ্যামপুরের মোতালেবের ছেলে ইয়ামিন আলী (২৮) ও চারঘাটের শিমুলিয়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে বিপ্লব আলী (২২)।

বুধবার (১৫ মে) র‌্যাব-৫ এর সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আসামিরা সবাই ‘মিজু গ্যাং’ এর সদস্য। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহানগর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জমিদখল করতেন। এলাকায় কোনো ব্যক্তি জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণসহ যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুললে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোনো কাজ করতে পারত না। এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলবদ্ধভাবে তারা ছিনতাই করত তারা।

এমন অভিযোগের পর অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়া সাকিনাস্থ পলাতক আসামি মো. রমজান (৩০) এর হাফ বিল্ডিং ব্যক্তিগত ক্লাব ঘর হতে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাঁংয়ের মূলহোতাসহ ১১ জনকে আটক করে। কিন্তু কিশোর গ্যাঁংয়ের অন্যতম সদস্য মো. রমজান আলী রাতের আধারে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো হাসুয়া ১৮টি, ধারালো তলোয়ার ৭টি, চাকু ২টি, কাটার হাতল ৩টি, চাইনিজ কুড়াল ১টি, সিমেন্টের ব্লক- ৫৩টি, খেলনা পিস্তল ১টি, মোটরসাইকেল ৩টি ও ১২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মুনীম ফেরদৌস জানান, মিজানুর থেকে মিজু গ্যাং। তারা টেলিগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করত। বাসাবাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধভাবে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

;

সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনে চট্টগ্রামে সেরা রাউজান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চট্টগ্রামের ৩০টি থানা এবং ১৫টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছে রাউজান উপজেলায়।

এ পর্যন্ত রাউজানে ৪ হাজার ১৫০ জনের পেনশন স্কিম নিবন্ধন করা হয়েছে। এরই মধ্য দিয়ে সারাদেশে ১ম উপজেলা হিসেবে চার হাজার নিবন্ধন করার মাইলফলক স্পর্শ করেছে এই উপজেলা।

উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বেসরকারি চাকরিজীবী, ইমাম, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত শ্রেণি, মৎস্যজীবী, পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে দিনমজুর পর্যন্ত পেনশন স্কিমের আওতায় আসতে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করছেন।

উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনকে নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নানাবিধ উপকারিতা জানাতে ১৪টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা করে উপজেলা প্রশাসন। মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ইমাম সমাবেশ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার্সমূহে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হেল্প ডেক্স স্থাপন, সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হেল্প ডেক্স স্থাপন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারে স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম হাতে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম বেগবান করছেন তারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদের উপজেলা সমন্বয় সভায় পুরস্কার প্রদান করার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হয়েছে।

রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম বেগবান করতে পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বিভিন্ন অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য দিয়ে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেছেন। স্থানীয় পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা স্থানীয়ভাবে মাইকিং, অবহিতকরণ সভা ও লিফলেট বিতরণ করে জনসাধারণকে এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, রাউজানে সর্বজনীন পেনশন স্কিন রেজিস্ট্রেশনে যে সাড়া পাওয়া গেছে, সেটি উৎসাহ ব্যঞ্জক। এই পর্যন্ত আমরা ৪ হাজার ১৫০ জন পেনশনারের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছি। সামনের দিনগুলোয় সর্বজনীন পেনশনে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী। আমরা এই কার্যক্রমকে সফল করতে ইউনিয়নভিত্তিক ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করেছি। মাসিক ও বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উপজেলা পর্যায়ে এই বিষয়ক সকল কার্যক্রম আমার সঙ্গে সমন্বয় করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই কাজে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করছেন।

চট্টগ্রামে সর্বজনীন পেনশনে স্কিমে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন করেছে আকবরশাহ থানায় ৬৩জন, আনোয়ারায় ২৪৫৫ জন, ইপিজেড থানায় ৩৫জন, কর্ণফুলী উপজেলায় ২০৬২ জন, কতোয়ালী থানায় ১৭৬ জন, খুলশী থানায় ৭৭ জন, চকাবাজার থানায় ৩৩ জন, চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭২৯ জন, চান্দগাও থানায় ১০৫ জন, ডবলমুরিং থানায় ৭৯ জন, পটিয়া উপজেলায় ২৩৩৭ জন, পতেঙ্গা থানায় ৩০ জন, পাঁচলাইশে ৫৯ জন, পাহাড়তলীতে ৪৪ জন, বন্দরে ৪৭ জন, বাকলিয়া ৪৪ জন, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৫৩ জন, সদরঘাট থানায় ২১ জন, ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৩৬২ জন, বাঁশখালীতে ২৮৫৪ জন, বোয়ালখালী উপজেলায় ২০২৪ জন, মিরসরাইয় উপজেলায় ১৯৬২ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ১৩৫৭ জন, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৬৩৭ জন, সন্দ্বীপে ১৪১৯ জন, সাতকানিয়া উপজেলায় ১৯৭৫জন, সীতাকুন্ড উপজেলায় ৩৮১৬ জন, হাটহাজারী উপজেলায় ১৩৬৩ জন, হালিশহর থানায় ৬৪ জনসহ মোট ৩৫ হাজার ৪৭১ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।

;

যুবক হত্যার দায়ে রাজশাহীতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
যুবক হত্যার দায়ে রাজশাহীতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

যুবক হত্যার দায়ে রাজশাহীতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোবাইল ফোনের দোকানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরেক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। তিন বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, বাঘার জোতচৌকিপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রকি (২৫)।

নিহত জহুরুল ইসলাম (২৩) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আম বাগানে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জহুরুল ইসলামকে। জহুরুল ইসলামের কাছে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় তাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি স্মার্টফোনসেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যান। এরপর মোবাইল সেটগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই বাদি হয়ে থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তে দুইজনের নাম পাওয়া যায়।

এন্তাজুল হক বাবু বলেন, পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করে। এ রায়ে বাদিপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

;