বিসমিল্লাহ বলে শুরু পথচলা



মুফতি এনায়েতুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত। এ আয়াতকে কোরআনে কারিমের মুকুট বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অতি দয়ালু ও করুণাময়।

সব ভালো কাজের শুরুতে মুসলমানরা পবিত্র কোরআন-হাদিসের শিক্ষানুযায়ী বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেন। কোনো চুক্তিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ও চিঠিপত্র প্রভৃতি বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করা ইসলামি রীতি।

কোরআনে কারিমেরও সূচনা হয়েছে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ দ্বারা। শ্রেষ্ঠতম ইবাদত নামাজের প্রত্যেক রাকাত শুরু হয় বিসমিল্লাহ দিয়ে। দুনিয়ার বুকে শ্রেষ্ঠতম স্থান মসজিদে প্রবেশ করতে হয় বিসমিল্লাহ পড়ে। শান্তির চিরবার্তা ঐতিহাসিক ‘মদিনা সনদ’ও শুরু হয়েছে এর মাধ্যমে।

বিসমিল্লাহ দিয়েই সব কাজ শুরু করতে হয়। হাদিস শরীফে এসেছে, যে কাজ বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা না হয়- তা কল্যাণহীন ও বরকতশূন্য থাকে। এ প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ভালো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া না হবে, সে কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে।’

হাদিস শরীফে আরও বলা হয়েছে, যে দোয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম থাকে, সে দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়বে, তার জন্য আল্লাহতায়ালা এর প্রতিটি হরফের বিনিময়ে চার হাজার নেকি দান করেন, চার হাজার গোনাহ মাফ করে দেন এবং তার জন্য চার হাজার সম্মান বাড়িয়ে দেন।

বিসমিল্লাহকে বলা হয় সব কাজের সূচনাধ্বনি। এর মাধ্যমে কাজের শুরুতে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। আনুগত্য প্রকাশে আল্লাহ খুশি হন। এ বাক্যে বলে কাজ শুরু করলে শয়তানের প্রবঞ্চনা থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওই কাজে আল্লাহতায়ালা অফুরন্ত বরকত দান করেন।

প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। মুসলমানদের ঐতিহ্য হলো- যেকোনো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। বিসমিল্লাহর গুরুত্ব ও বরকত অপরিসীম। তাই প্রত্যেক মুসলমান যেকোনো উত্তম কাজ বিসমিল্লাহ দ্বারা সূচনা করেন। পানাহারের সূচনায় বিসমিল্লাহ, কোথাও রওনা হলে বিসমিল্লাহ এমন আরও বহুক্ষেত্রে তারা বিসমিল্লাহ বলে কাজের সূচনা করেন। অবশ্য কোনো অন্যায় ও ইসলামবহির্ভূত কাজের জন্য বিসমিল্লাহ বলা পাপ।

ইসলামি জীবনবোধ, কর্মপদ্ধতি ও সার্বিক প্রেরণার উৎস হলো- আল্লাহতায়ালার বরকতময় নাম। বলা হয়, আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন যুগে নবী-রাসূলদের (আলাইহিস সালাম) কাছে যেসব কিতাব নাজিল করেছেন সে সব কিতাবের মোট সংখ্যা প্রায় একশ চারটি। পূর্বে নাজিলকৃত সবগুলো কিতাবের সারাংশ রয়েছে কোরআনে কারিমে। আর পবিত্র কোরআনের সার নির্যাস রয়েছে সূরা ফাতেহায়। আর সূরা ফাতেহার সার নির্যাস রয়েছে বিসমিল্লাহর মধ্যে।

মানুষ হিসেবে আমরা যে যেখানেই দায়িত্ব পালন করি না কেনো- নির্ধারিত সময়ে প্রত্যেককে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এ উপলব্ধি মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। বর্তমান পৃথিবীতে গণমাধ্যমগুলো নির্যাতিত, অবহেলিত, বঞ্চিত ও বিপন্ন মানুষের ভরসার একটি জায়গা হয়ে উঠেছে। যাবতীয় সামাজিক শোষণ আর অবিচারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গণমাধ্যম মানবসেবা ও শুভকাজ সম্পাদনের সমষ্ঠিগত প্রক্রিয়ার মাধ্যম। তাই আমরাও ডিজিটাল গণমাধ্যমের অংশ হিসেবে বার্তা২৪.কম-এর পথচলা শুরু করছি আল্লাহর নির্দেশিত ও ইসলামি বিধান মতে সমর্থিত বাক্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে।

মুসলমান হিসেবে কর্মজীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার রহমত, রাজি-খুশি অর্জনের নিমিত্তে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করা আবশ্যক। পীর-আউলিয়া, অলি-দরবেশরা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের আমল করতেন এবং এ আমল দ্বারা অগণিত উপকার পেতেন।

বিসমিল্লাহ কেবল একটি বাক্য নয়, এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশ পায়। একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়। আল্লাহর নিয়ামতের স্বীকার করা হয়। এ ছাড়া আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর নাম নিয়ে শয়তানকে বিতাড়িত করা, নানাবিধ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষায় আল্লাহর করুণা প্রার্থনা করা হয়।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের উসিলায় আল্লাহতায়ালা আমাদের এই শুভ পথচলাকে বরকতময় করুন। সর্বদা সত্য-সুন্দর ও কল্যাণের পথে অটল থাকার তওফিক দান করুন। যাবতীয় অকল্যাণ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

এমএইউ/

   

দেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৬৪ জেলায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি বলে সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসব মামলার মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ কে আবদুল মোমেনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী জানান, মামলার জট কমাতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন তৈরির কার্যক্রমও শেষ করে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলার জট বেড়েছে সঠিক এবং তার সাথে সাথেও কিন্তু আমরা আদালত তৈরি করে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েছি। যেটা আগে কখনো হয়নি, সেটা হচ্ছে- আগে কখনো বিচারকের পদ শুন্য হওয়ার আগে বাংলাদেশ জুটিশিয়াল সার্ভিস ক্যাডারে পরীক্ষা নিয়ে এটা রিজার্ভ বিচারকের ব্যবস্থা ছিলো না। এখন কিন্তু আমরা সেটা করি যাতে কোনো বিচারক অবসরে গেলে সেই পদটা যেনো খালি না থাকে, তড়িৎ যেন আমরা সেখানে বিচারক দিতে পারি। দ্বিতীয় যেটা করা হচ্ছে, বিচারকের পদ সৃজন এবং আদালত সৃজন দুইটার জন্যই আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখেছি এবং সেইখানে ১৭৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটা আসলে আমর মনে হয় মালার জট কমানোর চেষ্টা করবে। মামলার জট কমানোর জন্য অন্যান্য চেষ্টাও হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগে অন্ততপক্ষে বিচারপতি ছিলেন ১০০ জন, এখন সেটা কমে এসছে, অবসরে গেছেন অনেকে, আপিল বিভাগে গেছেন অনেকে। সেই ক্ষেত্রে এখন নেমে এসেছে ৮৪ জনে। রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। বিচাপতি নিয়োগের জন্য আইন যেটা করার সেটাও কিন্তু আমরা শেষ করে এনেছি। হাইকোর্টেও বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনটা সেটার জন্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ করার জন্য খুব শিগগিরি একটা সময় ও তারিখ দেওয়া হবে।

;

রাজধানীতে ঝড়

বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে নারীর মৃত্যু, আহত ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে পাশের টিনশেড বাড়িতে থাকা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭জন।

রোববার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে ঝড় ও বৃষ্টির সময় ঢাকা উদ্যান হাউজিং এলাকায় নির্মাণাধীন ১৬ তলা ভবনের ১০ তলা থেকে কাঁচা দেয়ালের বেশ কিছু ইট ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- রুহান (৪), রাহাত (৭), রাফি (৯), রুমা (৩০), লুৎফা (৩৫), লিমা (৩০) ও ফারুক (৪৫)।

তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের পাশে টিনশেড ঘরে নিম্ন আয়ের কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন। দুর্ঘটনার পর কয়েকজনকে উদ্ধার করে সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রেশমা নামে ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় টিনশেড ঘরের কয়েকটি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মাহফুজুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে দুইজনকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

;

১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করছে ইউএস-বাংলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

১ আগস্ট থেকে সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম উম্মাহর পবিত্র নগরী মক্কার প্রবেশদ্বার জেদ্দায় আগামী ১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালিত হবে। আজ মে ০৬, ২০২৪, সোমবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সকল বিক্রয় মাধ্যমে ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট বিক্রয় শুরু হয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং জেদ্দায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। পুনরায় জেদ্দা থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫৫ অবতরণ করবে।

এছাড়া মঙ্গলবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে ও রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে উড্ডয়ন করে যথাক্রমে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ও ১০টা ৫মি মিনিটে জেদ্দায় অবতরণ করবে। পুনরায় মঙ্গলবার ও রবিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দা থেকে উড্ডয়ন করে বুধবার ও সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে জেদ্দার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং জেদ্দা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় সকাল ৬টা ২৫মিনিটে পৌঁছাবে।

ঢাকা থেকে জেদ্দার নূন্যতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৮,৬০৫ টাকা এবং রিটার্ণ ভাড়া ৯৬, ০৩৭ টাকা। এছাড়া জেদ্দা থেকে ঢাকার ওয়ানওয়ের নূন্যতম ভাড়া ৮৯৩ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ণ ভাড়া ১,৬১১ সৌদি রিয়েল।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওমরাহ হজ্ব পালন করার সুপ্ত ইচ্ছেকে পূর্ণতা দিতেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে পবিত্রতম শহর জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়া রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে গমণ করতে পারে সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে অথবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.usbair.com ।

;

বিসিএস উত্তীর্ণদের চাকরিপ্রাপ্তিতে সুযোগ বৃদ্ধির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) উত্তীর্ণদের চাকরি সুযোগ বাড়তে পারে বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রণালয়ের দফতর ও সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেই জন্য বাড়তি লোকবলের চাহিদা সৃষ্টি হবে। এই প্রক্ষিতে বিভিন্ন বিসিএস এ উত্তীর্ণদের চাকরি সুযোগ বাড়তে পারে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২৬টি ক্যাডারে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারের শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান করে। শুরুতে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় হতে শূন্য পদের অধিযাচন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করে। শূন্য পদের বিপরীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী সকল মন্ত্রণালয়ের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শূন্য পদের সংখ্যা সুনির্দিষ্টকরণ করা হয়। পরবর্তীতে সারসংক্ষেপ প্রেরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে শূন্য পদ সংখ্যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন উক্ত শূন্য পদের আলোকে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কমিশন সুপারিশকৃত প্রার্থীর তালিকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।

পরবর্তীতে তাদের সুপারিশকৃত প্রার্থীদের যথাযথ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক-চাকরি জীবন বৃত্তান্ত যাচাইপূর্বক উপযুক্ত প্রার্থীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিসিএস ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। বিসিএস নিয়োগ পদ্ধতিটি একটি সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনার অংশ। তবে কখনও কখনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরও কোনো মন্ত্রণালয় হতে সাপ্লিমেন্টারি অধিযাচন প্রাপ্তিসাপেক্ষে চূড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।

বিসিএস এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদে সুপারিশকৃত নন এমন প্রার্থীদেরকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) শূন্য পদের অধিযাচনের পরিপ্রেক্ষিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী নন-ক্যাডার (৯ম-২২তম গ্রেড) পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর উক্ত শূন্য পদে জনবল নিয়োগ প্রদান করে। এ যাবত ৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে নন-ক্যাডার (৯ম- ১২তম গ্রেড) পদে মোট ৭,৪৪৭ (সাত হাজার চারশত সাতচল্লিশ) জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

;