৯ মাসের কাজ ১৮ মাসেও শেষ হয়নি
অবৈধ দখলদার আর মাদকসেবীদের আনাগোনায় রাজধানীর বেশিরভাগ পার্ক ব্যবহার অনুপযোগী প্রায়। পার্কগুলোকে সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত করে তুলতে বিভিন্ন সময়ে নানান উদ্যোগ নেয় সিটি কর্পোরেশন।
পুরান ঢাকার অধিবাসীদের বিশেষত গুলিস্তান-সচিবালয় এলাকায় আগত মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ওসমানী উদ্যানকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
ওসমানী উদ্যানকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেছিলেন, ৯ থেকে ১০ মাসের মধ্যে এই পার্কের কাজ শেষ হবে। এরপর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী ৯ মাসের কাজ ১৮ মাস পার হলেও এখনো কাজের সিংহভাগই অসমাপ্ত। এখন নতুন করে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বর। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নতুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও শেষ করতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
প্রায় ৫৮ কোটি ব্যয়ে নবনির্মিত এই পার্কের নামকরণ করা হয়েছে ‘গোস্যা নিবারণী পার্ক’। উদ্বোধনকালে মেয়র পার্কের নামকরণ নিয়ে বলেছিলেন, “নগরবাসী নানা কারণে বিভিন্ন সময় পরিবার, অফিসে মান-অভিমান করে থাকেন। অনেকের মন খারাপ হয়ে থাকে। এই পার্কে ঢুকলে মুহূর্তের মধ্যে সেই নাগরিকের মন ভালো হয়ে যাবে। গোস্যা ভেঙে যাবে, এজন্য আমরা পার্কের নাম দিয়েছি গোস্যা নিবারণী পার্ক।”
ডিএসসিসি’র জল-সবুজের ঢাকা প্রকল্পের আওতায় ২৯ একর জায়গাজুড়ে অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধি নিশ্চিত করে নতুন করে গড়া হচ্ছে ওসমানী উদ্যান। কাজ পেয়েছে দি বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
পার্কের এক পাশে থাকবে জলাধার। যেখানে ঢুকলেই মানুষ হারিয়ে যাবে গভীর জলাধারে। থাকবে মিউজিক্যাল ওয়াটার ড্যান্স। পার্কে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শোনা যাবে হারানো দিনের গান। বিশ্বকাপ বা অন্য কোন খেলা দেখার জন্য এই পার্কের ভেতরেই থাকবে বড় কয়েকটি টিভি স্ক্রিন। থাকবে কফি কর্নার। এছাড়া আরো কয়েকটি টি স্টল বা ফুড কর্নার থাকবে এ পার্কে।
ডিএসসিসি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর পার্ক করতে। সে ক্ষেত্রে মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে কিছু ডিজাইন যোগ করতে হয়েছে, পরিবর্তন করতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যয় একটু বাড়বে। তবে আমরা চাইছি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে উন্মুক্ত করতে।
পার্কের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আরিফ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তাছাড়া এখন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আমাদের টার্গেট আছে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা। সেভাবেই কাজ এগিয়ে চলছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।